Suranjit Sengupta babu ki thamben?
বিশেষঞ্চকে খোলাচিঠিঃ সুরঞ্জিত বাবু কি থামবেন ?
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত সংবিধান বিশেষঞ্চ তাতে কোন সন্দেহ নাই তাই বলে ঞ্চ্যাতসারে অঞ্চতার প্রমাণ দিলে তার বিশেষঞ্চতায় ঘাটতি হলেও বিশেষঞ্চতার স্বীকৃতি বিলীন হবেনা ।বিচার বিভাগকে জবাবদিহিতার কোন নির্দেশনা সংবিধানে আছে এমনটা আমার জানা নাই ।সুরঞ্জিত বাবু কোন অবস্থায়ই জবাবদিহিতার জন্য বিচারবিভাগকে তলব করতে পারেন না । যে সংসদ আইন তৈরির প্রতিষ্ঠান, সেই প্রতিষ্ঠানে অসাংবিধানিক অথবা সংবিধানের সাথে সাংর্ঘষিক আইন তৈরি হলে তা যতটুকু সাংর্ঘষিক তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়ার সাংবিধানিক ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র বিচার বিভাগ । বিগত সময়ে সুরঞ্জিত বাবু যখন সংসদে ছিলেন , মন্ত্রিত্বে ছিলেন, তিনি কি সে সময় কখনো বলেছিলেন সংবিধানের ৫ম সংশোধনী অবৈধ ? তার সরকার কি বলেছিলেন পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ? দেশের সাধারণ একজন ব্যবসায়িক নাগরিকের আইনি লড়াইয়ের ঘটনায় ২০০৫ সালের ২৯শে আগস্ট হাইকোর্টের ঐতিহাসিক এক রায়ে ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছেন ।
যা আওয়ামী লীগ পারেনি ,আওয়ামী লীগের সরকার পারেনি ।এখনো সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে। পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের হাইকোর্টের নির্দেশকে যারা ছোট করে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধুঁয়া তুলে পঞ্চম সংশোধনীকে বাতিল করার প্রক্রিয়ায় নায়ক হতে চাচ্ছেন ,তারা জাতিকে ও সংবিধানকে আবার পাঁঠাবলি দেওয়ার যড়যন্ত্র করছেন । আওয়ামী লীগের এখন সংবিধান পরিবর্তন করার সংখ্যাগরিষ্ঠ তা না থাকলেও পঞ্চম সংশোধনী সংবিধান থেকে বিলীন করার আইনি বা সাংবিধানিক কোন সংকট হতোনা।
যেহেতু সংবিধানের মুল অভিভাবক বিচার বিভাগ ,সেই বিচার যে ভাবে নির্দেশ করেছে সেভাবে সংবিধান পুনঃ মুদ্রণ হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনক হিসাবে আবার সংবিধানে আপন মহিমায় প্রতি স্থাপন লাভ করিবেন।১৯৭২ সালে ১৬ই ডিসেম্বর জাতিয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ,সে প্রস্তরে লেখা ছিল কবি গুরুর কবিতার কয়েকটি লাইন ।
উদয়ের পথে শুনিকার বাণী ,
ভয়নাই ওরে ভয়নাই !
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ,
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই !
জাতিয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । ইংরাজি সন ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭২ ।
এরপর আবার জাতির জনককে রাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার কি কারও দরকার আছে ? স্বাধীনতা উত্তর অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে আওয়ামীগের অভ্যরীন দন্ধে কুলশিত হয়েছে অনেক ইতিহাস ।মোগল শাসনামলে ঢাকার নাম ছিল জাহাঙ্গীর নগর । ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের রাজধানীর নামছিল মুজিব নগর ।সংবিধান বিশেষঞ্চরা সেদিন সংবিধান তৈরির সময় ঐতিহাসিক মুজিব নগরকে বাদ দিয়ে সাংবিধানিক ভাবে ঢাকার নাম সংবিধানে সংযোজন করে রাজধানী মুজিব নগর কে কবর দিয়ে ছিলেন ।তা না হলে আজকের বাংলাদেশের রাজধানীর নাম থাকতো মুজিব নগর !!
মাননীয় প্রধান বিচারপতি ১৬ই জানুয়ারি ২০১১ ইংরাজি তারিখে গর্বকরে বলেছেন সংসদ ,(আইনসভা ) নির্বাহী (সরকার) ও বিচার বিভাগ তিনটি স্থর একে অপরের পরিপূরক ।এর সাথে আমি আরও যোগ করতে চাচ্ছি ,সংসদ ও নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগকে নির্দেশ করতে পারে না ।তবে, প্রয়োজনে বিচার বিভাগ অপর দুই স্তর বা বিভাগকে অনুরুধ কিংবা নির্দেশ করতে পারেন ।আর সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন ।সেই সংবিধানের অভিবাবক্ত, রাষ্ট্রের সংবিধানই , বিচার বিভাগকে অপরিসীম উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে আজকের বিচার বিভাগকে ।আর সেই মহিমায় ক্ষমতাবান হয়ে গৌরব উজ্জ্বল এক ঐতিহাসিক রায়ে বাংলাদেশের কুলশিত স্বৈর শাসনকে চিরতরে সমাহিত করেছে আজকের বিচার বিভাগ । যা সংসদ পারেনি , রাষ্ট্রের নির্বাহী পারেনি ।সবশেষে আমার আকুল আবেদন রইলো পঞ্চম সংশোধনী যেন সুপ্রিমকোর্টের রেফারেন্সেই সংশোধন হয় ।সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠে ঐ পঞ্চম সংশোধনী বিলুপ্ত করলে ৭১জ্ঞর শকুনের হাতে আবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা এলে পঞ্চম সংশোধনী আবার জাতির ঘাঁড় মটকাবে ।
হারুন রশীদ আজাদ( সিডনি-থেকে ) azad,banglamedia@gmail.com