কোথাও থামতে হবে – ফরিদ আহমেদ

কোথাও থামতে হবে – ফরিদ আহমেদ

কোথাও থামতে হবে। এই থামার জায়গাটি অনেকেই খুঁজে পাননি। আর তাই জীবন ও সংসারের উপর বিপত্তি নেমে এসেছে। বেগম জিয়া জানতে চেয়েছেন: আমরা কি কোন ভাল কাজ করিনি? আমি বিশ্বাস করি তিনি অবশ্যই ভাল কাজ করেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বৃত্তি চালু করেছিলেন বলেই অনেকেরই উচ্চ শিক্ষার স্বাদ পরিপূর্ণ হতে পেরেছে। তিনি এমনি অসংখ্য ভাল কাজ করেছেন। জীবনে বেঁচে থাকলে তিনি আরোও অনেক ভাল কাজ করবেন।

তবে মাননীয় নেত্রী আপনাকে কোথাও থামতে হবে।

হিলারী ক্লিনটন এর মত একজন আধুনিক বিশ্বের মানুষ বুঝতে ব্যর্থ হন কোথায় থামতে হবে। আপনিও ব্যর্থ হয়েছেন। আপনার থামবার প্রয়োজন উপলব্ধি করে আপনাকে সরকার বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। সরকার আপনার কাছে সাহায্য চেয়েছিল। আপনি কি তা করতে পেরেছেন?

আমরা সবাই জানি আপনাকে সবাই রাজনীতিতে এনেছেন। আপনি নিজে আসেননি। বা আপনার স্বামী জিয়াউর রহমানও নিয়ে আসেননি। আপনি প্রধানমন্ত্রীত্ব অর্জন করেছেন। আর দেখুন রওশন এরশাদকে ফাষ্ট লেডি করতে হয়েছে। আপনার শ্রেষ্ঠ এখানে। আপনি যে বলছেন: শেষ দেখবেন। এটি আপনার একটি ভুল সিদ্ধান্ত।

আপনার বলা প্রয়োজন ছিল: বাবা তারেক যতদিন আমি আছি তুমি নিজের কাজ কর। রাজনীতি আমাকে করতে দাও। আপনি এ কাজটি যদি করতে পারতেন তাহলে কোন সমস্যাই হতো না। আমরা আপনার মঙ্গল চাই। একটু দুরে সরে গিয়ে দেখুন ভাল ফল আসবে। আপনি চুপচাপ থাকেন সেটাই আপনাকে মানায়। আরেক নেত্রী অনেক বেঁফাস কথা বলেন আর নিজের বিপদ ডেকে আনেন। আসুন আমরা থামি এবং পর্যালোচনা করি এবং আগামী দিনগুলিকে সুন্দর করি।

আমাদের দেশে অনিয়ম-র্দূনীতি যে পর্যায়ে গেছে সেখানে থামার প্রয়োজন ছিল। আমরা থেমেছি। সরকারের ভুল হয়েছিল শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে না দেওয়া। এরপর সরকারের থামার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নতুন নতুন মামলা দিচেছন। সরকারেরও কোথাও থামতে হবে। সামনে নির্বাচন সেটা যাতে সুষ্ঠ হয় সেজন্য সারাদেশ চষে বেড়ানোর প্রয়োজন। এখন ঢাকায় বসে সংলাপ করলে হবেনা। সংলাপের যখন প্রয়োজন ছিল তখন আপনারা বসেছিলেন। এখন সময় পার হয়ে গেছে। এখন থামতে হবে।

আপনারা তাকিয়ে দেখুন যে আফ্রিকার কালোমানুষদের একসময় মানুষই মনে করা হতো না। আজ তারা কত এগিয়ে গেছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। শুধু বেগম জিয়া নন, আমাদের অনেকেরই থামা উচিত।

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে থামতে হবে, ভাবতে হবে এবং কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

সরকার বলতে চেয়েছেন নেত্রীদের উচিত অন্যদের সুযোগ দিতে। আমি পরিশেষে জানতে চাই মেয়াদ বৃদ্ধি করে কাউকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা এবং অন্য কারোও কিসমত কেঁড়ে থেকে কবে আপনারা বিরত হবেন বা থামবেন? কবে আপনারা নির্বাচন দিয়ে অন্যের ন্যায্য পাওনা তুলে দেবেন। এটিই আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব। আপনারা থামবেন কি?


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment