নারী শিক্ষা ও নেতৃত্ব : ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় হোক
আমরা ছোট বেলায় নারী শিক্ষায় অবদান রাখবার জন্য বেগম রোকেয়ার নাম শুনতাম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান বঙ্গবন্ধু দিতে চেষ্টা করেছেন। নারী নেতৃত্ব বিকাশে ও নারীর ক্ষমতায়নে সরকার যেমন সচেষ্ট তেমনি বেসরকারী ও আন-জাতিক উদ্যোগও সার বিশ্বের মানুষের নজর কেড়েছে। ড. ইঊনুসের গ্রামীন ব্যাংক মডেল নারীর ক্ষমতায়নে মডেল হিসেবে বিবেচিত।
নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে দেশের জনগণ যেমন বেগম জিয়াকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী করেছে তেমনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তিনবার দেশের শীর্ষ অবস’ানে আসন করে নিয়েছেন বাঙালীর জাতিকে অগ্রগতির পথে নিয়ে গেছেন। ১৯৮১ সাল থেকে দেশের ১৬ কোটি মানুষ দুইনেত্রীকে সকল আশা আকাংখা এবং ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখেছেন। যখন দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপি নির্বোধের মত বর্জন করলো তখন জনগণ বেগম রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেত্রীর আসনে স’ান করে দিল।
নবম ও দশম সংসদ ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীকে স্পীকার নির্বাচিত করেছে এবং গত দুই সংসদের সংসদ উপনেতা হয়েছেন মিসেস সাজেদা চেনধুরী। আমরা আরও লক্ষ্য করেছি ড. দীপু মনি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সাহারা খাতুন কতটুকু সফালতা দেখিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতির আসনে নারীদের যেমন স’ান করে দিয়েছেন তেমনি স’ান সচিবালয়েও হয়েছে। আমার এলেখা প্রকাশের আগেই হয়তো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত উপাচার্য হবেন ড. ফারজানা ইসলাম। এ নিয়োগের মধ্যদিয়ে প্রথম মহিলা উপাচার্য হবেন তিনি। আর আগেই উপ-ঊপাচার্য হয়েছেন ড. নাসরীন আহমেদ।
যদি নোবেল কমিটি নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়টি গুরুত্ব দেন তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এজন্য নোবেল পুরষ্কার দেবেন হয়তো। বাংলার জনগণ সেই মহান গৌরব অর্জন করবে যদি বর্তমান সরকার ইডেনকে বিশ্ববিদ্যায়ের রুপানর-র করেন। আমরা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে লাকী আখতারের শ্লোগান শুনে উদ্দীপ্ত হয়েছি। আমরা আজও মায়ের সেবায় ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নদী সাতরে বাড়ি পৌছানোর কথা শিশুদের শুনাই। আমরা আজও বলি আমার মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে দেব না। গান গাই বাংলা আমার মা। মায়ের মুখে হাসি ফুটুক ইডেনকে বিশ্ববিদ্যালয় রুপান-র করবার মধ্যদিয়ে। আগমাী ৮ই মার্চ যখন জাতিসংঘ বিশ্ব নারী দিবস পালন করবে সেদিন বাঙালী যেন গর্বভরে জাতিসংঘকে বলতে পারি আমরা নারীদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। এবং সেটি বিশ্বের প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়। যেযুক্তিতে শিক্ষকরা ভিন্নতর অবস’ান নিয়েছে তা সমাধানযোগ্য। আশা করি তারা আমার সঙ্গে একমত হবেন। অক্সফোর্ডে যেমন তিন স-রের শিক্ষক আছেন তেমনি ভাবে বর্তমান শিক্ষকরাও তাদের স্পদে থাকতে পারবেন।
অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।