Dr Muhammad Yunus
ড. মোহাম্মদ ইঊনুস: প্লিজ প্রকৃত শান্তির প্রতীক হবেন কি?
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকবার ড. মোহাম্মদ ইঊনুসকে ইঙ্গিত করে “রক্তচোষা” বলেছেন বলে প্রত্রিকায় এসেছে। বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। ড. ইঊনুস কি তবে রাজনীতিতে আসছেন? নাকি তিনি শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে না পেরে এমন কিছু করছেন যা শেখ হাসিনাকে কষ্ট দিচ্ছে?
এসব প্রশ্ন আমাদেরকে নিয়ে যায় ১/১১-র সময়কার ঘটনাবলীকে বিশ্লেষণ করতে। ১/১১-র পর স্বাভাবিকভাবে ৯০ দিনের মধ্যে একটি নির্বাচন হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিš‘ অদৃশ্য এক সুতোর টানে তা হয়নি। ড. ইউনুস সবেমাত্র নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। এমনি এক সময় একটি মহল বাংলাদেশের উন্নয়নে দুই নেত্রীকে মহিলাসুলভ আচরণ ও র্দূনীতির অভিযোগে বেনজীর ও নেওয়াজ শরীফের মত মাইনাস করে ড. ইঊনুসকে বাংলার মাহাথীর মোহাম্মদ বানাবার স্বপ্ন দেখে। আর মঈনগং মোশাররফ হতে চেষ্টা করেন।
ড. ইঊনুস তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনের সেরা ভুলটি করেন। তিনি আরোও ভুল করেন সেই সময় রাষ্ট্রপতিকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে।
যখন আন্দোলনের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা ও তাঁর দল ক্ষমতায় যেতে প্রস্তুত ঠিক তখনই ড. ইঊনুস রাজনীতিতে আসবার ঘোষণা দিলেন। বিষয়টি দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গেল। এরপর জাতির জনকের কন্যাকে দেশে আসতে না দেওয়া, দেশে ফেরার পর একের পর এক র্দূনীতির মামলা দেওয়া এবং অবশেষে অত্যন্ত অপমানকর উপায়ে কারাগারে নিক্ষেপ করার কাজ করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই দুর্যোগময় মুহুর্তে নারীর ক্ষমতায়ন করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন স্হানে সংবর্ধনা নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
জাতির এই দুর্যোগময় সময়ে তিনি নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দুই নেত্রীর প্রতি ন্যুনতম সহানুভুতি দেখাননি। সামরিক আইনের নির্যাতনে দেশবাসী প্রতিবাদী হলেও তিনি কোন কথাই বলেননি শান্তির জন্য। এসবের মধ্যদিয়ে তিনি নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেন।
ড. ইঊনুসের নোবেল বিজয়ও প্রশ্নবিদ্ধ। চড়া সুদের একটি ব্যাংকের ব্যবস্হাপনার জন্য নোবেল পাওয়া যায় আমার ধারণার বাইরে। যাই হোক তিনি নোবেল পেয়েছেন, এজন্য তিনি দায়ী নন। দায়ী নোবেল কমিটি। নোবেল যে আর ফেয়ার নেই তা সবাই বুঝে গেছেন।
হয়তো ওরা একদিন হিটলার বা টিক্কা খানকেও নোবেল দেবে। আজ যেমন ইরাক, আফগানিস্হান, লিবিয়া আক্রমণ করে নিরীহ মানুষ হত্যা আর রাজা হত্যা করে নোবেল পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে সুদ খাওয়া নির্যাতন নয়,হালাল এবং পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য??!! কারণ সুদতো ইসলামে হালাল নয়। ড. ইঊনুস সেই সুদকে দেশ ব্যাপী জনপ্রিয় করেছেন। ফলে তিনি ইসলামকে বাংলার মাটি থেকে কবর দিতে সফল হয়েছেন। ৮০ লক্ষ পরিবার আজ সুদে আসক্ত। পরকালে যেহেতু তিনি বিশ্বাস করেন না(হয়তো) তাই সুদ নিতে তিনি খুবই আনন্দবোধ করেন। আর যারা ইসলাম বিরোধী তারইতো নোবেল দেয়। আমাদের মত অন্ধ আওয়ামী লীগ আর ধর্ম ভীরুদের কাছে তিনি প্রশ্ন বিদ্ধ। তাঁরা একবার তালেবানদের অস্ত্র দেয় আরেকবার তাঁদের হত্যা করে। উনি তাদের বন্ধু হয়েও মুখ ফুঁটে সত্য ভরতে পারেন না।
ড.ইঊনুসপক্ষ ২০০৮ সালের ২রা জুন পরাজয় বরণ করেন। যখন খবর এল ওবামা জিতেছেন ও হিলারী পরাজয় মেনে নিয়েছেন তখনই বর্তমান সেনাপ্রধান পিএসও হন ও জেনারেল মাসুদ চৌধুরী, বারী ও আমিন বিতাড়িত হন। মইন হতবাক হয়ে পরাজয় বরণ করে নেন। অত:পর কোন একদিন মইন-জনাব ফকরুদ্দিন-ইঊনুসসাহেব ইনানী বিচে ভ্রমণ করেন। কালো মানুষগুলো যখন ওবামাকে নিয়ে লড়ছে তখন হিলারী তাঁকে প্রতিরোধ করে চলেছেন যেমনটি করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। মহান ওবামা হিলারীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী করেছেন। শেখ হাসিনা অবশ্য এখনও সংস্কারপ পন্থিদেরকে ক্ষমতায় নেননি। তিনি তাঁদের নেতা ড. ইঊনুসকে শক্তভাবে কটাক্ষ করে বিরাগভাজন হয়েছেন।
আসলে বিএনপি তাদের হারানো ইমেজ পুন:ঊদ্ধারের জন্য ড. ইঊনুসকে রাজনীতিতে আনতে চাইছে। আর সেটাই বোধ হয় একটি কারণ। ড. ইঊনুস যাতে আবার ভুল না করেন সেটাই এতসব আয়োজনের লক্ষ্য হতে পারে। ড. ইঊনুস দয়া করে এই সরকারকে কাজ করতে দিন। দেশের ভাল চাইলে আপনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সুদ ও ১/১১-র বিষয়টি ফয়সালা করে নিন। হিলারী জিতলে শেখ হাসিনা নয় আপনিই এদেশের কর্নধার হতেন। এসত্য অস্বীকার করবার মত সৎ সাহস অন্তত: মাইনাস হাসিনাপন্থীদের নেই। দেশটিকে নিয়ে অনেক টানা হেঁচড়া হয়েছে। জনগণ ১৯৭১ এর মত আবার একটি গণরায় দিয়েছে। দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। সংবিধান সংশোধন হবে। এমনি একটি সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদের জন্য উদ্বিগ্ন না হয়ে বা শেখ হাসিনার সমালোচনায় আহত না হয়ে আপনার ভক্তদেরকে নিবৃত করুণ।
আপনাকে ঘিরে দেশে একটি অস্হিরতা বিরাজ করছে। শান্তি দূত এখনই প্রমাণের সময়। হিলারীকে দিয়ে হুমকি নয় নিজেই সমাধান করুন। আপনি বলেছেন কারোও ক্ষমতার হুমকি আপনি নন। সেটা প্রমাণ করতে মামলা প্রত্যাহার করে নিন এবং হিলারীকে নিবৃত করুন।
সুদ এবং উচ্চসুদ নিয়ে সমাজে শান্তি আনা যায় না বা পাওয়া যায় না। তাই গ্রামীণ ব্যাংকে সুদমুক্ত ব্যাংক-এ পরিণত করুন, সমাজে প্রকৃত শান্তি আনুন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সুদ সেখানে নিষিদ্ধ। জনগণের রায়কে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি নারীর অধিকার ও জনগণের অধিকার রক্ষায় বিরামহীনভাবে কাজ করছেন। তিনি গণতন্ত্র উওরণ, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, ফারাক্কা সমস্যা সমাধান, শত্র“ সম্পত্তি আইন বাতিল করে মহান নেত্রী প্রমাণ করেছেন। অনুগ্রহ করে তাঁকে সহায়তা দিন। এবং তিনিও যাতে আরেকটি নোবেল আনতে পারেন সেজন্য আসুন আমরা সবাই মিলে কাজ করি। দেশকে ভালবাসলে বিদেশিনীর হাত ছেড়ে দেশের নারীদেরকে ভালবাসুন। ৮০ লক্ষ নারীর ভালবাস পেতে হলে সকল সুদ মওকুফ করতে হবে। হিলারীর দরজায় গিয়ে দেশকে খাটো করবেন না। প্লিজ! শুধু র্দুনীতিমুক্তই নয় সুদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তেও আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। বাংলাদেশেকে পরিণত করি একটি শান্তির দেশে।
wiki link at http://en.wikipedia.org/wiki/Muhammad_Yunus