নারী দেহঃ শিল্পে-সাহিত্যে

নারী দেহঃ শিল্পে-সাহিত্যে

কিছুদিন আগে নতুন এক লেখকের বই পড়লামঘটনা-কাহিনী প্রবাহ ভাল, কিন্তু আমার সবচেভাল লেগেছে যে বিষয়টা যেটি হলো নারী শরীর নিয়ে অহেতুক মাখামাখি নেই

আমাদের জীবন ধারার প্রতিচ্ছবিই উঠে আসে সাহিত্যেআর চারপাশের সমস্ত ঘটনাই যে সব সময় সুশীল-সভ্য তাও নয়জানি অনেক অশ্লীলতা ঘটে সমাজে, আর এসব কিছুই সাহিত্যে বাদ যাবার নয়ঘটনার ঊল্লেখ, কাহিনী প্রয়োজনে যদি আসে তাতে কোন আপত্তি নেই, আমার আপত্তি হলো যখন কোন নারী শরীরকে বর্ণনা করা হয় কেবল পাঠকে একটু সুড়সুড়ি সূচক আনন্দ দেবার জন্যে খাদ্য সুস্বাদু করার জন্যে যেমন বাড়তি মসলা যোগ করাতেমনিআমার আপত্তি নারী যখন এই মুখরোচক-সুস্বাদু মসলা!

অনেক কাব্য-গল্প-ঊপন্যাসে কখনো কখনো অবাঞ্ছিত ভাবেই আসে এমন অশ্লীলতাপর্ণ-পত্রিকার মত রগরগে বর্ণনার বদলে হয়তো নান্দনিক উপস্থাপন করেন এই দৃশ্যগুলোযত নান্দনিক হোকযাহা লাঊ তাহাই কদু

ধরা যাক কাহিনীতে কোন মেয়ে রেপড হলো, আমার কথা হলো, তা লিখুন তবে সেটিতে যদি মেয়েটির গোলাপী শরীর, উরু তিল এসবের কথা উল্লেখ থাকে তবে তো, লেখাটা বানিজ্য! যার পুঁজি নারীদেহ বাণিজ্যিক ছবিতে যেমন একটু আধটু না হলে সিনেমা হিট হবে কি না সে চিন্তা করেন পরিচালক বা প্রযোজক!

অনেক কবি প্রিয়ার বিবরন দিতে গিয়ে তার শরীরে আশ্রয় নেন! এ কেমন প্রেম! যে প্রেমিকাকে তুলে দিতে হয় পাবলিকের হাতে?

আবার পেইন্টংয়ে সেখানেও তাইনারী শরীর কতই না গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! ভাস্কর্যেও খামতি নেইনগ্ন মুর্তির কদর নেই কোথায়? চিত্র কর্ম, ভাস্কর্য যতই নিপূননিঁখুত হোক না কেনতা যদি নগ্ন শরীর সর্বস্ব হয়তবে বিষয়টা কি এই নয় যে নারী শরীর এখানে পণ্য?

নারী কি চিরকালই শরীর? সে কি আর মানুষ হয়ে উঠবো না? কবে?

শিল্পের মত সুন্দর মন শিল্পীদের তারা কি পাবলিক ডিমান্ড না ভেবে আমাদের জন্যে একটু ভাববেন? আমাদের মুক্তি একার নয়, সকলের প্রচেষ্টায় সফল হবে, সুন্দর হবেশিল্পের হাত ধরে সে সুন্দর হোক, মানসিক মূল্য পাক এটিই প্রত্যাশা

৯মে, ১৬।


Place your ads here!

Related Articles

Bangladeshi Scholars Invented Unified Scripts to Write All the Languages of the World

Two Bangladeshi scholars, Prof. Bijon B Sarma and Dr Mira R Sarma-Parai, have jointly invented Sarma’s Unified Script (SUS) –

টাইগার মিলন এখন অস্ট্রেলিয়ায়!

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের পিছু পিছু চলে এসেছেন টিম বাংলাদেশের আন্তরিক, অন্ধ এক সমর্থক। বাঘের সাজ পোশাকে গ্যালারিতে দৌড়ে লাল সবুজ

আর কতকাল রক্ষক হবে ভক্ষক!

ঘটনা ১ ১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট। ইয়াসমিন নামের ১৪ বছরের এক কিশোরী ধানমন্ডির একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। বাড়ি

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment