এডওয়ার্ড অশোক অধিকারী’র – চাপাই ভরসা
গামা কাদির: অস্ট্রেলিয়ায় একুশে একাডেমী প্রত্যেক বৎসরের মত এই বছরও ১৯ সে ফ্যাব্রয়ারি এসফিল্ড পার্কে আয়োজন করবে ২১সে বই মেলা ২০১৭। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন লেখকের বই সহ স্থানিয় কিছু লেখকের বই হবে এই মেলার বিশেষ আকর্সন।
এই বছর ২১সে বইমেলায় পাওয়া যাবে একটি ভিন্নধর্মিয় বই….এডওয়ার্ড অশোক অধিকারী রচিত রম্য রচনা
” চাপাই ভরসা”। প্রবাশের ব্যাস্ত থাকা খেটে খাওয়া মানুষগুলির দৈনন্দিন দু:খ কস্ট জীবনের মধ্যে সামান্য অবসর সময় যদি”চাপাই ভরসা” একটু আনন্দ এবং হাসির খোরাক জোগাতে পারে….তাহলেই লেখকের লেখার সার্থকতা হবে সেখানে।
আমি “চাপাই ভরসা” পড়ার পর মনে হল লেখক অশোক অধিকারীর চাপার সাথে আমাদের সবারি কিছু কিছু চাপার মিল রয়েছে বলে ….আমার বিশ্বাষ। আমি “চাপাই ভরসা” রম্য রচনার কিছু অংশ তুলে দিলাম কারন । পড়ে মনে হবে …..আমাদের নিজেদেরই কথা। যেমন.. ….. …..” যেখানেই অবস্থান করছেন, ওই চাপার একটি চাপা
পরিবেশ আপনার-আমার পাশে পাশে ঘুর ঘুর করছে।
ঘরের বউ চাপা মারে বাপের ঘরের কিসসা কাহিনী শুনিয়ে।
তাতে কি ? তবুও তাকে মাঝে মধ্যে ডাকতে হবে চপা গলায়,
‘এই শুনছ..।’ অফিসের কলিগদের কথা আর বলবেন না । প্রত্যেকের দশের বাড়িতে
জমিদারি ছিল অথবা এখনো তা বর্তমান।
অথচ এই কস্টের শহরে মাসিক মাত্র আড়াই
হাজারের চাপা পিটানোর গোলামি করে যাচ্ছে। হাটবাজারের ওই একই অবস্থা ।
জমাটি ছোট হলে বলবে, ধোয়ার পর ছাড়বে,
আর বড় হইলে তো কথাই নেই , ধোলাইয়ের
পর লইয়া আইবেন, না খাপলে পয়সা রিটার্ন। গোটা দেশটাই মনে হয় চাপার উপর
ভেসে বেড়াচ্ছে….।
এই , চাপাই ভরসা – রম্যরচনা বইটি আনন্দের খোরাক হিসাবে পড়ে দেখতে পারেন…এবং একুশের বই মেলায় ! চাপাই ভরসা ! পাওয়া যাবে…!
এই ধরনের হাসির সন্দর একটি রম্যরচনা লেখার জন্য লেখক এডওয়ার্ড অশোক অধিকারীকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ।এবং আগামিতে আরও বেশী বেশী হাসির রম্যরচনা লিখে আমাদের উপহার দেওয়ার অনুরোধ থাকলো …।
Related Articles
ক্যানবেরা : মহররম ও আশুরার তাৎপর্য নিয়ে ঘরোয়া আলোচনা
আজই প্রথম সুযোগ হলো আশুরা উপলক্ষে ক্যানবেরার এক ঘরোয়া আলোচনায় যোগ দেয়ার । এই শহরের গত ১৫/১৬ বছরের জীবনে এই
অরিত্রি ও লেখকের জন্মদিন
আজ ২৩শে ডিসেম্বর। অরিত্রি এবং তার মত ছোট আরও অনেক সোনামনিদের একজন প্রিয় মানুষের জন্মদিন। হ্যা অরিত্রির একজন প্রিয় মানুষ
আজব সব কারবার
বাংলাদেশের এই খবর গুলো দেখলে অন্তর আত্মা কেঁপে ওঠে । মানবিকতা বিহীন জীবন ।আমি নিজেই এবার দেশে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে