লড়াই করে হারল বাংলাদেশ
২০৫ রানের বড় লক্ষ্য। তাতে আবার প্রথম ১০ বলেই নেই তিন উইকেট। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের সমীকরণটা জটিল হয়ে গিয়েছিল শুরুতেই। কিন্তু তারপরও ম্যাচটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের লড়াকু মনোভাবের জন্য। ১৫ রানে হেরে গেলেও শেষপর্যন্ত বেশ ভালোই লড়াই চালিয়েছে মুশফিক বাহিনী। ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা জিতে কিছুটা সান্তনা পেয়েছে নিউজিল্যান্ডও।
প্রথম ১০ বলের মধ্যেই শামসুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও মমিনুল হক সাজঘরে ফেরার পর কিছুটা চাপের মুখেই পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই করে গেছেন মুশফিক, নাঈম, নাসির, মাহমুদুল্রাহরা। চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন মুশফিক ও নাঈম। পঞ্চম ওভারে নাঈম আউট হলে মুশফিক জুটি গড়েন নাসিরের সঙ্গে। পঞ্চম উইকেটের এই জুটি থেকে এসেছে ৫৪ রান। এসময় জয়ের আশা বেশ ভালোমতোই জেগেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু টানা দুই ওভারে এই দুজনকেই হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সপ্তম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে আবারও কিউই বোলারদের উপর চড়াও হয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ ও সোহাগ গাজী। এই দুইজন শেষপর্যন্ত থাকতে পারলে হয়তো কাঙ্ক্ষিত জয়টা পেয়েও যেতে পারত বাংলাদেশ। ১৮তম ওভারে সোহাগ আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৭৭ রান। শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। কিন্তু পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে মাহমুদুল্লাহকেও আউট করে নিউজিল্যান্ডের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেন কোরে অ্যান্ডারসন।
একমাত্র আব্দুর রাজ্জাক ছাড়া আজ বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানই অন্তত একটি করে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। শুরুর তিন ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও মমিনুল হক অবশ্য সাজঘরে ফিরেছিলেন একটা করে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই। শামসুর শুরু করেছিলেন প্রথম বলেই চার মেরে। কিন্তু মিরপুরের উল্লাসিত দর্শককে ঠিক পরের বলেই স্তব্ধ করে দেন টিম সাউদি। একই রকম পরিণতি আরেক ওপেনার জিয়াউর রহমানেরও। ঐ ওভারেই প্রথমে একটি ছয় মেরে পরের বলেই ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। পরের ওভারে মমিনুলও একই রকমভাবে একটি ছয় মেরে আউট হয়েছেন মিচেল ম্যাকক্লেগানের বলে। নাঈম ইসলাম অবশ্য আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১০টি বল। তিনটি চার ও একটি ছয় মেরে আউট হয়েছেন ১৮ রান করে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক করেছেন অধিনায়ক মুশফিক। শেষপর্যায়ে মাহমুদুল্রাহ ৩৪ ও সোহাগ ২৪ রান করেছেন। নাসিরের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ইনিংসের নতুন রেকর্ড গড়েছে নিউজিল্যান্ড। অ্যানটন ডেভচিচ ও কলিন মুনরোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কিউই স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছে ২০৪ রান। ডেভচিচ করেছেন ৩১ বলে ৫৯ রান। ৩৯ বলে ৭৩ রান করে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মানরো।