প্রিয় মানুষের শহর – ৩
আমিনা ও আবুল আমার ফেইজবুক বন্ধু। বেশ কয়েক বছর থেকে। সরাসরি দেখা হয়নি কখনো। ওনাদের একটা বাচ্চাদের স্কুল আছে। বিভিন্ন এলাকায় স্কুল শাখাও আছে। প্রতিদিন, হাজারটা পোষ্ট দেন, স্কুল, বাচ্ছা, নানা বিষয়ে। অনেক সময় সমাজের টাবু বিষয় গুলো নিয়ে ফেইজবুকে ঝড় তোলেন! আমার মাঝে মাঝে ভাল লাগে, মাঝে মাঝে আহত হই, মাঝে মাঝে নিহত! ইদানিং সব কিছুতেই “আমি আমি”। কিছুদিন আগে তিনি একটা পোষ্টে লিখেছেন “লোকে বলে আমি নাকি সেলিব্রেটি!” আমারও তাই মনে হয়।
আমার বাবা’র কিনে রাখা একটু ঘর সহ যায়গা আছে, ডাকাতীয়ার পাড়ে। চাঁদপুরের একটা উপশহরের মত যায়গায়। গত ২০/২৫ বছর ধরে কেউ থাকেনা ওখানে। একটা ব্যাঙ্ক ছিল নিচ তলায় – তাও এখন নেই আর। ভাবছিলাম একটা লাইব্রেরি, দাতব্য চিকিৎসালয়, আর বাচ্ছাদের জন্যে “মাটির কাচাকাছি” একটা স্কুল করবো।এবং সব কটা প্রতিষ্ঠানই যেন – নিজের উপার্জনে নিজে চলতে পারে। সব কিছুর জন্যেই প্রজেক্ট মডেল খুজছি। প্রিয় ড: আবেদ ভাইয়ের কাছে – লাইব্রেরির একটা মডেল পেয়েছি। বাচ্ছাদের স্কুলে জন্যে আমিনা বু’কে ফেইজবুকের মেসেন্জারে টোকা দিলাম। উনি বিস্তারিত জানতে চাইলেন। বল্লাম – উনার প্রজেক্টাই আমার পছন্দ এবং আমার গ্রামে ওনার স্কুলের একটা শাখা খুলতে চাই। সাহায্য চাই – উনি কি ভাবে সাহায্য করতে পারেন।
উত্তর আসে না, আসে না – শেষে উত্তর পেলাম। আসলে ওনারা কিছু মেনে চলেন না। রূপরেখা – লিখিত কিছুই নেই। মানে দেয়ার মত কিছুই নেই – যা আছে সবই মাথা্য়। শাখা খোলার জন্যে – প্রকৃত পক্ষে উনার কিছুই করার নাই!
ভাবনায় পড়ে গেলাম – এই “মাথা” থেকে নামাব কি করে?
আমরা আসলেই কোন কিছু পরিকল্পনা করে করি না। কিছু করে ফেলি, হয়ে যায়, চলতে থাকে। তার পর স্রষ্টা শেষ হয়ে গেলে সৃষ্টিও শেষ হয়ে যায়। মাথা ঘামাই না, ঘামাতে চাই ও না। ব্যাক্তি থেকে রাষ্ট্র – কেও বাদ নাই। সবাই আমরা – একই নৌকার যাত্রী। আমি, আমার বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ হয়েছে (বাংলাদেশে) – যাদের কোন ধরনের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নাই। এর জন্যে কোন মাথা ব্যাথাও নাই।
আমিনা বু’কে ছোট করছি না। আসলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হাটাই ছোট। আমাদেরকে ছোট হতে শেখায় – স্কুল জীবনেই। পরিকল্পনা করে কাজ করতে হয় – এমন ধারনার কেউ ধারই ধারে না। অথচ অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের বাচ্ছারা কত ধরনের প্রজেক্ট করে প্রাইমারীতে থাকা কালিনই। একক পরিকল্পনা, দলীয় পরিকল্পনা এবং কি ভাবে প্রয়োগ করতে হয়, সবই শিখানো হয় ছোট ছোট বাচ্চাদের।
আর কত দিন, আমরা ছোট ছোট ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে – নিজেরাই নতুন ছোট ছোট ইতিহাস হব? আর কাউকে কোন বড় ইতিহাসের অংশ হতে দিব না। যা কিনা হতে পারে, হতে পারত – কয়েক শতকের ইতিহাস। আর আমি, আমরা সেই ইতিহাসের স্রষ্ঠা।
[“প্রিয় মানুষের শহর” সব গুলোই কাহিনী। চরিত্রগুলোও কাল্পনিক। সত্য মিথ্যা জানতে চেয়ে বিব্রত করবেন না। গল্প – গল্পই। কারো সাথে মিলে যাবার কোন সম্ভবনা নেই। কাকতালীয় হবার সম্ভবনাও ক্ষীন।]
Related Articles
অনেকের ভীড়ে একজন
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রিক্সায় যেতে যেতে হঠাৎ পাশে থাকা বন্ধু চিৎকার করে উঠলো, হুয়াক্কা হুয়া! সব দাঁত বের করে, দাঁড়িয়ে উঠে,
গ্রামের বাড়িতে একদিন
সিডনিতে আসা প্রায় তিন বছর পার হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একবারও দেশে যাওয়া হয় নাই বিভিন্ন কারণে। কিন্তু মনের মধ্যে
Please don’t take the government ‘hostage’
Every sensible person in the country was visibly horrified by the last week’s senseless and brutal massacre at the headquarters
I like these short write-up which prove that dealings only reveal the different side of human character. Thanks Shahadat Manik keep writing.