Article on Caretaker Government

Article on Caretaker Government

তত্ত্বাবধায়ক সরকার , আসলে কি অবৈধ দম্পত্তির বৈধ সন্তান –

১.

লেখালেখি আমার তেমন কোন নেশা ও নয়, আবার পেশাও নয় । যখনই সময় পাই ,চেষ্টা করি লেখার সামনে বসতে । কিন্তু এত বেশী ইদানীঁং ব্যস্ত হয়ে পরেছি যে, লেখার টেবিলে একদম সময় দিতে পারছি না । আমি লিখি আমার সবতস্ফূর্ততায় । নিজের সাথে নিজের বুঝাপড়ার জন্যে ,চিন্তার সাথে বিশ্বাসের ঐক্যতানের জন্যে ।যখন কোন কিছু দেখলে খারাপ লাগে ,চেষ্টা করি নিজের চিন্তাগুলোকে নিজের যুক্তির সাথে বুঝাপড়া করে প্রকাশ করতে ।আমার খুব কাছের অনেক মানুষ ইদানিং জানতে চাচ্ছে লেখা কেন লিখছি না । তাদের উদ্দেশ্যে আমার সৎ উত্তর হোল ইদানিং আমি আসলে ব্যস্ত অন্যান্য অনেক কাজে ।

২.

যে কোন ঘটনা বা বিষয়ের ব্যাপারে মূল্যায়ন করতে হলে ঐ ঘটনা বা বিষয়ের সময় , তৎকালীন পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও সংশ্লিষ্ট ঘটনার নিরিখে তা করতে হবে , তা নাহলে ঐটা হবে বিষয়ের প্রতি অবিচারের সামিল কিংবা আমরা বলতে পারি বিষয়ের অসম্পূর্ণ মূল্যায়ন । যা সঠিক নয় ।ইদানিং দেশের অনেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন । কেউ বলছেন , এটা ছিল অসাংবিধানিক ব্যবস্থা ; কেউ বা বলছেন এটা ছিল গণতন্ত্রের বিরুদ্ধ এক ধরনের গাজাঁখুরি শাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি, ইত্যাদি অথাৎ নানা ধরনের অভিধা ।কিন্তু প্রশ্ন হোল আসলে কি ব্যাপারটি তাই ? আমার মত হচ্ছে মোটেও ব্যাপারটা তা ছিল না । যে পারিপার্শ্বিক আবস্থার ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়ে ছিল ,সে সময় ও অবস্থার নিরিখে ঐটা ছিল সঠিক ব্যবস্থা, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই । কিন্তু আজ যে অবস্থার নিরিখে এই ব্যবস্থাটির প্রতি সকলের সন্দেহের তীঁর, এটা ও সঠিক ।

কারন মহান গ্রীক দার্শনিক আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এটা বলে গিয়েছিলেন যে – জ্ঞজ্ঞকোন শাসন ব্যবস্থাই খারাপ নয়, যদি সেটা ন্যায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় ।জ্ঞজ্ঞ ঐ সূত্রের ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা খারাপ ছিল না, যদি সেটা সঠিক ভাবে পরিচালিত হোত । কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের ব্যাপার হোল সেটা হয়নি কিংবা যাদের দ্বারা এটা হওয়ার কথা ছিল তারা তা করেনি ।জাতির বিশ্বাসের সঙ্গে তারা প্রতারণা করেছে, কাজেই এটাকে আর কোনভাবেই দীর্ঘায়িত করা উচিত হবে না , তারপর সর্বোচ্চ আদালতের রায় ত রয়েছেই ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রেক্ষাপট আশা করি সকলেরই জানা ।৯০য়ের এরশাদ পতনের মাধ্যম্যে যে ব্যবস্থাটি প্রবর্তিত হয়েছিল এবং এ ব্যবস্থার মাধম্যে যারা ক্ষমতায় আসীন হয়েছিল পরবর্তিতে তারাই এ ব্যবস্থাটি প্রবর্তনের অনীহা প্রকাশ করল এবং সেই সময়ে সেই সরকারের প্রধানের ভাষ্য ছিল শিশু ও পাগল ছাড়া নাকি কেউ নিরপেক্ষ নয় , কাজেই ওনার কথার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হোল একটি পাগলের শাসন । আবার আজ ২০১১ সালে ঐ নেত্রীই বলছেন তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ওনি নির্বাচন করবেন না বা ওনি এখন অন্য কিছু বুঝেন না । কাজেই পাঠককূল এবার ঠেলা সামলান – এবার আসল পাগল খুঁজে বের করুন ।

৯০য়ের এরশাদ পতনের আন্দোলনের পর সাহাবুদ্দিনের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে । ক্ষমতায় এসে ঐ সময়ে তারা মাগুরা উপনির্বাচনের মাধ্যম্যে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচনের প্রতি বড় ধরনের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন । যার ফলে গোটাজাতি ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রতি ভীতশ্রদ্ধ হয়ে পরে। এর ফলশ্রুতিতেই আবার রাজনীতির অঙ্গন বেসামাল হয়ে উঠে। ৯৫য়ের বিএনপির টার্ম ফুরুলে পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণে সকল রাজনৈতিক দল অনীহা প্রকাশ করে । এ সত্ত্বে ও বিএনপি নির্বাচন ঘোষনা করে এবং নিজে নিজে একা নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন সরকারের আধীনে নির্বাচনের তিক্ততার ষোলকলা পূর্ণ করে এবং ঐ নির্বাচনকে আমরা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে এবং অগ্রহনযোগ্য নির্বাচন বলতে পারি যা ছিল এরশাদের নির্বাচনের চেয়ে ও নিকৃষ্টমানের । ঐ নির্বাচনে তারা জাতির সাথে এমনি তামাশা করে যে, জাতির জনকের খুনীকে তারা নির্বাচিত করে মহান সংসদকে তারা শুধু অপমাণিত ই করেননি খুনীকে ঐ সংসদের বিরোধী দলের প্রধান বানিয়ে বিএনপি এটা প্রমান করতে চেয়েছে যে জাতির জনকের হত্যার সাথে তারা জড়িত এবং এমন একটি স্পৃশ্যকাতর বিষয়ের সাথে মশকরা করতে ও ওনাদের রুচিতে বাঁধে না । আওয়ামী লীগের এটা প্রমাণের জন্যে জাতির সামনে কোন প্রকার তথ্য উপস্থাপনের প্রয়োজন নেই,বরং বিএনপি অপ্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে এটা জাতিকে প্রমান করেছে যে, আমরাই বা আমাদের লোকজনই হত্যা করেছে , পারলে আমাদের কিছু করিছ ।ঐ পাপের ফল বিএনপি ভোগ করবে না, এটা কি হয় নাকি ঈশ্বর তা মেনে নেবে ? বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিএনপি এবং তাদের দোসররা যেভাবে কলুষিত করেছে, তারপর ও কি বিএনপি রাজনীতি করতে চায় ? জাতি হিসেবে আমরা কি এতই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছি ? ২০০৮ য়ের নির্বাচনে জালিয়াতির সুুযোগ না হওয়াতে জাতি বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের কাছে বিএনপি কি জিনিস ।একটি নির্বাচিত সরকারকে বিএনপির মত দল যদি তার চলার তৃতীয় বর্ষেই উৎখাতের হুমপি দেয়, তাহলে ত বলতে হয় – সত্যিই বিএনপি এবার সাবালক হয়েছে , শুধু ৩৬ ঘন্টা নয় ৩৬০০ ঘন্টা হরতালে ও যদি তারা মহাজোট সরকারকে তাদের মেয়াদের পূর্রে হটাতে পারে ,তাহলে বিএনপিকে আজীবনের জন্যে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা লিখে দেয়া উচিত।

যাই হউক আসল কথায় ফিরে আসি ঐ ভূয়া সংসদে ঐ সময়ের আন্দোলনের তীব্র তাপ সহ্য করতে না পেরে বিএনপি তাদের ইচ্ছা মত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাসকরে সংসদের বিলুপ্তি ঘোষনা করে। অনেক বিষয়ের অসংলগ্নতা সত্ত্বে ও আওয়ামী লীগ তথা ঐ সময়ের সকল রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থে তা মেনে নেয়। ঐটাই আজকের তত্ত্বাবধায়ক সরকার যার বিরুদ্ধে আজকে সর্বোচ্চ আদালত থেকে শুরু করে অনেকের কাছেই বিতর্কিত বিষয়ে পরিগণিত হয়েছে ।৯৬য়ের ঐ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে গত ১১ই জুন ২০১১ শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ডঃ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ঢাকার স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারের আলোচনায় বলেছেন – আমি আগেই বলেছি, ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির অবৈধ সংসদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পাস করেছে সুতরাং এটি হচ্ছে অবৈধ দম্পত্তির বৈধ সন্তান । কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না অবৈধ দম্পত্তির সন্তান কিভাবে বৈধ হয় ?

বাকি অংশ নিচের পিডিএফ ফাইলে দেখুন।

2011/pdf/ARTICLE___21_524638369.pdf ( B) 


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment