Research Paper on Dhaka Transport Part 4
ঢাকার যাতায়াত ও অন্যান্য সমস্যার
একটি নিশ্চিত সমাধান
(চতুর্থ/শেষ পর্ব)
ঢাকার বিকেন্দ্রীকরনের সম্ভাব্য ফলাফলঃ
উপরে কেন্দ্রীয় ও পারিপার্শিক ঢাকার যে রূপরেখা দেয়া হয়েছে তাকে এক কথায় ঢাকার বিকেন্দ্রীকরন বলা যায় । এখানে মূলতঃ মূল ঢাকা, যা বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদী থেকে উত্তরা ও বনানীর সীমান্ত পর্য্যন্ত বিস্তৃত তা বিভিন্ন সরকারের ভূল পরিকল্পনায় যে মারাত্মক সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে তার একটি স্থায়ী সমাধান দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে । এই সমস্যাগুলি সরকার প্রধানতঃ দেশী বিদেশী উপদেষ্টা এবং ব্যবসায়ীরদের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে নানা ভুল পরিকল্পনার মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন । এখানে উল্লেখ করা যায় যে, বিদেশে উপদেষ্টাগন যেসব পরিকল্পনার মাধ্যমে শহরকে সমস্যাশংকুল করে শেষে বিকল্প স্থানে শহর স্থানান্তরের প্রস্তাব আনেন এখানেও সেগুলিই ব্যবহৃত হয়েছে । তারা হয়তো এখন সেই প্রস্তাবটি পেশ করার জন্য অপেক্ষা করছেন ।
কিন্তু আমরা সেটা চাই না । রাজধানী স্থানান্তরের মতন ব্যয়বহুল কাজে অনেকের স্বার্থ থাকলে ও আমরা মনে করি। বাংলাদেশের মতন একটি দরিদ্র দেশের অর্থনীতির পক্ষে এটি অনুকূল নয় । সেই সঙ্গে আমরা মনে করি, ঢাকার যেসব ঐতিহাসিক কারনে স্মরনীয় স্থান বা স্মারক আছে তা কোন বিকল্প স্থানে পাওয়া যাবে না । তাই আমরা ঢাকাকে বাঁচিয়ে তুলতে চাই ।
কেন্দ্রীয় ঢাকার কিছু কিছু সুবিধা পার্শ্ব ঢাকায় সরিয়ে ফেললে তাতে ঢাকার সমস্যার সমাধান হলেও কিছু কিছু লোকের সমস্যা হবে । যেমন, এর ফলে এই ঢাকার গুরুত্ব কিছু কমে যাওয়ায় ব্যবসা, সেবা, জিনিসের দাম, বাড়িভাড়া ইত্যাদি কিছু কমবে । এতে কিছু লোকের স্বার্থ হানি ঘটবে । তবে, একই কারনে আবার বৃহত্তর ঢাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে ।
কেন্দ্রীয় ঢাকার আভ্যন্তরীন যাতায়াত ব্যবস্থাঃ
উপরে কেন্দ্রীয় ঢাকায় কোন্ কোন্ এলাকা থাকবে তা বলা হয়েছে । যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানের জন্য এই এলাকায় যে সব ব্যবস্থা করা হবে তার মধ্যে আছেঃ
(০১) ব্লক চিহ্নিত করনঃ সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ কিলোমিটার লম্বা চারটি বড় রাস্তা দিয়ে ঘেরা এলাকাকে বলা হবে একটি ব্লক । সমগ্র অঞ্চলটিকে এভাবে কতকগুলি ব্লকে ভাগ করা হবে । প্রতিটি ব্লককে চিহ্নিত ও তাদের নামকরন করা হবে । প্রতিটি ব্লকের আয়তন এবং বর্তমান লোকসংখ্যা নির্ধারন করা হবে ।
(০২) ব্লকের জন্য বানিজ্যিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নির্ধারনঃ আয়তন এবং বর্তমান লোকসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিটি ব্লকের জন্য কতটি বানিজ্যিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন তা নির্ধারন করা হবে । এই সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকবে কাঁচা বাজার, ব্যাঙ্ক, কোরিয়ার-পোস্ট, বিভিন্ন ধরনের ডাক্তার (যেমন, সাধারন, দাঁতের, শিশুদের, প্রসূতি ও মহিলাদের ইত্যাদি), গৃহস্থালী জিনিস সারাইয়ের দোকান, কলেজ, স্কুল, আবাসিক ভবন (যেমন, কর্মজীবি পুরুষ ও মহিলাদের বাসস্থান, ছেলে ও মেয়েদের হোস্টেল, গৃহ পরিচারক, ড্রাইভারদের থাকার জন্য স্থান ইত্যাদি) । তবে প্রতিযোগিতা বজায় রাখার জন্য প্রতিটির সংখ্যা হবে সর্বনিম্ন দুই । এর পর ব্লকের ব্যবসায়ীদের বা উদ্দোক্তাদের এই সব কাজ করার জন্য সরকারী লাইসেন্স নিতে বলা হবে । প্রাপ্ত আবেদনগুলির মধ্য থেকে বর্তমানে যেগুলি ভালো মানের এবং ব্লকের মধ্যে ভালো অবস্থানে আছে সেগুলিকে লাইসেন্স দেয়া হবে । নতুন উদ্দোক্তারা ঘাটতি পূরনের জন্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারবেন । কিন্তু নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠান (যদি থাকে) গুলিকে সাধারন ফি এর তিনগুন ফি দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে অনুমতি দেয়া হবে ।
এই ব্যবস্থার সুবিধা হল, লাইসেন্স ফি’র এই সুবিধা লাভের জন্য ব্যবসায়ীরা এমন ভাবে উদ্দোগী হবেন যে এর ফলে যে ব্লকে এ ধরনের সেবা বা ব্যবসা নেই সেখানে তা আসবে, আর যেখানে বেশি আছে সেখান থেকে তা চলে যাবে । বর্তমানে কিন্তু এই ব্যবসা বা সেবা নির্ধারিত হয় উদ্দোক্তার সুবিধা বা লাভের উপর ভিত্তি করে, জনগনের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে নয় । সেবা বা ব্যবসার এই পুনর্বিন্যাসের ফলে প্রতিটি ব্লকের মানুষের তাদের দৈনন্দিন জিনিস বা সেবার প্রয়োজনে দূরে যাতায়াত করতে হবে না ।
রাস্তার মোড়ে যেখানে যানবাহনকে থামতে হয় সেখানে সুবিধাজনক স্থানে থাকবে চওড়া এবং আসা ও যাওয়ার চিহ্ন দেয়া আলাদা জেব্রা ক্রসিং । আয়ল্যান্ড দেয়া রাস্তার ক্ষেত্রে ডানে মোড় সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করতে হবে । এই ধরনের রাস্তার একসঙ্গে চলমান (সিংগল রান) অংশের মাঝামাঝি জায়গায় থাকবে বাসস্টপ আর উপরে ওভারব্রীজ ।
বিভিন্ন পোর্ট ও টার্মিনালের (নৌ, বিমান, রেল বা বাসস্টেশন) মধ্যে চলাচলকারী বাসের সাথে পেছনে থাকবে লাগেজ কেরিয়ার । বিদেশে এধরনের যান এয়ারবাস নামে পরিচিত । প্রতিটি ব্লকের বাইরের রাস্তায় সুবিধাজনক স্থানে (সম্ভাব্য ক্ষেত্রে উপরে যে ওভারব্রীজের কথা বলা হয়েছে সেই স্থানে) থাকবে বাস স্টপেজ, যার পরিচিতি হবে ব্লক-পয়েন্ট হিসেবে (যেমন, ধানমন্ডি-উত্তর, দক্ষিন ইত্যাদি )। বড় সিটি বাসগুলি শহরের বিভিন্ন লম্বা রুটে চলাকালীন এসব পয়েন্ট থেকে যাত্রী সংগ্রহ করবে । মিনিবাস হিসেবে পরিচিত মাঝারী বাসগুলি সর্বোচ্চ চার পাঁচটি পয়েন্ট-এর মধ্যে শাটল হিসেবে চলাচল করবে । লেগুনা বা ম্যাক্সি হিসেবে পরিচিত ছোট যান গুলি বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ছোট রাস্তায় শাটল পদ্ধতিতে চলাচল করবে ।
বিভিন্ন বড় রাস্তায় মোড়ের অন্ততঃ ২০০ ফুট দূরে চিহ্নিত স্থানে ট্যাক্সি, সিএনজি ও রিক্সা স্ট্যান্ড থাকবে ।
গাড়ীর সংখ্যা কমানোয় “রিপ্লেসিং” পদ্ধতিঃ
প্রাইভেট গাড়ীর সংখ্যা না কমিয়ে এখানকার যাতায়াত সমস্যার করা যাবে এ কথা ভাবা একেবারেই বোকামী । গাড়ীর সংখ্যা বেশী বলেই বাসগুলি দ্রুত চলাচল করতে পারে না । তবে শহরের জনসংখ্যা না কমিয়ে শুধুমাত্র গাড়ী কমালে কোন কাজ হবে না । কারন সেক্ষেত্রে বেশী মানুষের জন্য বেশী বেশী বাস লাগবে, আর কিছুদিন পরে গাড়ীর বদলে বাস দিয়েই রাস্তা জ্যাম হয়ে যাবে ।
বিভিন্ন সময় প্রাইভেট গাড়ীর সংখ্যা কমানোর নানা প্রস্তাব করা হয়েছে । এর অনেকগুলিই বাস্তুবায়ন করা সম্ভব নয় । “বিভিন্ন দিনে জোড় বেজোড় নম্বরের গাড়ী চালানো হবে” – এটি একটি হাস্যকর প্রস্তাব । এর ফলে যানজট কমে না, মানুষ দ্বিগুন সংখ্যায় গাড়ী কিনতে বাধ্য হয় । “গাড়ি আমদানী বন্ধ করা হবে” – এটি কি কোন বুদ্ধিমান লোকের প্রস্তাব হতে পারে ? “পরিবার প্রতি একটি গাড়ী থাকবে” – এটি বলা যত সহজ কার্য্যক্ষেত্রে প্রয়োগ তেমনই কঠিন । এর মধ্যে চলেছে “স্কুল কলেজ অফিসের সময় বিন্যস্ত করে, বিভিন্ন উপলক্ষে স্কুল কলেজ বন্ধ দিয়ে গাড়ীর ভীড় কমানো”র জন্য মতন মজার মজার কার্য্যক্রম ।
এত সব ব্যর্থতার মাঝে আমাদের প্রস্তাব, রি-প্লেসমেন্ট বা রিপ্লেসিং পদ্ধতি । পৃথিবীর অনেক শহরেই গাড়ীর সংখ্যা তেমন না বাড়ার কারন, পুরানো গাড়ী একেবারে বাতিল করা । আমাদের দেশে ভালো মেকানিক পাওয়া যায় বলে পুরানো গাড়ী বছরের পর বছর চালু রাখা যায় ।
বাংলাদেশে খুব সহজেই রিপ্লেসিং পদ্ধতি চালু করা সম্ভব । এই পদ্ধতিতে যে কোন মালিক, ধরা যাক, দুই বৎসর ব্যবহারের পর তার পুরানো গাড়ীটির রেজিস্ট্রেশনের কাগজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়ে একটি নতুন গাড়ীর জন্য রেজিস্ট্রেশন চাইতে পারবে । কর্তৃপক্ষ পুরানো গাড়ীটি যন্ত্রাংশ বা ধাতূ হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করে তাকে একটি নতুন গাড়ীর রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেবে । এই অনুমতি ব্যবহার করে মালিক তার ইচ্ছা অনুযায়ী একটি নতুন গাড়ী কিনতে পারবে ।
এ পদ্ধতি চালু হলে পুরানো মালিকরা যে কোন সময় গাড়ী কিনতে পারবে । তবে যারা নতুন গাড়ী কিনতে ইচ্ছুক তাদেরকে একটি পুরানো গাড়ী কিনে দুই বৎসর অপেক্ষা করতে হবে । রিপ্লেসিং পদ্ধতি চালু হলে গাড়ী বিক্রয়ের হার হয়তো তেমন কমবে না, কিন্তু দেশে গাড়ীর সংখ্যা অনেক কমে যাবে ।
উপসংহার ঃ
উপরে আমরা ঢাকা শহরের যাতায়াত সমস্যা সমাধানে একটি কার্য্যকরী প্রস্তাব বর্ণনা করলাম । পূর্ন সমাধানে আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হতে পারে । তবে উপরে যেগুলি বলা হয়েছে তার কোনটি বাদ দেবার উপায় নেই । যেমন লাগেজ কোরিয়ার সার্ভিস না থাকলে যাত্রীদের অধিক হারে বাস ব্যবহার সম্ভব হবে না । পুরানো গাড়ি বাতিল করা না হলে গাড়ীর ভিড় জনিত সমস্যা কমবে না, ইত্যাদি ।
ঢাকা শহরের যাতায়াত ব্যবস্থার সমাধানে আমরা অনেক প্রস্তাব দেখেছি, শত শত কোটি টাকা খরচ হতেও দেখেছি । আসলে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন আর সমস্যার সমাধান এক কথা নয় । ফ্লাইওভার কোন বিশেষ স্থানের যান জট কমালেও এটি কোন সামগ্রিক সমাধান নয় । ঢাকা শহরের রাস্তার পরিপ্রেক্ষিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্য্যকারীতার ধারনাটি আগাগোড়াই ভুল ।
আমরা জানি, ঢাকার সমস্যা সমাধানের নামে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে এবং করবে । কিন্তু সৎ, নির্লোভ, স্বাধীনচেতা মানুষদের নীতি নির্ধারকরূপে না পেলে শুধু এই সমস্যা কেন, আমাদের কোন সমস্যারই সমাধান হবে না । পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ার কল্যানে ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কাজের গোড়ার খবর আমরা তো পেয়েই থাকি । নির্বাচনে একবার ভোট দিয়ে পাঁচ বছর বসে বসে সরকারের কাজ দেখার মতন অবস্থা এখন আর নেই । সরকারের গাফিলতিতে আমদের দেশের মূল্যবান মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে, মানুষ অবর্ননীয় কষ্ট পাচ্ছে, এসব কি মুখ বুজে সহ্য করার বিষয় ? আমরা দেখাছে, জনগন আন্দোলনে নামলে আমাদের বিচার বিভাগ জনগনের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে, আর এতে বেশ কাজ হয় । আমাদেরকে এই পথেই এগুতে হবে ।
বাংলাদেশের মতন একটা দেশের সর্বোচ্চ পর্য্যায়ে নীতি নির্ধারন একটা সহজ কাজ নয় । রাম শ্যাম যদু মধু তা পারে না তা আমরা কার্য্য ক্ষেত্রেই প্রমান পাচ্ছি । তাই আমাদেরকে আওয়াজ তুলতে হবেঃ
(০১) দেশের সর্বোচ্চ পর্য্যায়ে নীতি নির্ধারক যারা হবেন তাদের সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে স্নাতক । তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত পরীক্ষায় পাশ করতে হবে ।
(০২) নীতি নির্ধারক সংসদ সদস্যদেরকে টাকা উপার্জন করা যায় এমন সরকারী প্রকল্পে জড়িত করা চলবে না ।
(০৩) নীতি নির্ধারকদেরকে যুগোপযোগী আইন প্রনয়ন এবং সংস্কারের কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে ।
(০৪) প্রতিটি সংসদ অধিবেশন শেষ হবার এক মাসের মধ্যে সদস্যদের বিস্তৃত পরিচয়, এই অধিবেশনে তিনি কত ঘন্টা সংসদে উপস্থিত ছিলেন, কতক্ষন কথা বলেছেন, কি কথা বলেছেন, কি কি আইন প্রনয়ন বা সংস্কারের জন্য কাজ করেছেন, ইত্যাদি সহ বুলেটিন প্রকাশ করতে হবে ।
(০৫) প্রতিষ্ঠিত এবং স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার ন্যুনতম খরচ জনগন দেবে । কারন অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, দলগুলি নিজেরা এই খরচের ব্যবস্থা করলে তাতে জনগন বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয় । তাছাড়া দলের টাকা খরচ করে রাজনীতি করলে সাংসদদের স্বাধীন মতামত গড়ে ওঠে না ।
নির্বাচনের আগেই যদি এসব দাবী আদায় করে নেয়া যায় তাহলে আগামীতে আমরা ভালো সরকার পাবো । আর সরকার ভালো হলেই আমাদের সকল সমস্যার সমাধান হবে । একথা এখন প্রমানিত সত্য যে, যে পর্য্যন্ত আমরা ‘নেতাদের ধামাধরা ও দলের জন্য চাঁদা আদায় করে বড় হওয়া বা ব্যবসায়ী নেতা’দের বদলে শিক্ষিত, নির্লোভ, সৎ আর নিবেদিতপ্রান রাজনৈতিক নেতাদের নীতি নির্ধারক হিসেবে না পাবো ততদিন এই সমস্যা সহ কোন সমস্যারই সমাধান হবে না ।
অধ্যাপক বিজন বিহারী শর্মা, স্থাপত্য বিভাগ, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।