নৌকার পালে হাওয়া: ফিরে আসছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার
নি:সন্দেহে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছে বিরোধীদল। আর নৌকার সু’দিন সামনে। বিজয় নিশ্চিত। আর তাই জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী। তিনি প্রথমে এই বিশ্বাসকে প্রকাশ করেছেন সংলাপের আহবান করে। বিরোধীদল এই আহবানে বিপদে আছে। আর তাই নানা ছলচাতুরী করে মুখোমুখি হতে চাইছে না। বিরোধীদলীয় নেত্রী বুঝতে পেরেছেন যেসরকারই হোক না কেন পরাজয় নিশ্চিত। কারণ সফলতার বিরাট পাহাড় গড়েছে আওয়ামী লীগ। তাঁদের স্বপ্ন বায়ুর মত উড়ে গেছে হেফাজতের ব্যর্থতায়। তাহারি স্কয়ার বানানোর জন্য যে জনবল দরকার তা ওই রাজাকারদের কি আছে? যদি থাতকো তবে তারা ১৯৭১ সালেই সফল হত।
আমার ধারণা, যা ইতিমধ্যে ব্যারিষ্টর মওদুদ আহমেদ বলেই ফেলেছেন, যেকোন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুর্ণ:বহালে ঘোষণা দেবেন। দিনটি হবে একটি শুভক্ষণ। ১২ই জুন বা পলাশী দিবস। বিদ্যুতের দাবী, কাজের সংস্থান, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, এবং সর্বপোরি নারীর ক্ষমতায়ন অতীতের সকল সরকারের সাফল্যকে ম্লান করে দিয়েছেন তিনি। চমক মন্ত্রী সভা গঠন করে যাত্রা শুরু করে তিনি চমক দিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছেন।
গণজাগরণ মঞ্চ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দিয়েছে অভাবনীয় শক্তি। সকল অপবাদ মুছে দিয়েছে আজকের ডিজিটাল বাংলার তরুণ ব্লাগাররা। ব্লাগার আন্দোলন ডিজিটাল বাংলার বাস্তব রুপ। সেটি আর রুপকল্প নয়। আজকের তরুণ প্রজম্ম ওয়েব ব্রাঊজ করে জয়বাংলাকে নতুন করে আবিস্কার ও প্রতিধ্বনিত করেছে। তারা বুকে ধারণ করেছে মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা। আরোও কিছুটা অপেক্ষা। তখন জাতির জনকের কন্ঠ ও ছবি এ্ই তরুণ প্রজম্মকে হাজার বছর পথচলার প্রেরণা যোগাবে। জাতি এগিয়ে যাবে সঠিক লক্ষ্যে। যে মর্যাদার জন্য বাঙালী যুগে যুগে লড়েছে, ওক্ত দিয়েছে রাজপথে, সেই রাজপথে ঘাতকরা দাঁড়াতে পারে কি? ২৮শে আকোটাবর ২০০৬ এ ওই মতিঝিলে তাঁরা দাঁড়িয়ে টিকতে পেরেছিল কি?
কালভার্ট নির্মাণের জন্য যারা বিদেশ যেতেন বিলাসিতা করতে তাঁদেরকে আর উদ্বিগ্ন করতে হবেনা। নিজের শ্রমে যেমন লক্ষ কোটি টাকা আয় করছে আমাদের শ্রমিক ভাইরা। তাঁরা দমে যায় না রানা প্লাজায় চাপা পড়ে, তাঁরা আজ নতুন করে জেগেছে বাংলার ঘরে ঘরে। তাঁরাই নির্মাণ করবে আমাদের স্বপ্নের পদ্মাসেতু। স্বাধীনতা যে জাতি আনতে পারে সে জাতি নিজের শক্তিতে সবই পারে। তাঁকে হেয় করবার যেমন কারোও অধিকার নেই, তেমনি নতুন করে শ্রমিকের পক্ষে দাঁড়াবার বিশেষ কারোও প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন, তেমনি শ্রমিক কৃষক জনতার পাশে আছেন তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেলবোর্ণ থেকে।