২০১৪ সাল হউক , মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরুর বৎসর
১.আসলে মেকআপ দিয়ে বাহ্যিক অবস্থা সাময়িকভাবে ঢেকে রাখা যায় , প্রকৃত সত্য সাময়িকভাবে দৃশ্যের আড়ালে রাখা যায় । কিন্তু সব সময়ে নয় এবং দীর্ঘ দিন ত নয়ই । দেশের বর্তমান অবস্থাকে অনেকে অনেকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন এবং করছেন ও ; কিন্তু আমার কাছে এটা হোল অতি স্বাভাবিক একটি অবস্থা এবং অপরিহার্য পরিণতি । অনেকের কাছে কথাটা শুনতে খারাপ লাগতে পারে , কিন্তু প্রকৃত সত্য আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারিনা । প্রাকৃতিক স্বাভাবিক নিয়মকে আটকিয়ে দিলে , প্রকৃতি যেভাবে তার প্রতিশোধ নেয় । ঠিক তেমনি এই নিয়ম প্রকৃতির মাঝে বসবাসরত আমদের সকলের নিকট একইভাবে প্রযোজ্য , এবং বাস্তবে হচ্ছে ও তা । আমরা একে যাই বলি , যতভাবেই ব্যাখা দেবার চেষ্টা করি না কেন , দেশের এই অবস্থা আজ না হয় কাল হলে ও হত , একে অগ্রাহ্য করার কোন উপায় ছিল না । যদি তাই হত তাহলে প্রকৃতির স্বাভাবিককতা অকার্য্যকর হয়ে যেত ।
বংগবন্ধুর নের্তৃত্বে আওয়ামী লীগের হাত ধরে এই জাতি তার আরাধ্য স্বাধীনতা পায় , যা মোটেও সহজ ছিল না এবং যার জন্যে জাতিকে চড়া মূল্য ও দিতে হয়েছে । ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও লক্ষ লক্ষ মা – বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই জাতি তার দেশ-বিদেশের অসংখ্য বন্ধুদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে ভূল সিদ্ধান্তের একটি দৃশ্যের যবনিকাপাত ঘটায় । তা হলো পাঞ্জাবী নামক জাতিদের তথাকথিত অসম দাসত্বের বেড়াজাল থেকে বাংগালী জাতিকে বেড়িয়ে আসা । বাংগালী জাতি তার সহমহিমায় উৎভাসিত হয় , নতুন জীবন খাতার পরিভ্রমন শুরু করে , অনেক আশা জাগানিয়া স্বপ্ন ছিল , অনেক দূরে যাবার কথা ও ছিল । কিন্তু এই জাতির পুঁড়া কপাল যে সহজে জোঁড়া লাগবার নয় । যেই মহা পুরুষের অশায় জাতি বুক বেঁধে ছিল , সেই নেতা , সেই মহাপুরুষকে পরাজিত শক্তির প্রতিশোধের মত্ততায় এই দেশীয় মানুষ নামক হায়েনার হাতে অকাল জীবন দিতে হয় , জাতি এর জন্যে প্রতিবাদ করবে কি ? শোকে সমগ্র জাতি তার বাকশক্তি , প্রতিশোধের শক্তি , প্রতিবাদের শক্তি হারিয়ে ফেলে । জাতি তার দিশা হারিয়ে কক্ষচ্যূত হয়ে পরে ।শুরু হয়ে যায় তাদের নীল নকশা বাস্তবায়নের পালা , জাতি বুঝবে আর কি ? শুধু ফেল , ফেল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আর সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে এর বিচার দিয়ে যায় ।
১৯৭৫ সালের মহা ট্র্যাজেডির পর শুরু হয় জাতিকে নিয়ে একের পর এক নাটক । জাতির পিতার হত্যার বিচার , ওনার পুরো পরিবারকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে হত্যার বিচার করা দূরে থাক; এমন পরিকল্পনায় – এমনই কায়দায় প্রচার প্রপাগান্ডা চালানো হতে থাকে যে , জাতির কিছুই হয়নি ; বরঞ্ছ জাতি নাকি মহাজালিমের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে , নাউযুবিল্লাহ —। জিয়া শুধু তা প্রচারে ক্ষান্ত থাকেনি , যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে , তাদেরকে ধরে বিচারের কাঠগড়ায় শরণাপন্ন করা দূরে থাক । তাদেরকে দেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরীর ব্যবস্থা করে পুর্ণবাসন করেছেন । তাহলে তার মানেটা কি ? নিঃশ্চয় জিয়া পিতার হত্যাকারীদের হয় একজন , না হয় একটি বৈধ সরকারকে উৎখাতের দোষে দুষ্ঠ । জিয়ার বিচার হয়নি । ওনার গুণধর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে পাকিদের কাছে ওনার ঋৃণ শোধ করেছেন । জননী জাহানারা বেগমের নের্তৃত্বে যখন রাজাকারদের বিচারের দাবী উঠল এবং গণআদালত বসল , তাতে বেগম জিয়ার গাত্রদাহ হল, ওনি গণআদালতের সকলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দিলেন , সেই মামলা মাথায় নিয়েই জননী চলে গেলেন না ফেরার দেশে ।তাতে বেগম জিয়া খুশিই হয়ে ছিলেন । মাথাটা অন্তত পক্ষে দেশদ্রোহিতার মামলা নিয়ে পরপারে পাঠাতে পেরেছেন , সাবাস বেগম জিয়া !
ওনি আরো অনেক নাটক আমাদের দেখালেন পিতার হত্যাকারীদের জাতীয় সংসদে বসালেন , বিচার — ? বেয়াদবের বাচ্চারা বলে কি ? এ দেশের পাকি সরাসরি এজেন্ট হলেন গোলাম আযম ও তার দল , যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কিন্তু জাতি কোনদিন আপস করেনি , ওনি জাতির সাথে শুধু মশকরাই করলেন না , কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীত্ব দিয়ে ওনি যে ওদেরই একজন তা আবার ও জাতিকে বুঝিয়ে দিলেন । শুধু তাই নয় , ওনি যে পাকি দুই নম্বর টিম তা খোলাসা করলেন এই বলে যে জামায়াত ও বিএনপি একই মায়ের সন্তান , সাবাস তারেক রহমান , সাবাস বিএনপি —।
বিএনপি যে কত বড় গণতান্ত্রিক দল তার পরিচয় হোল ৯৬ য়ে ওনি ক্ষমতা গণতান্ত্রিক উপায়ে ছাড়েননি , ২০০৫ য়ে ও ওনারা ক্ষমতা ছাড়েননি , মঈন – ফখরুলদের হাতে ওনারা ক্ষমতা দিয়ে বড় গণতান্ত্রিকতার পরিচয় দিলেন , তারপর ও এ জাতির প্রিয় গণতান্ত্রিক দলের নাম হোল বিএনপি । সাবাস বাংগালী জাতি —!
২. বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুুষ্ঠু নির্বাচনের মাধম্যে ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে মহাজোট সরকার জাতিকে এই অংগীকার করে ক্ষমতায় আসে যে , আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন করবে , রাজাকারদের বিচার করবে । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে অক্ষরে অক্ষরে জাতির কাছে দেয়া তাদের ওয়াদা পূরন করেছে , কাজেই এই ক্ষেত্রে কোনভাবেই আওয়ামী লীগের সরকারকে ওয়াদা খেলাপকারী বলা যাবে না । প্রতি ক্ষেত্রে দেশের যথেষ্ঠ উন্নতি হয়েছে , আশা যা ছিল পুরোপুরি তা
হয়তবা পূরন হয়নি , কিন্তু যতটুকু হয়েছে তা বাংলাদেশ জন্মের পর কোন একক সরকার করতে পারেনি , এই সত্য কিন্তু আমাদের স্বীকার করতেই হবে ।
দূর্ণীতি বন্ধ হয়েছে এ কথা বললে মিথ্যা বলা হবে , তবে শেখ হাসিনার সরকার যথেষ্ঠ আন্তরিক ছিলেন , এবং এই দূর্ণীতি কারোর পক্ষে এদেশে রাতারাত্রি বন্ধ করার স্বপ্ন দেখানো হবে সবচেয়ে বড় ভাওতাবাজি ।
ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে অদ্যাবধি এই সরকারয়ের পথ চলা কিন্তু মোটেও মসৃণ ছিল না , বিডিয়ারের বিদ্রোহ , ইউনুস সাহেবকে নিয়ে আমেরিকার ধমক , পদ্মা সেঁতুতে ষড়যন্ত্র , রাজাকারদের বিচার বন্ধের আর্ন্তজাতিক চাপ সব মিলিয়ে সরকার পথ চলেছে কন্টকাকীর্ণ পথে , মসৃণ পথে কখনো নয় ।
২০০৭য়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কান্ডকীর্তি দেখে জাতি এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি এতই বীতশ্রদ্ধ হয় যে , দেশের সভ্য লোকেরা বলতে থাকে আলবিদা — তত্ত্ববধায়ক সরকার এবং সবোচ্চ আদালতের রায়ের পরপরই সরকার সংসদে বিল এনে উপরোক্ত ব্যবস্থার চির অবসান গঠান যা আমাদের ও দাবী ছিল । মূল কথা হোল তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা কেন ? কারন দেশের নির্বাচনকে সুুষ্ঠ করা । যদি কোন সরকার এটা প্রমাণ করতে পারে যে , সুুষ্ঠ নির্বাচন তাদের পক্ষে সম্ভব এবং যথেষ্ঠ প্রমাণ ও রয়েছে তারপর ও এ দাবী তোলা মানে হোল ঠান্ডা মাথায় দেশের শাসন ক্ষমতা অনির্বাচিতদের হাতে তুলে দেয়া । কিন্তু আমরা ত সুুষ্ট নির্বাচনের নামে এ ধরনের অবিবেচক দাবীর পক্ষে নই । যদি বিষয়টা হয় নির্বাচন ও সুুষ্ঠ নির্বাচন তাহলে ত আরো বিভিন্ন পদ্ধতির কথা ভেবে দেখা যেতে পারে , কেন বাপু তোমাকে এই ধরনের একটি ব্যর্থ ব্যবস্থাকেই আবার ফিরিয়ে আনার জন্যে গোঁ ধরতে হবে এবং এ দাবী প্রতিষ্ঠার জন্যে জীবন বাঁজি রেখে সবকিছু জা্বলিয়ে , পুঁড়িয়ে দিতে হবে , এটা কোন ধরনের রাজনীতি ? আমরা এ ধরনের অহেতুক ও অবিবেচক রাজনীতির বিপক্ষে । এখন সরকারকে এ ধরনের অপরাজনীতি বন্ধের জন্যে অবশ্যই প্রয়োজনে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে এবং এক্ষণই ।তা না হলে মানুষ তথা দেশ বাঁচবে না ।
সুুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা কিন্তু কোনভাবেই সরকারকে দায়ী করতে পারি না । গত অকটোবর মাসে সম্ভবত কোরবানি ঈদের আগে অথবা পরে হবে শেখ হাসিনা কিন্তু বিরোধী দলকে নির্বাচন সুুষ্ঠ করার ব্যাপারে নির্বাচনকালিন সর্বদলীয় সরকারে যোগদানের ব্যাপারে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন , কিন্তু বিরোধী দলীয় নেত্রী কিন্তু দেশের কথা নয় , সম্পূর্ণ ওনার ব্যাক্তিগত ইগোর কারনে অকেজো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে গোঁ ধরে দেশে রাজনীতির নামে অরাজকথার রাজনীতি শুরু করেছেন ।
এদিকে আমাদের বুঝতে হবে যে , বর্তমান সরকার কিন্তু একটি নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকার , সরকারকে সংবিধানের বাইরে যাবার রাস্থা কিন্তু এখানে সীমিত , এখন আমরা তথাকথিত সুুশীল বাটপাড়রা যদি বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারকে নির্বাচনের ব্যাপারে আঁতলামী সিদ্ধান্ত দেই তা হলে কিন্তু আমরা সরকারকে পরিকল্পিতভাবে অসাংবিধানিক পথে ঠেলে দেই , যা কিন্তু কাম্য নয় । একটি নির্বাচিত সরকার তথা সরকারের প্রধান কেবল ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন আরেকটি নির্বাচিত দল তথা সরকার প্রধানের হাতে ।কাজেই সাংবিধানিকভাবে কিন্তু সরকারের অন্যথা করার কোন উপায় নেই এবং সরকারকে আজকের এই অবস্থায় ঠেলে দেবার পেছনে কিন্তু আমরা সকলে দায়ী । কারন সরকারকে আমরা সাংবিধানিক বেঁড়াজালে আটকিয়ে আজকের এ অবস্থায় দাঁড় করিয়ে , আবার আমরাই সকলের অংশগ্রহনের নির্বাচনের কথা বলছি । এক্ষেত্রে আমরা সরকারকে সাহায্যের বদলে আজকের এই অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছি ।এখন দেশ , গণতন্ত্র তথা সংবিধানের স্বার্থে হলেও ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন মেনে নেয়া ছাড়া অন্য কোন গত্যান্তর নেই ।যদি ও ব্যাপারটি ভাল ঠেকছে না , কিন্তু সরকারের কাছে এখন অন্য কোন প্রকার বিকল্প নেই এবং য়ের জন্যে দায়ী খালেদা জিয়া ।তথাকথিত গণতন্ত্রের রক্ষাকর্ত্রী ।
৩.জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে । বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ট্রেনটিকে জন্মের পরপরই পরাজিত শক্তি লাইন চ্যূত করে ফেলেছে এবং এ কাজে তারা এই দেশীয় লোকজনই ব্যবহার করেছে । যেটা হোল তাদের সবচেয়ে বড় সফলতা । দেশের নির্বাচিত সরকারকে অস্ত্রের জোড়ে ক্ষমতা চ্যূত করার অভ্যাস , জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যাকারিদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করা নামক মহাপাপের মাধম্যে এই রাষ্ট্র তথা সমাজ কাঠামোতে আমরা অন্যায় প্রচলনের যে অভ্যাস প্র্যাকটিস শুরু করেছিলাম , যার রেশ সারা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গিয়ে এখন সমাজ শেষ করে ফেলেছে । সেই পাপবোধ থেকে মুক্তি তথা ৩০ লক্ষ শহীদদের আত্মার সাথে যারা বেঈমানী করেছে সেই বেঈমানদের শাস্তির বদলে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের হাতে রাষ্ট্রীয় পতাকা তুলে দিয়ে আমরা যেই বেঈমানী করেছি শহীদদের প্রতি তার প্রায়ঃশ্চিত্ত না করে আমরা সুুখি তথা সুুন্দর সমাজের স্বপ্ন দেখি কি করে ? এই দেখা ত পাপ !
এই মহাপাপ থেকে প্রায়ঃশ্চিত্তের সময় এখন এসেছে । সমস্ত অন্যায় , পাপাচারের বিচার করে , ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধম্যেই কেবল আমাদের মুক্তি । শেখ হাসিনার সরকার সেই কাজটি এখন করছেন , এক্ষেত্রে সরকারকে সাহায্য না করে তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে, আমরা যারা রাজাকারদের রক্ষার নামে মিষ্ঠি মিষ্ঠি কথা বলছি তারা হলাম জ্ঞানপাপী , আর এইসব তথাকথিত ভন্ডদের ব্যাপারে আমরা যদি এখনই সাবধান না হই ; তাহলে এই সরকার লাইনচ্যূত যে ট্রেনটিকে লাইনে প্রতিস্থাপন করেছেন তা যদি আবার ও লাইনচ্যূত হয়ে যায় তাহলে জাতির আর রক্ষা নেই ।এই দেশের স্বার্থে , মানুষের স্বার্থে আমাদের অনেকগুলো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই , এবং তা নেবার সাহস এবং ক্ষমতা রাখে একমাত্র শেখ হাসিনার সরকার ।রাজাকারদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে দেশের স্বার্থে হলেও রাজাকারদের প্রতিষ্ঠাকারীদের, সহায়তাকারীদের কে ও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে । যারা বলে অতীত নিয়ে ঘেঁটে কি লাভ ? তারা আমাদের কথা না শুনিয়ে তাদের আব্বা আমেরিকাকে বলুক কি আর হবে নাৎসীদের আর বিচার করে ! নাৎসীরা যেভাবে মানবতার অবমাননা করছে এবং য়ের জন্যে যেই শাস্তি তাদের পাওয়া উচিত , ঠিক তেমনি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল ১৯৭১ সালে , এক্ষেত্রে নাৎসীদের যা হয়েছে , এ দেশের রাজাকারদের এবং তাদের দোসরদের পরিণতিও হওয়া উচিত একি । এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র শৈথিল্য প্রদর্শন করা হবে আমাদের জন্যে আত্মহত্যার সামিল ।
অনেকে নির্বাচনের কথা বলেন , গণতন্ত্রের কথা বলেন , মৌলিক অধিকারের কথা বলেন , এসব আসলে কিছু না । আজকে দেশের এ অবস্থার মৌল কারন হোল বাংলাদেশ কাদের, বাংগালীদের , নাকি এদেশীয় পাকি দালালদের ? আমাদের ব্যর্থত্য কিংবা সফলতা যাই বলি আসল কথা হোল এবার আমরা আসল ব্যাপারটি চিহ্নিত করতে পেরেছি এবং এর সমূলে আঘাত হেনেছি । তাই ত তাদের এবং সাংগ-পাংগদের এবার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে , বুঝতে পেরেছে তারা ধরা খেয়ে গেছে এবং এবার আর রক্ষা নেই ।
সত্যিই রক্ষা নাই , ২০১৪ সালে আমাদের শপথ হবে এদেশে কারা নের্তৃত্ব দেবে , যারা দেশটাকে তৈরী করেছে তারা , নাকি পরাজিত শক্তির দালালরা ? এই মৌল প্রশ্নের উত্তরের জন্যে আমরা লড়ছি এবং এই লড়াই আরো তিব্রতর করতে হবে । প্রয়োজনে আরো রক্তক্ষয় , আরো ধ্বংসলীলা সাধিত হলে ও হবে । দৈত্যকে এবার আমরা বধ করবই কারন এ লড়াইটা গণতন্ত্র কিংবা মৌলিক অধিকারের চেয়ে বড় বিষয় হোল আমাদের অস্তিস্তের লড়াই । এ লড়াইয়ে আমাদের কোনভাবেই পাকি এজেন্ডদের কাছে পরাজিত হলে হবে না ।১৯৭১ সালে আমরা জয়ী হয়েছি , ২০১৪ তে ও জয়ী হব – ইনশাল্লাহ—- । এবার আগে আমাদের অস্তিত্ব তারপর গণতন্ত্র এবং বাকী সব , এখন গণতন্ত্রের চেয়ে ও বেশী প্রয়োজন আমাদের চিহ্নিত শত্রু বধ করা , দেশের সার্বভৌমত্বকে নিরাপদ রাখা ।
২৯শে ডিসেম্বর ২০১৩ তে জামাতের মহিলা আমীর এবং এদেশের পাকি এজেন্ড খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের জেলা মানচিত্র থেকে নাকি গোপালগঞ্জ জেলার নাম তুলে দিবেন , ওনার এই চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করলাম এবং দেখা যাবে কে কার নাম মুছে ফেলে । আমি বুঝি না এই জাতীয় বক্তব্যের পর ও সরকার কেন খালেদা জিয়াকে জেলে পুঁড়ছেন না । যাদের সঠিকভাবে বক্তব্য দেবার যোগ্যতা নেই , তাদের নের্তৃত্ব দেবার ও কোন অধিকার নেই ।
লেখা আর দীর্ঘায়িত করতে চাই না , সকলকে খিষ্ট্রীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা সবং যে যেখানে থাকুন ভাল থাকুন , সুুস্থ্য থাকুন , এই কামনায় ——- ।
আরশাদ হোসেন ভূঁইয়া
এডেলেইড , অস্ট্রেলিয়া
২রা জানুয়ারী ২০১৪