হুম্মাম তুমি যা জানো, আর যা জানো না : অজয় দাশগুপ্ত

হুম্মাম তুমি যা জানো, আর যা জানো না : অজয় দাশগুপ্ত

সদ্য পিতা হারাণো যুবককে হু কা নামে ডাকার মত অভদ্র নই আমি। আমি তাদের মত ইতর ও নই যারা শোকের বুকে দাঁড়িয়ে এ জাতিকে আবার আঙ্গুল দেখায়। লাশ দাফনের আগে আরেকজনের বিচার করার ঘোষনা দিতে পারে। এরা উন্মাদ ।

এই উদভ্রান্ত বিকৃত মনস্ক যুবকটিকে আমি কয়েকটা ব্যাপার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই:

বেটা তুম নেহি জানতে তোমারা পিতা বহুত আগেই গুজর যানেকা ঠিক থা। মুক্তিযোদ্ধাদের নিশানার শিকার সা কা ভাগ্যক্রমে গাড়ীর উল্টো সিটে থাকায় সে যাত্রায় প্রানে বেঁচে গিয়েছিল। তোমার আর এই দুনিয়া দেখার ও কথা ছিলনা।

মানে মানে নিজেদের ইজ্জ্ত নিয়ে বাঁচতে না জানলে মানুষ বলবে, একোন পরিবাররে বাবা! বাপ দাদা সকলেই জেলখানায় মারা যায়। এদের জীবনেকি স্বাভাবিক মৃত্যু নাই?

ধর্মের নামে স্লোগান আর যত ই ধর্মের দোহাই পাড়োনা কেন বিধাতা ভালো জানেন তোমার বাবা কি করতেন। কোথায় তার আড্ডা বসতো সে আড্ডায় কি কি হতো মানুষের জানা আছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করলে আর যাই করুক জামাতের রাজনীতি করতো। সেটা কি সা কা করেছিলেন কখনো? সুবিধামত এন ডি পি কখনো এরশাদের জাতীয় পার্টি শেষে বিএনপি এর নামে ধর্মের রাজনীতি? নিজেদের পারিবারিক পরিচয়ের মুসলিম লীগ ও করেনি কোনদিন। এই মানুষকে মনে রাখার কি কারণ আছে?

সবার পিতাই কম বেশী প্রিয়। কিন্তু ছেলে পুলের নিজেদের ইজ্জত থাকলে যে বাপ সংসদে চোদনা বলতো. সোনা কেটে লাল বানানোর অশ্লীল খিস্তিতে নিজেই হেসে কুটি কুটি হতো তাকে হাইলাইট না করে বরং গোপনে দাফন সেরে নিতো।

দিকবিদিকশূন্য হয়ে বিএনপি নেতার কাছে ধর্না দেয়ার সময় এটা মনে রাখা দরকার সা কা ই খালেদা জিয়াকে কুকুর বলেছিল। তার ভাষায় লেজ নাকি কুকুর নাড়াতো। যার অর্থ তারেক জিয়া খালেদাকে নাড়ায়। আর হে বীরপুরুষ তোমার বাবা ই বলেছিল বিএনপিতে যাওয়াটা ছিল কবিরা গুনাহ।

দেশ ও সমাজের কোন নিয়ম না মানা কথায় কথায় তাচ্ছিল্য আর ব্যঙ্গ করার মানুষকে কে মনে রাখবে বাপ? বরং আমরা বলি কি শোক নিজেদের মত করে করো। কেউ কিছু বলবেনা। আর যদি বেশী হম্বিতম্বি করো আমরা এও বলতে বাধ্য হবো ফাঁসীর মত বিষয়কেও কলংকিত করে গেছে সা কা চৌধুরী। এককালে চটৃগ্রামের সন্তান সূর্য সেন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে ফাঁসীতে যেয়ে মানুষের প্রেরণা হয়েছিলেন।সে নিয়ে গান কবিতা লেখা ছবি আরো কতকি। সেই গৌরব ও ম্লান হয়ে গেলো কলংকের এই ফাঁসীতে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসীতে যাওয়ার ভেতর আর যাই হোক আনন্দ বা হুংকারের কিছু নাই। হুম্মাম তোমার বাইরে বাঙ্গালী ভিতরে পাকি মন তা বুঝতে পারছেনা।

আর শোকের কালে এতটা পরিপাটি পাকি পোশাক চুলে জেল ও জানি কেমন খটকা লাগায়। কেউ কেউ আসলে একজীবনে তো দূরের কথা কোনকালেই মানুষ হয়না বা হতে পারেনা। পাকির দালাল হয়েই থেকে যায়। আর বাংলার মাটি ও বড় অদ্ভূত! সহ্য করতে করতে একসময় শুলে চড়িয়ে দেয়। সাবধান বৎস।


Place your ads here!

Related Articles

Prime Minister’s Visit to Bhutan

Prime Minister Sheikh Hasina’s visit to Bhutan is timely and appropriate. Cooperation with neighbouring countries is one of the priorities

পৈতৃক পেশার শ্রদ্ধাবোধেই আজ বিশ্বনন্দিত মিস মারঠা কিং

নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোরদের ডিজিটালমুখী বিজ্ঞান প্রযুক্তির উত্তালের আশীর্বাদ মোবাইল ফোন, কম্পিউটার গেইম নির্ভর ব্যস্ততায় ছুটাছুটি করেই সময় কেটে যায়।

কাম্বারল্যান্ড কাউন্সিলের প্রতিটি লাইব্রেরীতে “একুশে কর্নার” প্রতিষ্ঠাঃ “সকল মাতৃভাষা সংরক্ষণে ‘Cumberland Council, NSW’ বৈশ্বিক মাইলফলক” (IMLD’র গণসম্পৃক্ততা বিষয়ক বিশেষ প্রবন্ধ)

স্থানীয় সকল ভাষাভাষীর মাতৃভাষা চর্চা এবং সুরক্ষায় প্রাত্যহিক গণসচেতনতা গড়ে তোলার নিত্য-নৈমত্তিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিটি লাইব্রেরীতে “একুশে

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment