নানা রূপে সিডনি অলিম্পিক পার্ক বৈশাখী মেলা
সিডনিতে এখন শরত, তবুও অনুষ্ঠিত হলো বাংলা নব বর্ষের প্রানের উত্সব বৈশাখী মেলা, গত ২৬ এপ্রিল অলিম্পিক পার্ক এর অ্যাথলেটিক সেন্টারে হয়ে গেল এই মেলা বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল এর পাবলিক রিলেসন কর্তা সুরজিত রায় জানালেন, এবারের অলিম্পিক পার্কের মেলায় দর্শক সংখা ছিলেন প্রায় ১৮ হাজার ৷ টিকিট বিক্রির টাকা দিয়ে খরচ ছাড়াও প্রতিবন্দী সংগঠন শেয়ার কেয়ার ও বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ডিসাস্টার রিলিফ সহ বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিল অনুদান করে ৷ এ মেলা উপলক্ষে মেলবোর্ন, ব্রিসবেন, পার্থ সহ সারা অস্ট্রেলিয়া থেকে বাঙালিরা সিডনি এসে জড়ো হয়, এ যেন বাঙালির মিলনমেলা ৷
এবার মেলায় যোগ দিয়েছেন সিডনি অলিম্পিক পার্কের সিইও, স্থানীয় সাংসদ ও কউন্সিলার ৷ বরাবরের মত এবারও প্রধান অতিথি ছিলেন বিদায়ী বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ৷ বিদেশী এক সাংসদ বললেন, হয়ত বাংলাদেশের বাইরে এটাই বাঙালিদের সবচেয় বড় মেলা ৷ অলিম্পিক পার্ক প্রধান ঘোষণা দিলেন আগামী বছর থেকে অ্যাথলেটিক পার্কের চাইতে বড় কোনো ভেনুতে এ মেলা হবে ৷
দেশী বিদেশী রকমারি খাবারের দোকান ছাড়াও বই ও পোশাকের বেশ কিছু ষ্টল গুলোতে ভীর দেখা গেছে ৷ তবে এ মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল মঞ্চে আযোজিত অনুষ্ঠানমালা ৷ আযোজক ও বিশিষ্ট অথিতিদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পরে মঞ্চে এলো সিডনি প্রবাসী শিল্পী অমিয়া মতিন ৷ তিনি গাইলেন প্রতিমার কযেকটি জনপ্রিয় গান ৷ জীত গাইলেন কিশোর কুমারের গান ৷ সিডনি বাসী উজ্জল মান্না দে সহ কযেকটি গান শোনালেন ৷ এরপর মঞ্চে এলেন বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত শিল্পী রিঙ্কু ও সুরকার বাসু দেব ৷ রিঙ্কু দর্শক দের অনেকক্ষণ মাতিয়ে রাখলেন ৷ প্রায় প্রতি বছর
ের মতই এবারো সেরা পারফর্ম করলো সিডনি প্রবাসী পথ প্রোডাকশন দল ৷ সরাসরি বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল এর অর্থায়েনে দলটি আমাদের মুক্তিযদ্ধ ও বাঙালি সংস্কৃতির নানা দিক তুলে ধরে ৷ দর্শকের মহুর্মুহ হাত তালিতে বুঝা যায় কত জনপ্রিয় এই পথ প্রোডাকশন ৷
সব শেষের আকর্ষণ ছিল ফায়ার ওয়ার্কস ৷ দর্শকরা এবারও উপভোগ করেছে মনোমুক্ধকর এই আতশ বাজি ৷ রাত তখন প্রায় সাড়ে দশটা, যখন ভাঙ্গলো বাঙালির এই মিলন মেলা।