প্রিয় অষ্ট্রেলিয়াকে অনেক, অনেক ধন্যবাদ একটি সুন্দর আয়োজনের জন্যে —
শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়া , জালে জড়ানো কিংবা অন্যের অধীনে চলে যাওয়া মানুষের ধর্ম নয় । মানব সভ্যতার ইতিহাস শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাস ।স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকবার ইতিহাস । কিন্তু আমরা প্রবাসী বাংলাদেশীরা যে , ক্রমেই একটি বিশেষ কৃতজ্ঞতার জালে বন্দী হয়ে যাচ্ছি , তা কি আমরা কখনো উপলব্ধির মধ্যে আনছি ? মনে হয় না —। তা হলো আমরা ক্রমেই প্রিয়-অষ্ট্রেলিয়ার জালে বন্দী হয়ে যাচ্ছি , আমি , আপনি , আমরা সবাই । এই বন্দিত্ব কিন্তু সেই বন্দীত্ব নয় , বড় মধুর , বড় ভালবাসার বন্দীত্ব । আমরা সকলেই বেশী বেশী করে সেই ভালবাসার জালে বন্দী হতে চাই । প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়াকে অনেক অনেক ধন্যবাদ তার জন্মদিনের জন্যে , আমাদের সকলের জন্যে , একটি সুন্দর আয়োজনের জন্যে । অষ্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশীদের জন্যে এ্যাওয়ার্ড কার্যক্রমের মত একটি সুন্দর আয়োজনের জন্যে , আমাদের সকলকে এ জাতিয় আয়োজনের দায়মুক্তির জন্যে প্রিয় অষ্ট্রেলিয়ার নিকট আমরা সকলে কৃতজ্ঞ।
২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইতিহাস কেবল সফলতার ইতিহাস । সকলকে একত্রে নিয়ে আসবার ইতিহাস । এই সফলতার জন্যে আমি প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়ার সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । প্রিয় অস্ট্রেলিয়ার টিমকে অশেষ ধন্যবাদ তাদের চিন্তার সামগ্রিকতার জন্যে , সকলকে নিয়ে চিন্তার জন্যে , আমাদের জন্যে কিছু একটা করার জন্যে । প্রিয় – ক্যানবেরা থেকে প্রিয়- অষ্ট্রেলিয়া , তারপর আমাদের গন্তব্য কি এবং কোথায় ? আগামীর গন্তব্যে আমরা সকলে প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়ার সাথে থাকতে চাই , দায়মুক্তি চাই , কিছু একটা করতে চাই —।
প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে আমাদের শুধু স্বার্থপরের মত নিলেই হবে না , এই বৃক্ষটিকে আরো মোটাসোটা করে , আরো ফলবান করার জন্যে আমাদের সকলকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে এবং এখনই । অষ্ট্রেলিয়াপ্রবাসী আমাদের সকলকে সর্বপ্রকার সাহায্যের হাত প্রিয় অষ্ট্রেলিয়ার জন্যে এগিয়ে দেয়া উচিত এবং এখনই । পাশাপাশি অষ্ট্রেলিয়াতে , আমাদের সকল এসোসিয়েশনকে সাহায্যের হাত বেশী করে বাড়িয়ে দেয়া উচিত , প্রিয় অষ্ট্রেলিয়ার জন্যে । আমাদের মনে রাখতে হবে ,ব্যক্তির চেয়ে সমষ্টির হাত অনেক শক্তিশালী এবং ব্যাপক । আমাদের এসোসিয়েশনগুলোকে শুধুমাত্র প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়ার জন্যে নয় , ওনাদের নিজেদের একটি শক্তিশালী প্লাটফর্মের জন্যে হলেও প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়াকে আরো শক্তিশালী করবার জন্যে ওনাদের সকলকে এগিয়ে আসা উচিত । এ ব্যাপারে আমি বাংলাদেশ অষ্ট্রেলিয়া সোসাইটি অফ সাউথ অষ্ট্রেলিয়ার কার্যকরী কমিটি ও সকল সদস্যকে এ ব্যাপারে ওনাদের যুগোপযুগী একটি সুন্দর সিদ্ধান্তের জন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । ওনারা যেভাবে প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়ার জন্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ;তা আমাদের অষ্ট্রেলিয়ার সকল বাংলাদেশী এসোসিয়েশনের জন্যে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল ।
প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়া এগিয়ে যাক সম্মুখের দিকে – আরো গতিময়তায় ,আরো বেশী নান্দনিকতায় ; সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যে , শুধুমাত্র অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী আমাদের জন্যে নয় , সকল প্রবাসীদের জন্যে , সেই প্রত্যাশায় ——–
আরশাদ হোসেন ভূঁইয়া ।
এডেলেইড , অষ্ট্রেলিয়া —
২২শে জুন ২০০৯
লেখক পরিচিতি : ডিপ্লোমা এন্ড এডভান্সড ডিপ্লোমা অফ হোটেল ম্যানেজম্যান্ট (ক্যানবেরা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ) , ব্যাচেলার অফ হোটেল ম্যানেজম্যান্ট ( ইউনির্ভিিসটি অফ ক্যানবেরা ) ,গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট অফ ইংলিশ ফর প্রফেশনাল পারপাজেজ ( ইউনির্ভিিসটি অফ ক্যানবেরা ) ,কোয়ালিটি ম্যানেজম্যান্ট অন সাপোর্টিং ইনডাসট্রিজ ( পি , এস , বি সিংগাপুর ) , বিএস এস অনার্স , এম এস এস রাষট্রবিজ্ঞান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ) । লেখক ক্যানবেরা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের ২০০১ /০২ দুই ,দুইবার নির্বাচিত প্রতিনিধি ।