লুইজি পিরানদেল্লো-র গল্প – যুদ্ধ – অনুবাদ: ফজল হাসান
রাতের এক্সপ্রেস ট্রেনে যে সব যাত্রীরা রোম থেকে রওনা হয়েছিলো, তাদেরকে সকালবেলা ছোট্ট ষ্টেশন ফেব্রিয়ানোতে নামতে হয়েছে । পরে যাত্রীরা পুরানো আমলের ছোট্ট অন্য একটা ট্রেন ধরেছে, যা সালমোনা যাবার আরেকটা ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ।
দম বন্ধ করা এবং ধূমায়িত দ্বিতীয় শ্রেনীর একটা কামরায় ইতিমধ্যে পাঁচজন যাত্রী সারারাত কাটিয়েছে । প্রত্যুষে সেই কামরায় দলা পাকানো পুঁটলির মতো মোটাসোটা এক মহিলা যাত্রী ঢোকে । চোখেমুখে তার শোকের করুণ চিহ্ন । মহিলার পেছনে তার স্বামী । লোকটার দেহের গড়ন ছোটখাটো, হালকা পাতলা এবং তাকে অত্যন্ত দূর্বল দেখাচ্ছিলো । লোকটার মুখ মরা মানুষের মতো ফ্যাকাসে । তার চোখ জোড়া ছোট, তবে উজ্জ্বল এবং সেখানে লজ্জা এবং বিব্রত মেশানো এক ধরনের অস্বস্তিবোধ বিরাজ করছিলো ।
অবশেষে নিজেদের জায়গায় বসার পর লোকটা অন্যান্য যাত্রীদের ধন্যবাদ জানালো । এইসব সহযাত্রীরা তার স্ত্রীকে উঠতে সাহায্য করেছে এবং বসার জন্য জায়গাও দিয়েছে । তারপর লোকটা মুখ ঘুরিয়ে স্ত্রীর দিকে তাকায় । তখন তার স্ত্রী কোটের কলার দিয়ে মুখ ঢাকতে চেষ্টা করে ।
-সব ভালো তো ?- স্ত্রীর কাছে লোকটা বিনীত সুরে জানতে চাইলো ।
কিছু না বলে লোকটার স্ত্রী পুনরায় চোখ অবধি কোটের কলার উঁচু করে মুখটা কোনোরকম লুকাতে চাইলো ।
-অসহ্য ।- লোকটা বিরক্তির সঙ্গে বিষণ্ন হেসে বিড়বিড় করে বললো ।
কুড়ি বছর বয়সী একমাত্র ছেলের জন্য তার স্ত্রী এবং সে তাদের সমস্ত জীবন ব্যয় করেছে । সেই ছেলে এখন যুদ্ধে যাবে । লোকটা সহযাত্রীদের কাছে সেই ছেলে সম্পর্কে বিশদ বলার তাগিদ অনুভব করে । ছেলেকে স্কুলে পড়ানোর জন্যই সালমোনার সংসার গুটিয়ে তারা রোমে চলে এসেছে । পরে তারা এক শর্তে ছেলেটাকে যুদ্ধে শিক্ষানবিস হিসাবে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছিলো । কথা ছিলো, কমপক্ষে ছয় মাসের আগে তাকে সরাসরি যুদ্ধে পাঠাবে না । কিন্তু ছেলেটা হঠাৎ করে খবর পেলো যে তাকে তিন দিনের মধ্যেই যুদ্ধের ময়দানে যেতে হবে । ছেলেটা তার বাবা-মাকে অনুরোধ করেছে তারা যেন এসে বিদায় জানায় ।
বড় কোটের আড়ালে সঙ্কোচিত এবং দুমড়ানো-মোচড়ানো মহিলা মাঝে মাঝে বন্য জন্তুর মতো গর্জাতে থাকে । সে ভাবছিলো, লোকগুলো তার মতো পরিস্থিতিতে থাকলে এত কিছুর ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো দরকার ছিলো না । সহযাত্রীদের মধ্যে একজন গভীর মনোযোগ দিয়ে লোকটার কথা শুনছিলো । সে বললো, -আপনার উচিৎ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া । কেনোনা, আপনার ছেলে সবে মাত্র যুদ্ধে যাবে । যুদ্ধের প্রথম দিনেই আমার ছেলে চলে গেছে । ইতিমধ্যে জখম হয়ে দু-বার ফিরে এসেছিলো । কিন্তু তারপরও তাকে পুনরায় যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে ।
-তাহলে আমার বেলায় কি ? আমার দুই ছেলে এবং তিন ভাতিজা যুদ্ধে গেছে ।- অন্য আরেকজন যাত্রী বললো ।
-হয়তো, কিন্তু ও-ই আমাদের একমাত্র ছেলে ।- সাহসের সঙ্গে মহিলার স্বামী বললো ।
-তাতে এমন কি পার্থক্য ? আপনি হয়তো অতিরিক্ত আদর দিয়ে ছেলেকে নষ্ট করে ফেলতেন । যদি আপনার অন্য কোনো সন্তান থাকতো, তবে আপনি সেই ছেলেকে অন্য ছেলেমেয়েদের তুলনায় বেশি ভালোবাসতে পারতেন না । পিতা-মাতার ভালোবাসা রুটি নয় যে সে-টা টুকরো করে সন্তানদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া যায় । সন্তান একজন হোক বা দশজন হোক, আলাদা না করে একজন বাবা সব সন্তানকে সমানভাবে ভালোবাসে । এখন দুই ছেলের জন্যই আমার সব কষ্ট । তবে এক ছেলের জন্য এই কষ্ট অর্ধেক নয়, বরং দ্বিগুণ ।
-সত্যি … ঠিক বলেছেন … ।- হতবাক স্বামী দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আরো বললো, -কিন্তু ধরুন (অবশ্য আশাকরি এটা কারোর বেলায় যেন না হয়) একজন পিতার দুই ছেলে যুদ্ধে গেছে এবং যুদ্ধে এক ছেলে মারা গেলো । তখন কিন্তু সেই পিতার একমাত্র সান্ত্বনা, তার আরেক ছেলে বেঁচে আছে … যখন … ।-
-ননসেন্স ।- অন্য আরেকজন জবাব দিলো । রাগান্বিত স্বরে সে আরো বললো, -সান্ত্বনা দেবার জন্য এক ছেলে থাকলো, কিন্তু সেই ছেলের জন্য তাকে বাঁচতে হবে । অন্যদিকে যার একটাই মাত্র ছেলে এবং সেই ছেলে মারা গেলো । তখন বাবা মরে গিয়ে শুধু তার দুঃখ ঘোচাতে পারে । আপনারাই বলেন, এই দু-টার মধ্যে কোনটা খারাপ ? আপনি কি দেখছেন না, আপনার থেকে আমার অবস্থা আরো কত বেশী খারাপ ?
– বাজে বকবেন না ।- অন্য আরেক যাত্রী বললো । লোকটা দেখতে মোটাসোটা । লালচে মুখের সঙ্গে চোখও লাল, তবে ঘোলাটে ।
রাগে লোকটা হাপাচ্ছিলো । তার সংকুচিত চোখে যেন ভেতরের হিংস্রতা বেরিয়ে আসছিলো, যা তার রোগা শরীর বহন করতে পারছিলো না ।
-আজেবাজে কথা ।- কথাটা পুনরায় উচ্চারণ করে লোকটা তার সামনের দু-টা হারানো দাঁতের লজ্জা ঢাকার জন্য হাত দিয়ে মুখ আড়াল করে আরো বললো, -নিজেদের সুুবিধার জন্য আমরা কি ছেলেমেয়ের জন্ম দিই ?
– লোকটার বাঁকা কথায় মন খারাপ করে অন্য যাত্রীরা তার দিকে ফাঁকা চোখে তাকিয়ে থাকে । যার ছেলে প্রথম দিনেই যুদ্ধে গেছে, সেই লোকটা বললো, -ঠিকই বলেছেন । আমাদের সন্তানেরা তো আমাদের জন্য নয় । তারা দেশের … ।
-বলছে আপনাকে ?- নাদুসনুদুস লোকটা চেঁচিয়ে বললো । -আমরা যখন ছেলেমেয়েকে জন্ম দিই, তখন কি দেশের কথা ভাবি ? তারা জন্মায় কারণ … ।- কথাটা শেষ না করেই সে থামে ।
একটু থেমে সে আরো বললো, -কারণ তাদের তো জন্ম নিতেই হতো । আর যখন তারা জন্ম নেয়, তখন থেকেই তাদের জন্য আমাদের সব ভাবনা-চিন্তা গড়ো হয় । এটাই সত্য । আমরা তাদের জন্য আছি, কিন্তু তারা আছে দেশের জন্য । এখন তাদের বয়স কুড়ি । আমরাও সেই বয়স পার করে এসেছি । আমাদেরও বাবা এবং মা ছিলো । কিন্তু সঙ্গে আরো অনেক কিছুই ছিলো, যেমন মেয়ে বন্ধু, সিগারেট, অলীক সব কল্পনা, নূতন টাই … ।
-পুনরায় সে বললো, -দেশের কথা বলছিলেন তো ! তখন যদি দেশের প্রয়োজনে যুদ্ধে যেতে হতো, আমরা কি যেতাম না ? বাবা-মা মানা করলেও আমরা কিন্তু যুদ্ধে যেতাম । এখন আমাদের এই বুড়ো বয়সে দেশের জন্য ভালোবাসার কোনো কমতি নেই, বরং ছেলেমেয়েদের ভালোবাসার তুলনায় সে-টা আরো গভীর । আমাদের মধ্যে এখানে এমন কেউ আছেন, সম্ভব হলে যে আনন্দ চিত্তে সন্তানের বদলে নিজেরাই যুদ্ধে যাবেন ?
-চারপাশে নিস্তব্ধতা । সম্মতি জানানোর ভঙ্গিতে সবাই মাথা নাড়ে ।
-তবে কেন ?-
প্রশ্ন করেই নাদুসনুদুস লোকটা আরো বললো, -কুড়ি বছরের জোয়ান ছেলের জন্য কি আমাদের ভাবনা-চিন্তা করা উচিৎ ? এটা কি স্বাভাবিক নয় যে, এই বয়সের ছেলেরা তাদের বাবা-মার চেয়ে মাতৃভূমিকে বেশী ভালোবাসবে (অবশ্য আমি ভালো ছেলেদের কথা বলছি) ? এটাই অস্বাভাবিক যে আমাদের মতো বাড়ীতে বসা চলাফেরা করতে অক্ষম বুড়োদের তারা দেখাশুনা করবে । ক্ষুধা থেকে বাঁচার জন্য আমরা যেমন রুটি খাই, সেই রকম দেশ হচ্ছে রুটির মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু । সুতরাং দেশকে বাঁচাতে হলে কাউকে না কাউকে যুদ্ধে যেতে হবে । তাই তো আমাদের জোয়ান ছেলেরা যুদ্ধে যাচ্ছে । ওরা নিজেদের চোখে অশ্রু দেখতে পছন্দ করে না । কেনোনা, ওরা জানে, যদি যুদ্ধে মারা যায়, তবে ওরা শহীদ এবং সুখীই হবে (আমি অবশ্য ভালো ছেলেদের কথাই বলছি) । এখন যদি কেউ বার্ধক্যে পৌঁছানোর আগেই যুবক বয়সে আনন্দের সঙ্গে মৃত্যুকে বরণ করে, তবে আমাদের কিই-বা বলার আছে ? অন্তত এটুকু সান্ত্বনা যে, তাদেরকে জীবনের নোংরামি, তিক্ততা, মোহ ভাঙার দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে না । তাই বলছি, কান্নাকাটি না করে আমার মতো উৎফুল্ল হওয়া উচিৎ । ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ । কারণ আমার ছেলে মৃত্যুর আগে আমাকে সংবাদ পাঠিয়েছিলো । তাতে সে লিখেছে, আত্মতৃপ্তির সঙ্গে সবচেয়ে সুুন্দরভাবে, যা একজন পুরুষ আশা করে, জীবন উৎসর্গ করতে পেরে সে খুব খুশি । আর সেই জন্যই আপনারা দেখছেন আমি মোটেও শোকার্ত নই … ।-
সবাইকে দেখানোর জন্য সে তার পাতলা হরিণের চামড়ার কোট নাড়ালো । হারিয়ে যাওয়া দাঁতের ওপর তার ঠোঁট কেঁপে উঠে । চোখ ভেজা এবং দৃষ্টি স্থির । অবশেষে তার অট্টহাসির শব্দটা হাসি, না কান্না, অনেকে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না ।
-ঠিক তাই … ঠিক তাই … ।- অন্যেরা সায় জানালো ।
কামড়ার এক কোণায় কোটের আড়ালে জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকা মহিলা এতক্ষণ সব কথা শুনছিলো । গত তিন মাস যাবত সে তার স্বামী এবং বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে একটুখানি সহানুভূতি আশা করছিলো । অন্ততঃ এই দুঃসময়ে তারা তাকে বোঝাবে যে, কিভাবে একজন মা তার ছেলেকে মৃত্যুর জন্যই নয়, বরং সমূহ বিপদের দিকে ঠেলে দিয়ে শান্ত থাকতে পারে । অথচ কেউ কিছু বলেনি, এমনকি তার সঙ্গে দুঃখও ভাগাভাগি করেনি ।
কিন্তু এই মুহূর্তে সহযাত্রী লোকটার কথা মহিলাকে শুধু আশ্চর্য্যাম্বিত করেনি, হতভম্বও করেছে ।
হঠাৎ তার বোধগম্য হলো, যারা তাকে সহানুভূতি জানায়নি, দোষ আসলে তাদের নয় । দোষ তার নিজেরই । কেনোনা, সে অন্য বাবা-মার মতো হতে পারেনি, যারা কান্নাকাটি না করে নির্লিপ্তভাবে ছেলেদের বিদায় জানিয়েছে, এমনকি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে ।
মহিলাটি মাথা তুলে সোজা হয়ে বসে গভীর মনোযোগ দিয়ে মোটা লোকটার কথা শুনতে চেষ্টা করে । লোকটা তার সহকর্মীদের কাছে ছেলের বীরত্বের কাহিনী বলছিলো । কিভাবে ছেলেটা রাজার জন্য এবং দেশের জন্য হাসি মুখে প্রাণ দিয়েছে । মহিলার মনে হচ্ছিলো তার কন্ঠনালী বেয়ে একটা শব্দ বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে । অথচ সেটা সে কখনো ভাবেনি, এমনকি স্বপ্নেও আসেনি । শব্দটা তার কাছে সম্পূর্ণ অজানা, অচেনা । নাদুসনুদুস লোকটা নির্বিকারভাবে তার ছেলের মৃত্যুর কথা বলার পর সবাই লোকটাকে বাহবা দিলো । এটা দেখে তারও খুব ভালো লাগলো ।
হঠাৎ মহিলার মনে হলো এতক্ষণ সে যেন কিছুই শোনেনি । এই মাত্র যেন স্বপ্ন থেকে জেগে উঠলো । বুড়া লোকটার দিকে ঘুরে জিজ্ঞাসা করে, -তাহলে … আপনার ছেলে কি সত্যি যুদ্ধে মারা গেছে ?-
সবাই মহিলার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকায় । বুড়ো মোটা লোকটাও ঘুরে অশ্রুভেজা চোখে পলকহীন তাকিয়ে দেখতে থাকে মহিলাকে । উত্তরে একটা কিছু বলার জন্য সে অনেকক্ষণ চেষ্টা করে, কিন্তু কিছুতেই বলতে পারে না । শুধু মহিলার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে পলকহীন তাকিয়ে থাকে ।
এই ফালতু এবং অসংলগ্ন প্রশ্ন শুনে আচমকা বুড়া লোকটার মনে হলো, সত্যি তার ছেলেটা মরে গেছে । চলে গেছে চিরদিনের জন্য । কখনো আর ফিরে আসবে না । তখন তার মুখ সংকুুচিত এবং বিধ্বস্থ দেখাচ্ছিলো । নিজেকে আর সামলাতে না পেরে চটজলদি পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে নাক ঝাড়ে । তারপর সবাইকে অবাক করে দিয়ে সে হৃদয়-বিদারক আকুল কান্নায় ভেঙে পড়ে ।
[লেখক পরিচিতি: ১৯৩৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং ছোটগল্প রচয়িতা লুইজি পিরানদেল্লো ইটালীর সিসিলি দ্বীপের এক সম্ভ্রান্ত পরিবাবে ১৮৬৭ সালের ২৮শে জুন জন্মগ্রহণ করেন । রোমে তাঁর মৃত্যু হয় ১৯৩৬ সালের ১০ই ডিসেম্বর । পিরানদেল্লোর লেখার মধ্যে একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিলো । কিভাবে শিল্পকলা এবং অলীক বিষয় বাস্তবের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয় এবং কিভাবে মানুষ তা ভিন্ন দৃষ্টিতে অবলোকন করে, তা তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে । তার লেখায় কখনো শব্দমালা অবিশ্বাস্য, কখনো আবার বাস্তবতা সত্য এবং মিথ্যার মিশ্রণ । পিরানদেল্লোর নাটকের মধ্যে -সিক্স ক্যারেক্টারস্ ইন সার্চ অব এন অথার-, -হেনরী চতুর্থ-, -নেকেড মাস- এবং উপন্যাসের মধ্যে -দ্য লেইট মাটিয়া পাস্কেল- উল্লেখযোগ্য । -সিক্স ক্যারেক্টারস্ ইন সার্চ অব এন অথার- গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, -মানুষ মৃত্যুবরণ করবে, একজন লেখক এবং তার কলমেরও মৃত্যু হবে; কিন্তু লেখকের সৃষ্টি কখনই বিলীন হবে না ।- -যুদ্ধ- তাঁর লেখা -ও্যয়ার- গল্পের অনুবাদ ।]