জেফরীর নায়ক ও এ কেইস অন করাপ্সন – দিলরুবা শাহানা
-পড়ে শুনাও এবার
আমি স্পষ্ট উচ্চারণে জোরালো গলায় পড়তে শুরু করলাম। এ ধরনের জরুরী অর্থপূর্ণ তবে প্রায় অর্থ শূন্য কাজে অদ্ভুত ভাবে জড়িয়ে গেলাম। পন্ডিত গবেষকদের সাথে মাঝে মাঝে কিছু কাজ করে থাকি। পয়সাও সামান্য জোটে তবে এতে পয়সার চেয়ে বেশী জোটে আনন্দ।
হতাশ পিতা বিরক্ত চোখে চেয়ে আমাকে দেখে আর দীর্ঘশাস ফেলে। মা বলে যে
-না হউক বিদ্বান, না হউক বিত্তবান। কারোর ক্ষতিতো করছেনা, গরীবানা সুরতেই জীবনটা ওর না হয় কাটলো কি তাতে আসবে যাবে।
বৈষয়িক ব্যাপারে অতি অভিজ্ঞ বাপ বলে
-যেটুকু গুণ আছে তা দিয়ে ফায়দা তুলতে পারতো সেটাও করবেনা; গাদা গাদা বই পড়া আর দিস্তাদিস্তা কাগজ ও কালির অপচয় শুধু। লিখে দে একখানা রসালো বই তা থেকে পয়সা কিভাবে বানাতে হয় তা আমি বুঝবো।
বাবার বিরক্তি আমার কাজে বিন্দুমাত্র বিঘ্ন ঘটাতে পারেনা। কিছুদিন হল ক্রাইম আর করাপ্সন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে কিছু তথ্য জোগারে মেতে উঠি। ক্রাইম শব্দটা উচ্চারণের সাথে সাথে যাদের কথা মনে ভাসে তারা সমাজের নীচুতলার লোক। আর করাপ্সন হচ্ছে ধবল বা সফেদ পোষাকধারীদের বা হোয়াইট কলারদের কর্ম। সুবিধা আদায়, স্বার্থসিদ্ধির জন্য অতি সূক্ষ্মভাবে ভদ্রলোকেরা করাপ্সন করে থাকে। মুশকিল হয় কোন দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র বা বহুজাতিক বাবসা প্রতিষ্ঠান যখন অন্যদেশে ঘুষটুষ দিয়ে কাজ আদায়ে কোমড় বেঁধে নামে। ক্রাইম দমনের আইন আর করাপ্সন বন্ধের আইনী উদ্যোগ নিয়ে ঘাটাঘাটির শুরুতে এই কাজের প্রস্তাব পাই। গল্পটা কাজের অংশ।
পুরো গল্পটি পড়তে নিচের পিডিএফ টিতে ক্লিক করুন।