কানাডার ইতিহাস মিউজিয়ামে একুশে ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সম্ভার
এডমন্টন, আলবার্টা (কানাডা): বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব আলবার্টা ও বাংলাদেশ হেরিটেজ অ্যান্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টা এর সভাপতি দেলোয়ার জাহিদ কানাডার ইমিগ্রেশন ইতিহাস মিউজিয়াম পিয়ার ২১ এর ইতিহাসবিদ এমিলি বার্টনকে তার ছেলেবেলা, যৌবন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন, শিক্ষা, স্বেচ্ছামূলক কাজ, অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতার ঝঞ্জা বিক্ষোব্ধ জীবনের দীর্ঘ ইতিহাস বর্ননা করেন। তিনি জার্মান ও স্পেনে তার শিক্ষা, সাংবাদিকতা ও অভিজ্ঞতার বর্ননা দেন এবং কানাডার মানিটোবায় প্রবাসীদের নিয়ে তার কাজ ও গবেষনার উল্লেখপূর্বক মাতৃভাষা শিক্ষায় এ প্রজন্মের শিশুকিশোরদের নিরন্তর সংগ্রামের বিষয়গুলোকেও তুলে ধরেন।
২১শে ফেব্রুয়ারী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে নিজ নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার উপর সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বাংলাদেশ হেরিটেজ অ্যান্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টার একুশে স্মরণিকা ২০১৪ এবং এডমন্টন বিচিত্রা ২০১৪ সংখ্যা তাকে প্রদান করেন। দুটো প্রকাশিত ম্যাগাজিনেই বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে নিয়ে কানাডার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ষ্টিফেন হারপার, প্রাদেশিক সরকারের স্পীকার, মন্ত্রী মহোদয়, আইনপ্রনেতা, সিটি মেয়র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সহ অনেকেই তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করে বাণী প্রদান করেছেন।
কানাডার ইমিগ্রেশন ইতিহাস মিউজিয়ামেরভ জন্য ধারণকৃত এ ভিডিও সাক্ষাতকারটিতে স্থান পাওয়া ভাষাদিবস ও মুক্তিযুদ্ধের কথাগুলো সবিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা যায়। এডমন্টনের সিটিডেল থিয়েটার হলে ২৪শে নভেম্বর বিকেলে এ সাক্ষাতকারটি ধারন করা হয়।
কানাডা সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সরকারী ছুটি ও তা প্রতিটি প্রদেশে যথাযথ পালনের জন্য ঘোষনা দেয়া; আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কানাডায় স্বীকৃতি দিতে বেসরকারি সদস্যের বিল সি-৫৭৩ এতে রাজ সম্মতির ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি এবং বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর গুরুত্বকে তুলে ধরতে বিদেশে দূতাবাস গুলোর মাধ্যমে দৃশ্যমান কিছু কুটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন প্রেসক্লাব সভাপতি।
আরো তথ্য জানতে দয়া করে যোগাযোগ করুনঃ বিপিসিএ ফোনঃ (৭৮০) ২০০-৩৫৯২