বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান

বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান

জাতিসংঘে’র কাছে  বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের 
দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান জানিয়েছেন।

গত ২১ ফেব্রূয়ারী ২০১৬ কেনবেরাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলখ্যে ‘একুশে রেডিও’র সাথে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে
অস্ট্রেলিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদুত হিজ   এক্সিলেন্সি কাজী ইমতিয়াজ  হোসাইন বলেন, বাংলাভাষাকে বাংলাদেশের 
সর্বস্তরে চালু করার সরকারী পদক্ষেপের পাশাপাশি বাংলা ভাষার  আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্যে জাতিসংঘে’র কাছে 
প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান জানিয়েছেন।

বিশ্বজুরে বাংলা ভাষার ব্যপক ব্যপৃতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাস্ট্রদুত  হোসাইন বলেন, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ
দেশে বাংলা ভাষা ভাষি লোকেদের বিচরন রয়েছে। এসব দেশে বাংলা’র প্রচলন ও চর্চার মধ্যে দিয়ে বাংলাকে আরো 
ব্যপৃত করার সুজোগ রয়েছে। বাংলা ভাষার মধ্য দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয় আরো নিগুড় হবে বলে তিনি মনে করেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’র স্বার্থকতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ১৯৯৯ সালে  এউনেস্কো ২১ ফেব্রূয়ারী’কে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষনা করার পর পৃথিবীর সর্বত্রই  সব ভাষাভাষির লোকেরা গর্বের সাথে 
এই দিন টিকে উদযাপন করে আসছে।মাজিক কর্মকান্ড সহ জন জীবনের প্রতিটি কাজে ভাষার প্রয়োজনীয়তাটাকে 
স্মরন করার একাটা সুজোগ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন।

বাংলাকে সর্বস্তরে চালু করার সরকারী উদ্দোগ থাকা স্বত্তেও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাংলাভাষার ব্যবহার তেমনভাবে 
দেখা যায় না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- বাংলাদেশ একটা রপ্তানী মুখী দেশ। আর ব্যাবসায়িক 
প্রতিষ্ঠান গুলিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাবসায়িক কর্মকান্ডের জন্যে বাংলাকে নয় বরং ইংরেজী্কে ব্যবহার করতে হয়। 
আন্তর্জাতিক ভাবে যোগা যোগের মাধ্যম ইংরেজী হওয়ার  কারনে বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলিতে 
বাংলা ভাষার ব্যবহার কিছুটা কম দেখা যায়।

একুশে  রেডিওকে  দেওয়া বাংলাদেশর  রাষ্ট্রদূত  হিজ   এক্সিলেন্সি  কাজী  ইমতিয়াজ  হোসাইন এবং 
এ.সি. টি. মিনিষ্টার ড : ক্রিস ব্রূক -এর সাক্ষাত্কার টি শুনতে MP3 ফাইলে ক্লিক করুন।


Place your ads here!

Related Articles

৩০ লাখ বীরশহীদ পরিবার, ঘুমিও না আর

মুক্তিযুদ্ধে প্রাণদানকারী ৩০লাখ বীরশহীদ পরিবারের সদস্যদের উদাসীনতাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, বাড়াবাড়ি ও বৈষম্যের কারণ। শহীদের এ সংখ্যাটি বাঙ্গালি জাতির জনক

অন্য রমক ভালবাসা

কৃষাণু একটা ক্ষ্যাপা ছেলের নাম । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের । সেই সুত্রে রাষ্ট্র কে কলঙ্কমুক্ত করার নেশার ভুত

ঈদের পাঞ্জাবি

ফজলুল বারী: খুব দারিদ্রের মধ্যে আমার শৈশব কেটেছে। পিটিআই সুপারেন্টেন্ড হিসাবে আমার সৎ মানুষ বাবা যখন অবসরে যান তখন আমরা

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment