বাংলাদেশ, বার বার ঘুইরে মাগুর চ্যাং – এক ভয়াবহ ভবিষ্যৎ কি অবধারিত
(দ্বিতীয় পর্ব) | (প্রথম পর্ব)
না আমাগো আর কোনো গতি ছিল না, আরেকটু ব্যাখ্যা কইরা বলি, বিশেষ কইরা সব কিছুর গোড়া, সব রসুনের গোড়া আমলাতন্ত্র সমন্ধে আরেকটু ব্যাখ্যা কইরা বলি –
যেই মৌলিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত প্রতিষ্ঠানগুলির কথা প্রথম পর্বে আলোচনা করলাম তা সব রাষ্ট্রে সব কালেই বিভিন্ন নামে ছিল এবং আছে – এই প্রতিষ্ঠানগুলি থাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রিকত কইরা এক ক্ষমতাকে অন্য ক্ষমতাগুলির নিয়ন্ত্রণে পারস্পরিকভাবে ভারসাম্যে রাখার মাধ্যমে রাষ্ট্রে সুশাসন বজায় রাখার জন্য। মানুষের মধ্যে, বিশেষ কইরা ক্ষমতাবান মানুষের মধ্যে একছত্রভাবে ক্ষমতাশালী হইয়া উঠার অথবা ফেরাঊন হইয়া উঠার প্রবৃত্তি লক্ষ্য কইরাই মানুষ হাজার হাজার বছরের সভ্যতার অভিজ্ঞ্যতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাগুলিকে বিকেন্দ্রিকত ও ভারসাম্যে রাখার এই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করছিল – সমষ্টিগতভাবে নিজেদেরকে নিজেদের ক্ষমতাগ্রাসী ধ্বংস্যাত্তক প্রবৃত্তির হাত থাইকা রক্ষা করার জন্য।
কিন্তূ আমাগো বাংলাদেশের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ওই ঔপনিবেশিক প্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাগুলিকে বিকেন্দ্রিকত ও ভারসাম্যে রাখা কি কোনোদিন সম্ভব ছিল? – না তার কোনো সম্ভবনাই ছিল না। এই প্রতিষ্ঠানগুলি আদলে গঠনে প্রশিক্ষনে ও সযত্নে গড়া প্রতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হইছিল ব্রিটিশ সম্রাজ্জের কালা উপনিবেশগুলিতে ব্রিটিশ স্বার্থ সংরক্ষনে – খোদ ব্রিটেন তো দূরে থাক, ব্রিটিশ সম্রাজ্যের সাদা উপনিবেশগুলিতেও (আমেরিকা, অস্ট্রেলীয়া, নিউজ়িল্যান্ড ও কানাডা) কোনো কালেই এই কালা ধাচের প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয় নাই। সেইখানের প্রতিষ্ঠানগুলি ব্রিটিশ পারলামেন্টে ও আইনের কাছে কঠোর ভাবে দ্বায়বধ্য ও বিকেন্দ্রিকতো ছিল। সেইখানে আইনে এবং কাঠামোতে পরিষ্কার ভাবে একটা প্রতিষ্ঠান ও একটা পদবিকে সীমাবদ্ধ ক্ষমতা দেওয়া হয় সুনির্ধারিত দায়িত্ব পালনের জন্য – ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমতা ভোগের বা অপব্যবহার করার জন্য না, বরং এর বিরুদ্ধে ছিল কঠোর শাস্তির বিধান ।
আমাগো এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি ঔপনিবেশিক আমলে কালা ঔপনিবেশিক আইন ও কাঠামোর অধীনে মূলতঃ কেন্দ্রীভূত ছিল আম্লাতন্ত্রের হাতে। জেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা মূলতঃ জেলা প্রশাসক বা ডেপুটি কমিশনারের হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল – রাজস্ব আদায়, পুলিস, ম্যাজিস্ট্রেসি, উন্নয়ন বাজেট, সরকারি অনুদান প্রদান সহ সর্বময় ক্ষমতা ছিল তার হাতে – রাজা বা ব্রিটিশ শাসকের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসাবে। তার একমাত্র, কিন্তু কঠিন দ্বায়বধ্যতা ছিল কেন্দ্রীয় ঔপনিবেশিক আমালাতন্ত্রের কাছে, যারা আবার উপনিবেশের স্বার্থ রক্ষায় চুড়ান্তভাবে দায়বদ্ধ্য ছিল লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিসের মাধ্যমে ব্রিটিশ পারলামেন্টের কাছে। কেন্দ্রীয় আমলারা অধস্তন আমলাদের কঠিন নিয়ন্ত্রণে রাখতো উপনিবেশের স্বার্থ রক্ষায় – কঠিন আইন প্রয়োগ ও নিয়ন্ত্রণে উপনিবেশের স্বার্থ রক্ষার বাইরে আমলাদের ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার বা আর্থিক দুর্নীতি করার সুযোগ বলতেগেলে ছিল না। আমলাতন্ত্রের সম্পূর্ণ অধীন পুলিসের অবস্থাও ছিল মোটামুটি একইরকম, তবে অবশ্যই ছোটোখাটো টাকা খাওয়ার সুযোগসহ – হাজার হইলেও পুলিস!
আর ঔপনিবেশিক বিচার ব্যবস্থা ঔপনিবেশিক আইনের অধিনে মূলতঃ ছিল উপনিবেশের স্বার্থ রক্ষার সূক্ষ্ম ভদ্র আলখেল্লা হিসাবে – যদিও আমরা একে ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থা হিসাবে জানি, ব্রিটেনে এইধরনের বিচারব্যবস্থা নাই। গত আটশ বছর ধইরা জুরি বা সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিরাই কোর্টে কে দোষী আর কে নির্দোষী সেই রায় দেয় ফৌজদারি মামলায়, বিচারক সেই জুরির রায়ের ভিত্তিতে শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী শাস্তিবিধান করার ক্ষমতা রাখে। বিচারে শাসক শ্রেনীর বদলে বৃহত্তর সমাজের মূল্যবোধ প্রতিফলিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা। বেশীরভাগ উন্নত দেশেই এই ব্যবস্থা চালু আছে। আর আমরা স্বাধীন দেশে একটা কালা ঔপনিবেশিক শাসক ও শক্তিমান্ সহায়ক বিচার ব্যবস্থা নিয়া পইড়া রইলাম। সেনাবাহিনীর কথা আলাদাভাবে বেশী ব্যাখ্যা করার আর বোধহয় কোনো দরকার নাই। এইখানে উল্লেখ করতে হয় যে ঔপনিবেশিক আমলে সারা ভারতবর্ষে মাত্র কয়েক জন হাতে গনা দেশীয় কালা বা নেটিভ আমলা বড়োজোর জেলা প্রশাসক বা ডেপুটি কমিশনারের সমমানের পদমর্যাদা পর্যন্ত উঠতে পারছিল বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে।
এই বাংলাদেশ নামের ভূখন্ডটা এই পর্যন্ত দুই দুইবার স্বাধীন হইলো, দুই দুইবারই আমরা ওই কালা ঔপনিবেশিক প্রতিষ্ঠানগুলি রাইখা দিলাম আর শাসকের হইয়া নায়েবের মত জনগন দমন ও শোষনে অতি প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ নিন্ম শ্রেনীর আমলাদের বানাইলাম দেশের নিতি নির্ধারণসহ সকল দন্ডমুন্ডের কর্তা। আর এই আমলাদের নিয়ন্ত্রণ গেল কঠোর সম্রাজ্যিক প্রশাসকদের হাত থাইকা ঔপনিবেশিক কেরানীর শিক্ষায় শিক্ষিত সামন্ত্রতান্ত্রিক মানসিকতার রাজনীতিকদের হাতে, যারা কিনা ঔপনিবেশিক ধারায় আমলাদের সামনে চরম হিনমন্যতায় ভোগে। আমরা স্বাধীন হওয়ার বদলে স্বাধীন হইয়া গেল ওই কালা ঔপনিবেশিক প্রথিঠানগুলি।
তারা যে এই স্বাধীনতা পাইয়া তাদের গোষ্ঠী সার্থে ও মানসিকতায় পারস্পরিক ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার বদলে হিনমন্য রাজনীতিকদের হাত কইরা একাট্টা হইয়া আমাদের মতো বেকুবদের পাইন মারতে থাকবে এইটাই কি স্বাভাবিক না –
সেই জন্যই বলি – না আমাগো আর কোনো গতি ছিল না – এই বাংলাদেশ নামের ভূখন্ডটা এই পর্যন্ত দুই দুইবার স্বাধীন হইলেও আমরা, এই ভূখন্ডের মানুষরা কোনোবারই স্বাধীন হইতে পারি নাই ওই জঘন্য কালা ঔপনিবেশিক প্রথিঠানগুলির জন্য – খালি তারাই স্বাধীন হইছে।
সভ্যতার ইতিহাস ঘাইটা দেখেন, যেই কোনো দেশের যেই কোনো সময়ের ইতিহাস ঘাইটা দেখেন – বার বার একই ধরনের আলামত দেখবেন – যখন একটা দেশে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি ছিল, তখন অব্বসম্ভাবি ভাবেই একটা মূল পুর্বশর্ত হিসাবে সেইখানে সুশাসন বিরাজমান ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাগুলি বিকেন্দ্রিত ও পারস্পরিকভাবে ভারসাম্যে রাখার মাধ্যমে। ভারতবর্ষের বাদশাহ আকবরের আমল, জাপানের মেইজি রিফরম, তুর্কি অটোমন সম্রাজ্যের, রোমান সম্রাজ্যের , ইউরোপীয়ানদের আর ইদানিংকালের সিঙ্গাপুর কোরিয়া মালায়শিয়া ও চীনের ঊত্থ্যানের ইতিহাস একটু বিশ্লেষণ কইরা দেখেন – বার বার এই একই অবস্থা খুইজা পাইবেন। আর যখন কোনো সভ্যতার বা দেশের পতন হইছে, অরাজকতায় ডুবছে, অস্তিত্ব বিলীন হইয়া গেছে তখন অবশ্যম্ভাবী ভাবেই এর মূলে পাইবেন ভারসাম্যহিন একাট্টা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আশ্রয়ে রাষ্ট্র ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফেরাউনদের উথ্যান ও চরম কুশাসন।
এখন যেই মানুষগুলি এই ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে কাজ করে তারা কি আমাগো বাকি সবার থাইকা খারাপ? না, তারা আমাগো থাইকা খারাপ না, আমরা ৯৯% বা তার থাইকা বেশি মানুষই ‘যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবন’ এর মত ওই প্রতিষ্ঠানগুলিতে চাকরি পাইলে একইরকম দুর্নীতিবাজ হইয়া যাইতে বাধ্য।
মূল সমস্যা ওই ঔপনিবেশিক প্রতিষ্ঠানগুলি এবং তাদের মজ্জাগত প্রাথিষ্ঠানিক মানসিকতা ও গোষ্ঠি স্বার্থ, আর তার সাথে ইন্ধন দিতে আছে আমাদের সমাজের ঔপনিবেশিক আর সামন্ততান্ত্রিক ছোটো-লোক বড়ো-লোক এবং প্রচ্ছন্য জাত-পাত মানসিকতার এক বিষাক্ত মিশ্রন। এই বিষাক্ত মানসিকতার প্রভাবে, আমরা একটু শিক্ষিত হইলেই লুঙ্গি আর শ্রম করার কাজ ছাইড়া প্যান্ট সার্ট পইড়া সাধারণ মানুষের থাইকা আলাদা হইয়া একটা চেয়ার টেবিলে বসা কেরানির চাকরি খুঁজি। আর একটু উচ্চ শিক্ষিত হইলেতো আর কোনো কথাই নাই, সাধারণ মানুষের থাইকা একদম আলাদা হইয়া যাওয়ার জন্য এই গরমের দেশে স্যুট কোট পইড়া এক অদ্ভুত ব্রিটিশ ভেক ধরি আর ভাইঙ্গা চুইড়া ইংরেজী বলার চেষ্টা করি। এরপর যদি কোনমতে কোনো সরকারি সার্ভিসে অফিসার শ্রেনীতে ঢুকার সুযোগ পাই তাইলেতো আর কোনো কথাই নাই – ওই প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কাঠামো এবং প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদের গোষ্ঠিস্বার্থ এবং আমাদের ব্যাক্তিস্বার্থ একসুত্রে বাইন্ধা খুব তাড়াতাড়ি জনবিছিন্ন কইরা তাদের একজন বানাইয়া ফালাইবে। এইখানে ব্যক্তিবিশেষ ওই ঔপনিবেশিক প্রতিষ্ঠানগুলি্র ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কাঠামো ও প্রবল গোষ্ঠিস্বার্থের সামনে একদমই অসহায়।
অবক্ষয়ী মানসিকতার বিষাক্ত মিশ্রন আমরা আমাগো ঐতিহাসিক সামাজিক বিবর্তন থাইকাই পাইছি এইটাই সত্য, যা সমাজ অগ্রসর হইলে সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে প্রগতিশীল হইয়া উঠতো। কিন্তূ ওই জঘন্য কালা ঔপনিবেশিক প্রথিঠানগুলি কখনই তা হইতে দিব না। তারা শুধু সমাজ ও দেশকে পশ্চাৎপদ কইরাই রাখতাছে না, সমাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতার শীর্ষ স্থান কায়েমী ও একছত্রভাবে দখলে রাইখা সমাজের সব উচ্চাকাংখা ও উচ্চাভিলাসের মুর্ত প্রতীক হইয়া, তারা আমাদের মানসিকতার বিষাক্ত মিশ্রনকেও সযত্নে লালন করতাছে – আমাগো আর্থসামাজিক অগ্রগতির সব পথ রুদ্ধ কইরা – আমাগো সমষ্টিগত শক্তিকে শৃঙ্খলিত কইরা, এর উন্মেষ ও প্রয়োগ রুদ্ধ কইরা।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন ওই প্রতিষ্ঠানগুলিকে রিফর্ম বা মেরামত করা কি সম্ভব না? – সেই স্বাধীনতার পর থাইকা বহুবার বহু কমিশন এবং আরো বহুভাবে সেই চেস্টা কি করা হয় নাই? তাদেরকে বদলানো তো দুরের কথা – কোনো বিন্দুমাত্র মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারছি? তাদের তিব্রগতিতে ধাবমান অবক্ষয়ের গতি কি বিন্দুমাত্র স্লথ করতে পারছি? – না পারি নাই, পারা সম্ভব না। উন্নত অনুন্নত সব দেশে এইধরনের প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ঘাইটা দেখেন; এইধরনের সুদীর্ঘ প্রতিক্রিয়াশীল সংস্কৃতির ইতিহাস ও বিশাল গোষ্ঠিস্বার্থ সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলিকে কোনদিনই তাদের অস্তিত্ব বজায় রাইখা বদলানো সম্ভব না – এরা হইয়া যায় কুত্তার লেজের মতো, যা কোনোদিনই সোজা করা সম্ভব না।
প্রথম পর্বেই বলছি আমরা এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের মুখে দাড়াইয়া আছি – একদিকে উনচল্লিশ বছরের পুঞ্জীভূত আর্থসামাজিক সমস্যার পাহাড় জ্যামিতিক হারে বাইরা সমস্যার পর্বত হইতাছে, আর অন্যদিকে সমস্যার মহাসাগর জাগতাছে। একদিকে জাতি বড় হইতেছে আর সমস্যার পর্বত তৈরি হইতেছে, আর অন্যদিকে দেশ ছোটো হইতেছে – আমরা তিব্রবেগে এক মহা-জাহান্নামের দিকে ধাবমান, আমাগো হাতে আর সময় নাই। ।
এখন আমাগো ক্রমাগত পিছানো বন্ধ এবং আমাগো সামষ্টিক শক্তিকে ওই প্রথিঠানগুলির হাত থাইকা অশৃংক্ষলিত কইরা এই ভয়াবহ ভবিষ্যতের মোকাবেলায় সঙ্ঘবদ্ধভাবে দাড়ানোর জন্য, একটা প্রচন্ড ধাক্কায় অই কালা ঔপনিবেশিক প্রথিঠানগুলিকে শিকড়, বাকড়, ঝুড়ী সহ সমূলে উৎপাটন করা ছাড়া আমাগো কি আর কোনো উপায় আছে? – বোধহয় নাই। নাইলে একটা জনগোষ্ঠি হিসাবে আমরা নিজেগো অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টায় সমন্বিত উদ্যোগও নিতে পারব না – অবস্থার চাপে নিজেদের মধ্যে ভয়াবহ হানাহানি কইরা এক মহা জাহান্নাম বানাইয়া ফেলব – যার অশনি সংকেত এখনই দেখা দিতেছে।
এর সাথে সাথে সত্যিকার ভাবে জনগনের কাছে দ্বায়বদ্ধ তৃনমূল গণতন্ত্র প্রথিষ্ঠা কইরা দ্রুত জনগনকে ভবিষ্যতের ভয়াবহতা সমন্ধে সচেতন ও সংঘটিত কইরা সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া আমাগো সত্যি আর কোনো উপায় নাই।
আমাগো এইটাও মনে রাখতে হইবো যে কেওই আমাগো জন্য বিশেষ কিছু করবো না – না আমেরিকা, না জাতিসঙ্ঘ, না আই এম এফ, না ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, না দাতারা – কেওই আমাগো জন্য বিশেষ কিছু করবো না, এতোবড়ো মহাসমস্যায় কেওই কিছু করবে না, করতে পাড়বে না, তাদের নাগরিকরা এতবড়ো আত্মত্যাগ কোনোদিনই করবে না, ইতিহাসে তার কোনো নজির নাই বরং অন্যরকম নজির আছে ভুরি ভুরি – সারা দুনিয়ায়ই জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপ বাড়তেছে – দিনে দিনে দেশে দেশে ইমিগ্রেশনের দরজা বন্ধ হইতে থাকবে, এমনকি ভারত আর বার্মাও সীমান্তে বেড়া দিতাছে – মিথ্যা আশার ফানুস না উড়াইয়া, যা করার সব আমাগোই করতে হইবো নিজেগো অস্তিত্ব রক্ষার জন্য।
লেখক: নির্বোধ
মতামত: nirbodh@gmail.com | (প্রথম পর্ব)