রাজনীতিতে ভাষা ও আদর্শের প্রয়োগ
১. আমরা যারা নিজেদেরকে শিক্ষিত,ভদ্রলোক,বিবেকবান ও সমাজের অগ্রবর্তী শ্রেণীর লোক বলে দাবি করি কিংবা নের্তৃত্বের গুনাবলী থাকুক, কিংবা না থাকুক নিজেদেরকে নেতা নেতা মনে করি ; এই জাতিয় ভদ্রলোকদের মুখে কি এসব কথা মানায়? নাকি এই জাতিয় কথাবার্তা বলা উচিত? যারা বুঝে না, কিংবা যাদের বুঝবার শক্তিটুকু ক্ষীন তারা বললে ও মানায় ; কিন্তু এই জাতিয় কথাবার্তা বলা তবু ও অন্যায় এবং অবৈধ র্। কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না, কিংবা সমর্থন করা উচিত নয়। তা সে যেই বলুক – হউক সে শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত। প্রত্যেকটি অন্যায় আচরন, অন্যায় কথা-বার্তার প্রতিবাদ হওয়া উচিত। তা সে যেই হউক, হউক সে নিজের আপন কেউ কিংবা দূরের, হউক সে নিজের দলের কিংবা অন্য দলের। আমাদের প্রত্যেকের ঈশ্বরের নিকট এই প্রার্থনা করা উচিত – হে আল্লাহ আমাকে সঠিক পথে, সৎ পথে চলার, অন্যায়ের প্রতিবাদের শক্তি দাও। অন্যায় কাজ করব, আবার বাহাদূরী ও করব, তার উপর আবার অন্যায় কাজের হুমকি ও দেব। এটা কোন নষ্ট সমাজে – আমরা আছি। ১৯৭৫ সালে একটি নিবার্চিত বৈধ সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত ও করব, আবার সেই সরকারের প্রধানকে হত্যা ও করব সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে, সাথে সাথে ওনার পরিবারের নিরাপরাদ শিশু, মহিলা ও পুরুষ সদস্যদেরকে ও হত্যা করব অন্যায়ভাবে। এর বিচার করা দূরে থাক, বিচার চাওয়া ও যাবে না, এটা ত আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগের চেয়ে ও ভয়াবহ। কোথায় ছিল দেশের বিবেকখ্যাত সেই সব শিক্ষিত ভদ্রলোকেরা তখন? কোন প্রতিবাদ নেই, অন্যায়ের প্রতিরোধ নেই। দরকার নেই, আমাদের সেই সব শিক্ষিত নষ্টদের, এর চেয়ে কীট -পতঙ্গ ও অনেক উত্তম।
ঐ নষ্টগ্রুপের, নষ্টলোকেরা কিনা বলে – শেখ হাসিনাকে তার বাবার পরিণতি বরণ করতে হবে। রাজনীতিতে ভাষা প্রয়োগের একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকার দরকার রয়েছে। কিন্তু ঐ নষ্টলোকদের মুখে এই জাতিয় কথা-বার্তা শুনার পর এখন আপনি বলুন কি করা উচিত? কি শাস্তি ঐ জাতিয় কীট পতঙ্গের পাওয়া উচিত? জাতি এর জবাব দিবে এবং এক্ষনি দিবে। আমরা অনেক ধৈর্য ধরে রয়েছি, অনেক সহ্য করেছি। আর নয়, সম্ভব নয়। মানুষকে অন্যায় ভাবে মারার হুমকি দেবে আর আমরা দাঁত কেলিয়ে হাসব কিংবা সুবোধ বালকের মত শুধু শুনব, এত সুবোধ যেন ঈশ্বর আমাদের না করেন। সাধারন একজন মানুষকে ও হত্যার হুমকি অপরাধ। আর যে কিনা দেশের একজন সম্মনীত ব্যাক্তি, জাতির জনকের কন্যা এবং সর্বোপরি দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাকে যারা অন্যায়ভাবে হত্যার হুমকি দেয় তারা ত সাধারন লোক নয়, কাজেই তাদের ও সাধারন লোকের মত চলাচলের কোন অধিকার নেই।তারা থাকবে অসাধারনভাবে, সাধারন মানুষের থেকে দূরে। এত বড় স্পর্ধা তারা দেখায় কি করে? এবার আমরা একটু তার ডায়াগনোসিস করব কিংবা করতে চাচ্ছি। তাদের শক্তির উৎস কি এবং কোথায় এবার আমরা একটু দেখতে চাই। তাদের শক্তির উৎসদের বুকের পাটা কতটুকু লম্বা হয়েছে, এবার আমরা একটু মাপতে চাই।
২. ন্যায় -নীতির ব্যাপারগুলো মানুষের মধ্যে আপনা থেকে আসে না। ব্যক্তিকে এগুলো ধারন, লালন ও পরিচর্যা করতে হয়। সকল মানুষের মধ্যে ন্যায় – নীতির ব্যাপারগুলো থাকে না, যে জিনিসটা থাকে সেটা হল যুক্তি।সঠিক যুক্তি, কু – যুক্তি নয়। সঠিক যুক্তির বিশ্লেষণই মানুষকে ন্যায় ও নীতির পথে পরিচালিত হবার কথা বলে। আর এভাবেই মানুষ ন্যায় ও নীতির চর্চার মাধম্যে মনুষ্যত্বের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটায়। এভাবেই মানুষ, মানুষের নিকট সমরণীয় – বরণীয় হয়ে রয়। অন্য মানুষ এভাবে ন্যায় ও নীতির পথে নিজেকে পরিচালিত করবার শক্তি ও সাহস পায়। মানুষের বেঁচে থাকার সার্থকতা এখানেই। নচেৎ, মানুষ অন্য সব আট -দশটি প্রাণী বৈ অন্য কিছু নয়। তাই ত মহান গ্রীক দার্শণিক এ্যারিষ্টটল বলেন – নীতিবোধের চর্চায় মানুষ সর্বোত্তম, নীতিহীন অবস্থায় মানুষ প্রাণীর চেয়ে ও অধম। ন্যায় -নীতির কথাগুলো এখানে বললাম একারণে যে, যদি মানুষ ন্যায় – নীতির চর্চাই করবে, তাহলে তার মধ্যে চরম নীতিহীন ব্যাপারগুলো আসবে কেন? তাহলে কি আমাদের বলতে হবে যে, এটা হল নীতি চর্চার নামে চরম ভন্ডামি। এই জাতিয় ভন্ড নেতাগুলোকে আমাদের শনাক্ত করতে হবে এবং রাজনীতি থেকে চিরতরে উচ্ছেদ করতে হবে। সামপ্রতিক সময়ের দেশের চট্রগ্রাম নির্বাচনের কথা আমি বলছি, নির্বাচনের পূর্বে আমরা সকলে ধরে নিয়েছিলাম যে, মহিউদ্দিন সাহেব আবার ও বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছেন, এধরনের মনে করবার অন্যতম কারন ছিল ওনার প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থীর কথা ভেবে। কারন ওনার প্রতিদ্ধন্ধি ছিলেন ওনারই নিজের দলের এবং নিজের হাতে গড়া শিষ্য। নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত দেশের বুদ্ধিজীবি থেকে শুরু করে সকলেই একবাক্যে একমত ছিলেন যে, মহিউদ্দিন সাহেবই জিততে যাচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচনের পর ফলাফল দেখে সবাই হতচকিত যে, এটা কিভাবে হল? তাহলে কি, আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের জনপ্রিয়তা হ্র্রাস পেয়েছে, নাকি হ্র্রাস পেতে যাচ্ছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, নির্বাচনের পর দেশের কতিপয় লেখকদের লেখার সত্যতা দেখে ; ওনারা নাকি আগেই ভেবেছিলেন এরকমের ফলাফলই হবে। অথচ নির্বাচনের পূর্বে একজন লেখক ও পাওয়া যায়নি এধরনের মন্তব্য করবার মত। সত্যিই লেখকদের লেখার সত্যতা দেখে আশ্চর্য হতে হয়। শুধু এটুকুই বলব – এই জাতিয় সত্যবাদী লেখকদের থেকে জাতি যেন দূরে থাকেন। উক্ত নির্বাচনের পর যে বিশ্লেষনটি আসা উচিত ছিল, তা কিন্তু আমরা কোথাও দেখিনি। সেটা হল তাহলে কি মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের উপর জাতি বিরক্ত? নাকি সত্যি সত্যিই মহাজোটের জনপ্রিয়তা হ্র্রাস পাচ্ছে? উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরে আমি বলব – মোটেই নয়। চট্রগ্রামের মেয়র নির্বাচনের ফলাফল এটা বুঝায় না যে, মহাজোটের জনপ্রিয়তা হ্র্রাস পাচ্ছে। বরঞ্ছ গত দেড় বৎসরের সরকারের কর্মকান্ডে সরকারের জনপ্রিয়তা কম করে হলে ও ৫% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিরোধীদলের জনপ্রিয়তা কমেছে এর চেয়ে ও আরো বেশী হারে। তাহলে যে প্রশ্নটি সামনে চলে আসবে তা হল কেন মহিউদ্দিন সাহেব পরাজিত হলেন?
এ প্রশ্নটির উত্তরই আমি আলোকপাত করতে চাচ্ছি – ব্যাপারটি হল মহিউদ্দিন সাহেবের কারনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের এক লক্ষ ভোট মনজুর সাহেবের বাক্সে চলে গিয়েছে? অর্থাৎ বিএনপি জোট প্রায় এক লক্ষ ভোট বেশী পুরেছে ওনাদের বাক্সে তার অন্যতম কারন হোল মনজুর সাহেব। মনজুর সাহেব যেহেতু সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন, সেই কারনে ওনার নিজস্ব একটি ভোট ব্যাংক ও রয়েছে এবং ঐ ভোট ব্যাংকটি হল আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক। ঐ ভোট ব্যাংকটির অবসথান হল ওনার নিজ এলাকার ভোটগুলো,যেই ভোটগুলো কোনভাবেই বিএনপির পকেটে যাবে না বা যাবার কথা নয়। আওয়ামী লীগের ঐ ভোটগুলো ভালবাসার অন্ধ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মনজুর সাহেবের থলিতেই রয়ে গিয়েছে। যেটা কিনা মনজুর সাহেব না হলে, আবার মহিউদ্দিন সাহেবের থলিতেই চলে আসত। কাজেই বিশ্লষণে দেখা যাচ্ছে যে, এভাবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভোটের বিশাল ভান্ডার মহিউদ্দিন সাহেবের বাক্সে না ঢুকে, ঢুকে পরেছে মনজুর সাহেবের থলিতে।যার কারণে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভোট থেকে বঞ্ছিত হয়েছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে যে, মহিউদ্দিন সাহেবের প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ, অভিমান ও আক্রোশের ফলে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ হাজার ভোট মহিউদ্দিন সাহেব ওনার নিজের বাক্সে পুরতে পারেননি। যে ভোটগুলো আওয়ামী লীগের ছিল সবসময়, কিন্তু মহিউদ্দিন সাহেবের কারনে ভোটগুলো চলে গিয়েছে মনজুর সাহেবের বাক্সে। এখানে কিন্তু দলীয় ভোটের সুইং হয়নি, যেটা হয়েছে তা হল ব্যক্তিগত রেশারেশির কারনে আওয়ামী লীগ বঞ্ছিত হয়েছে ওনাদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক থেকে। প্রার্থীর ভিন্নতা হলে হয়তবা ঐ ভৌটগুলো আওয়ামী লীগের বাক্সেই চলে আসত। কিন্তু হয়নি, বিগত চট্রগ্রাম নির্বাচনের এইটিই হোল মোটামোটি ভোট বিশ্লেষণ। এখানে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের হতাশ হবার যেমন কোন কারন নেই, ঠিক তেমনি বিএনপি জোটের আপ্লুত হবার ও কোন কারন নেই। যেটা হয়েছে তা হল আঞ্চলিক ও ব্যক্তিগত রেশারেশি। দলীয় নীতি আদর্শের জনপ্রিয়তা পরিমাপের ব্যারোমিটার হিসেবে আমরা উক্ত নির্বাচনকে অভিহিত করতে পারি না, কোনভাবেই।
৩. মহিউদ্দিন সাহেব দীর্ঘকাল যাবৎ রাজনীতির সাথে জড়িত, সুতরাং ওনাকে রাজনৈতিকভাবে কোনভাবেই খাটো করে দেখা কারোর উচিত নয়। যেটা বলব তা হল মহিউদ্দিন সাহেব ও একজন মানুষ ওনার ও ভূলত্রুটি থাকতে পারে, নিজের জান্তে ও অজান্তে ওনি ও হয়তবা কারোর মনে কষ্ট দিয়ে থাকতে পারেন, যার কারনে নির্বাচনে ওনাকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তার মানে কিন্তু এটা নয় যে, ওনার রাজনীতি শেষ হয়ে গিয়েছে। বরনঞ্ছ ওনার এখন উচিত আত্মবিশ্লেষণের মাধম্যে নিজের ভূলগুলো শনাক্ত করা এবং তা সংশোধনের চর্চা করা। ওনি একজন বড়মাপের রাজনীতিবিদ এবং ওনার এখন ও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। ওনার এখন উচিত আঞ্চলিক রাজনীতি ত্যাগ করে, জাতীয় রাজনীতিতে চলে আসা। আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা ওনার জনপ্রিয়তার তথা রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলেই মাঠ যাচাই না করে ওনাকে দলের প্রার্থী করেছিলেন। অন্যদিকে মহিউদ্দিন সাহেব অতিরিক্ত কনফিডেন্সের কারনে নিজেকে আপনা থেকেই দলের প্রার্থী হিসেবে আগ্রিম ঘোষণা দিয়ে ছিলেন, যেটা তিনি না দিলে ও পারতেন। যাই হউক আওয়ামী লীগের সবাই এখন ও মনে করে মহিউদ্দিন সাহেব রাজনীতিতে এখন ও ফুরিয়ে যাননি। আমরা সকলে ওনার রাজনীতির ভবিষৎ সাফল্য আবার ও কামনা করছি।
অন্যদিকে মনজুরুল আলম সাহেবের কথা বলতে হয়, যিনি সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন, ওনি কিভাবে সামান্য একজন মেয়র নমিনেশনের জন্যে নিজের সারা জীবনের লালিত আদর্শকে এক মুহূর্তের মধ্যে জলাঞ্জলি দিয়ে সমপূর্ণ বিপরীত মেরুর আদর্শে যোগ দিলেন। এটা কি কোন আদর্শ রাজনীতিবিদের নিকট জনগণ আশা করে, নাকি হওয়া উচিত? তাহলে যে প্রশ্নটি এখন সামনে চলে আসবে তা হল রাজনীতির আদর্শ বলতে যা বুঝায় তা কিছুই নয়, সবই বড় ধরনের ভাওতাবাজি বৈ অন্য কিছু নয়। এ প্রশ্নের উত্তর মনজুর সাহেব নিজে দিলে আমরা সবাই আশ্বস্থ্ত হতাম, আর না হয় আমাদের বলতে হয়, এ জাতিয় ভন্ড বাজনীতিবিদদের বাজনীতি থেকে চিরতরে উচ্ছেদেরে সময় এসে গিয়েছে। এটা যে দলেরই হউক। ব্যক্তি জীবনের নীতি – আদর্শ নিয়ে মানুষ অন্যের ক্ষতি না করে যা ইচ্ছা তা করার অধিকার রয়েছে, কিন্তু রাজনীতিতে ও কি তা রয়েছে? মোটেই নয় এবং হওয়া কখনো উচিত নয়, কারন রাজনীতিতে মানুষ ব্যক্তিকে মূখ্য করে দেখে না, দেখে তার আদর্শকে, কাজেই এখানে আদর্শ নিয়ে ভন্ডামি মানে জনগণের সাথে প্রতারণা করা, বড় ধরনের ভন্ডামি করা। যে সব ফাউল রাজনীতিবিদরা বলেন – রাজনীতিতে এসব কিছু যায় আসে না, ওনাদের উদ্দেশ্যে বলতে হয় ওনাদের রাজনীতি করবার অধিকার কে দিয়েছে? সর্বশেষ বলতে হয় রাজনীতিতে আদর্শই সবচেয়ে বড়, কাজেই যারা রাজনীতিবিদ হতে চান ওনারা যদি রাজনীতিতে আদর্শের জন্যে বাক্তি স্বার্থকে উৎসর্গ করতে না পারেন,ওনারা দয়া করে রাজনীতি করবেন না, অন্যকোন প্রফেশনে চলে যান এতে যেমন রাজনৈতিক কল্যাণ সাধিত হবে, ঠিক তেমনি ব্যক্তির ও।
সর্বশেষে বলতে হয়, রাজনীতির প্রতি জনগণের ভালবাসা ও শ্রদ্ধার বিষয়টি জাগ্রত করা রাজনীতিবিদদের কাজ, জনগণের নয়।কাজেই রাজনীতিবিদরা যদি তা করতে ব্যর্থ হোন এবং জনগণ যদি রাজনীতির প্রতি বিরুপ হয় তাহলে দায়টি কার? রাজনীতিবিদদের নাকি জনগণের?
আরশাদ হোসেন ভূঁইয়া।
এডেলেইড, অষ্ট্রেলিয়া, ৩১শে জুলাই ২০১০