প্রিয় – অস্ট্রেলিয়ার নিকট থেকে একুশে সংকলন ২০১০ পেতে পারি কি?
প্রচারবিমুখতা আমার স্বভাবসিদ্ধ একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যখন দেশ -বিদেশে বিচরণ করি , পশ্চিমা শিক্ষায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলি ,তখন থেকে আমার অনেক পুরনো ধারনা -চিন্তাগুলো আস্তে আস্তে বদলাতে থাকে। এ যুগে এসে শুধু এটুকু বুঝি যে , প্রচার খারাপ কিছু নয়। বরং য়ের যথেষ্ট ভাল দিক রয়েছে। তবে দুনিয়াতে সব ভাল জিনিসের খারাপ ব্যাবহারের ও ব্যাবহারকারীর যেমন যথেষ্ট আধিক্য রয়েছে , প্রচারের বেলায় ও তাই। এটা অতীতে ও ছিল , এখন ও রয়েছে ভবিষৎয়ে ও থাকবে ; যেহেতু মানুষের মধ্যেকার মতলববাজী ও কুৎসিত চেহারাটা রয়েছে।
আমি আমার প্রচার চাই বা না চাই , তবে আমার প্রিয়জনের -জনদের প্রচার দেখলে, সাফল্য দেখলে যথেষ্ট ভাল লাগে। নিজেকে তাদের একজন হিসেবে দেখতে ভাল লাগে। প্রিয় -অস্ট্রেলিয়াকে আমি আমার নিজস্ব একান্ত আপন মিডিয়া হিসেবে দেখতে খুব ভাল লাগে। এর সাফল্যে নিজেকে পুলকিতবোধকরী , খারাপ দেখলে মনের গহীন কোণে ব্যাথা অনুভব করি । নিজেকে য়ের জন্যে কিছু করতে পারলে গর্বে বুকটা ভরে যায় , অন্য অনেকের বেলায় তা হয় কিনা, জানি না। হয়তবা হয় , হয়তবা না। তবে আমার বেলায় খুব বেশি হয় , কি জানি হয়তবা এখানেই মানুষের সাথে মানুষের অনুভূতির প্রকাশ – বিকাশ ও চারিত্রিক পার্থক্য।
আমার ভাল লাগবে যখন একদিন দেখব যে প্র্রিয়- অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের তথা বাংলা ভাষাভাষীদের অন্যতম একটি শক্তিশালী মিডিয়া ।এর বৈশিষ্ট্যে এটি হবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অন্যতম অনুকরনীয় উচ্চমানের একটি মিডিয়া। এর বৈশিষ্টে এটি হবে সকলের কাছে একান্ত আপন , নির্ভরযোগ্য , অনুসরনীয় , অনুকরনীয় ও উচ্চমানের প্রকাশনা। আমার বা আমাদের এই প্রত্যাশাটি কিন্তু ভাবে নয় বাস্তবে ও সম্ভব এবং অবশ্যই সম্ভব যদি আমরা সকলে মুক্ত মন নিয়ে বেশী নয় , একটু এগিয়ে আসি। প্রিয় -অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে বেশ কিছু ভাল উচ্চমানের লেখক আমাদের নিকট উপস্থাপন করতে পেরেছে , যা সম্ভব হয়েছে য়ের মুক্তমনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারনে। আমি বা আমার কাছে যতদূর খবর আছে – শুনা যাচ্ছে , বাংলাদেশের অনেক বহুল প্রচারিত ও গ্রহনযোগ্য পত্রিকাগুলো পর্যন্ত য়ের এই সাফল্যে ঈষান্বিত হয়ে পরেছে ।
প্র্রিয়- অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে আমাদের দিতে পেরেছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব ও প্রিয় লেখকের এ্যাওয়ার্ডয়ের মত একটি অনুকরনীয় সাফল্যময় দিক ।বিশেষ করে আমি আমার জানা মতে বলব , ওনাদের ২০০৯ প্রিয় ব্যাক্তিত্বের পুরষ্কারটি এমন একজনের হাতে ওনারা দিতে পেরেছেন , যিনি সত্যিই এই সম্মান পাওয়ার মত ব্যাক্তিত্ব। সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে ওনার মত এমন অনুকরনীয় ব্যাক্তি²ত্ব আর একটি ও নেই , অস্ট্রেলিয়ার অন্যত্রের খবর আমার কাছে নেই। যারা ওনার সান্নিধ্যে একবার এসেছেন চোখ বুজে বলবেন – এমন নির্লোভ ,সজ্জন ব্যাক্তিত্ব সত্যিই খুব একটা চোখে পরে না , আপাতমস্তক একজন বাংগালী। ওনার কল্যাণেই বাংলাদেশ- অস্ট্রেলিয়া সোসাইটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়া (বাছা ) আমার মনে হয় একমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন সারা বিশ্বে , তথা সমগ্র অস্ট্রেলিয়াতে ত অবশ্যই ;যে সংগঠনের সভাপতি হলেন একজন বাংগালী , বাংলাদেশী নন ;যার বাড়ি কলকাতার দওপুকুরে। এমন অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত আসলে উদার , মুক্তমনের বড়মাপের মানুষ ব্যাতিত প্রায় অসম্ভব। এই পুরষ্কারের মাধম্যে প্র্র্রিয়- অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছে বাছাইয়ে তারা আপোষহীন। সম্মান প্রদানের মাধম্যে ওনারা যতটুকু না সম্মানীত করেছেন , তার চেয়ে ও বেশী সম্মানীত হয়েছেন। এখানেই কাজের সার্থকতা ।
এতসব ভাল কাজের মধ্যেদিয়ে প্রিয় -অস্ট্রেলিয়া আমাদের প্রত্যাশার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। আমার মনে হয় প্রিয় অস্ট্রেলিয়া যদি এখন থেকে প্রতি বৎসর ২১শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক ভাষা দিবসে তার সারা বৎসরের পাবলিকেশনের বাছাই থেকে নিয়ে একটি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোসাইটি ভিত্তিক সংকলন মুদ্রণ প্রকাশের কাজে হাত দেয় এবং প্রকাশনাটি ২১শে ফেব্রুয়ারীর বাংলা একাডেমীর বই মেলায় প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে এটা হবে ওনাদের জন্যে সাফল্যের আরো একটি মাইলফলক। প্রিয় -অস্ট্রেলিয়া যদি উদ্যোগটি পরিকল্পনার মাধম্যে এগোয় তাহলে আমি নিশ্চিত ওনারা প্রচুর সাহায্য পাবেন একাজের জন্যে। এই উদ্যোগটি একমাত্র প্রিয় অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সম্ভব , অন্য কারোর পক্ষে নয়। কারণ এই কাজের সমস্ত উপাদান একমাত্র ওনাদের কাছেই রয়েছে এবং ওনাদের জন্যেই কাজটি সহজলব্য , অন্যকারোর জন্যে নয়। একাজে ওনাদের সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন হবে প্রবাসী বাংলাদেশী এসোসিয়েশনগুলোর সাহায্য , কারন বইয়ের বা সংকলনটির প্রধান ক্রেতা হলেন , অস্ট্রেলিয়াতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা , তারপর রয়েছে বাংলাদেশের লোকাল মার্কেট। অস্ট্রেলিয়াতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যেহেতু যুক্ত এসোসিয়েশনগুলোর সাথে সেইহেতু এসোসিয়েশন গুলোই পারে এখানে মূল ভূমিকা পালন করতে। আর একাজটি সম্ভব একমাত্র প্রিয় – অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। যেহেতু প্রকাশনাটির সাথে অর্থের ব্যাপার জড়িত সেইহেতু ওনারা পুরো পরিকল্পনাটি বাণিজ্যিকভাবে নিতে পারেন ।ব্যাপারটি হবে অস্ট্রেলিয়ার ইয়েলো পেজ প্রকাশের মত সারা বৎসরব্যাপী কার্যক্রম , তবে এটি কোন ইয়েলো পেজ জাতিয় ব্যাপার হবে না , পত্রিকার প্রকাশনা মাত্র , সাথে প্রবাসী কমিউনিটিগুলোকে পরিচিত করে তোলা এবং তাদের নিজেদের প্রকাশের একটি মাত্রা ।
এখানে সংকলনের অর্থের উৎস হতে পারে প্রদান দুটি খাত এক সংকলনের বিক্রয়লব্দ অর্থ , অন্যটি বিজ্ঞাপন প্রকাশের খাত থেকে আহরিত অর্থ , অন্যান্য খাত গুলো আমি এখানে প্রকাশ করলাম না ।
তবে পুরো ব্যাপারটি একটি সুুন্দর পরিকল্পনার ছকে আনতে পারলে খুব সহজে কাজটি করা যাবে। এজন্যে তারা একটি প্রকল্প ও প্রকল্প কমিটি গঠন করে এগোতে পারেন অতি সহজে। আমার ব্যক্তিগত মতামত চাইলে বলতে পারি যে , পুরো প্রকল্পের জন্যে একজন প্রকল্প পরিচালক এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেকটি স্টেট ও টেরিটরির জন্যে একজন করে কো পরিচালক নিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি করে ওনারা এগোতে পারেন ।আশা করি ব্যাপারটি নিয়ে প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ ভাববেন। এ প্রকল্পের ব্যাপারে আমি যদি প্রিয় – অস্ট্রেলিয়ার নূন্যতম উপকারে আসতে পারি তাহলে নিজেকে গর্বিত মনে করব। মানিক ভাই যেন এ ব্যাপারে সাহসী হোন এজন্যে ওনাকে এ নিশ্চয়তাটুকু দিতে পারি যে , বাংলাদেশ- অস্ট্রেলিয়া সোসাইটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়া (বাসা) কর্তৃপক্ষের সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলব এবং এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে ওনারা এডেলেইড থেকে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লক্ষ বাংলা টাকার টার্গেট নিয়ে এগোতে পারবেন , এ টাকা সংগ্রহের অবলম্বন হবে বাসার সদস্যদের নিকট সংকলন বিতরণ ও বিজ্ঞাপন থেকে সংগৃহিত অর্থ। তবে এ ব্যাপারে প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়ার মূল টার্গেট হবে সিডনীভিত্তিক নিউ সাউথ ওয়েলস ও মেলবোর্ণভিত্তিক ভিক্টোরিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশীরা , কারন আমাদের অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের সিংহভাগই বসবাস করেন ঐ দুটি প্রদেশে ।আমি প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়াকে এ ব্যাপারে আরো নিশ্চয়তা দিতে চাই যে এব্যাপারে ওনারা নিম্নোক্ত ঠিকানাটিকে এডেলেইডের প্রিয় – অষ্ট্রেলিয়ার ব্যূরো অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন – নম্বর : ৩ , ক্রস ট্রেস , কোরালটা পার্ক , এডেলেইড , সাউথ অস্ট্রেলিয়া – ৫০৩৭। সর্বোপরি অতি নিকটেই আমরা পেতে পারব – এ ব্যাপারে একটি সুুখবরের ।এই প্রত্যাশায় , আজকের মত…।
আরশাদ হোসেন ভূঁইয়া ।
এডেলেইড , অষ্ট্রেলিয়া —
৯ই সেপ্টেম্বর ২০০৯
লেখক পরিচিতি : ডিপ্লোমা এন্ড এডভান্সড ডিপ্লোমা অফ হোটেল ম্যানেজম্যান্ট (ক্যানবেরা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ) , ব্যাচেলার অফ হোটেল ম্যানেজম্যান্ট ( ইউনির্ভিিসটি অফ ক্যানবেরা ) ,গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট অফ ইংলিশ ফর প্রফেশনাল পারপাজেজ ( ইউনির্ভিিসটি অফ ক্যানবেরা ) ,কোয়ালিটি ম্যানেজম্যান্ট অন সাপোর্টিং ইনডাসট্রিজ ( পি , এস , বি সিংগাপুর ) , বিএস এস অনার্স , এম এস এস রাষ্ট্রবিজ্ঞান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় )। লেখক ক্যানবেরা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের ২০০১ /০২ দুই ,দুইবার নির্বাচিত প্রতিনিধি।