Mujahidul Islam Selim
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আপনাদের এই বস্তা পচা বানী আর কত শুনব?
আমার মন্তব্য আজকের ইত্তেফাকে (২৩ এপ্রিল) মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের লেখা সম্পাদকীয়
“শুধু রেল নয়, গোটা সমাজ আজ দুর্নীতিতে ডুবতে বসেছে“ এর প্রতিক্রিয়ায় লেখা।
সেলিম সাহেব হতাশ করলেন। না হতাশ করলেন বলা ঠিক হবে না, আপনাদের মত নপুংসক ধামাধরা বাম্পন্থীদের কাছ থেকে এর বেশী কিই বা আশা করার থাকতে পারে।
সুরঞ্জিত বাবুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সর্বগ্রাসি দুর্নিতির চিত্রটা ভালোই তুলে ধরেছিলেন। তারপর এর কারন অনুসন্ধান করতে যেয়ে আপনাদের গতানুগতিক ধামাধরা মন্ত্র কপচিয়ে সব গুবলেট করে ফেললেন। সেই আই এম এফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক টেনে, বালসুলভ সরল অঙ্ক সহ পুজিবাদের এক গোজামিল ব্যাখ্যা দিয়ে সব দোষের মূলে তারা – প্রকারন্ত্রে এ যেন বাংলদেশের রাষ্ট্রব্যাবস্থা, রাষ্ট্রিয় প্রথিষ্ঠান আর রাজনিতিবিকদের সূক্ষ্ম সাফাই গাওয়া – তাদের কি দোষ।
নাকি এ এক বৃদ্ধ উটের বালিঝড়ে পরে বালিতে মুখ গুজে মন্ত্র পড়া, যেন মন্ত্রেই সব ঝড় কেটে যাবে।
আমি আই এম এফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক বা পুজিবাদের কোন ভক্ত না। কিন্তু আপনার পুজিবাদ আর পুজিগঠনের এই বালসুলভ বক্তব্য, বিশ্লেষন আর সরল হিসাব দেখে বিস্মিত। আপনারা কি ৭০ সালের পর থেকে লেখাপড়া, পর্যবেক্ষন, রিফ্লেকশন সব বাদ দিয়ে – শুধুই বালিতে মুখ গুজে পুরোনো মন্ত্রই যপে যাচ্ছেন পূজাড়ী বিলিভারের মত?
কি হাস্যকর আপনার লাখোপতি থেকে কোটিপতি পুজিগঠনের বালসুলভ সরল হিসাবঃ “স্বাভাবিক ব্যবসা –বাণিজ্য দিয়ে (মুনাফার হার যদি ২৫ % ধরি ) একজন লাখপতিকে কোটিপতি হতে ২০/২৫ বছর সময় লাগবে।” আপনাকে জিজ্ঞেস করি – বিল গেটস আর স্টিভ জব কত বছরে শুন্য থেকে বিলিওনেয়ার হয়েছিলেন? তারা কি দুর্নিতির ফসল? নাকি তারা উদ্দভাবনি, পুজি আকৃষ্ট করার ক্ষমতা দক্ষ ব্যাবসা প্রশাসন আর চক্রবৃদ্ধি প্রবৃদ্ধির ফসল। এমন উদ্দভাবনি আর দক্ষতার ফসল বাংলাদেশেও আছে, শত প্রতিকুলতা আর দুর্নিতির মাঝেও।
পুজিবাদের অনেক দোষ আছে, আই এম এফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক পশ্চিমা পুজিবাদের কায়েমি আধিপত্ত ধরে রাখার জন্যই তৈরি হয়েছিল এবং তার স্বার্থেই কাজ করে। কিন্তু, না জেনে, না বুঝে, পুজিবাদের এইরকম বালসুলভ ঢালাও সমালচোনা শুধু আপনাদের মত ভাববিলাসি বিপ্লবিদের অসারতাই প্রমান করে না, পশ্চিমা আধিপত্যবাদি পুজিবাদের হাতকেই শক্তিশালি করে।
বালি থেকে মুখ তুলে আপনাদের মক্কা চিন ভিয়েতনামের দিকে তাকিয়ে দেখুন না – কি ভাবে পুজিবাদের কাছে রাষ্ট্র ক্ষমতা সারেন্ডার না করেও, পুজিবাদকে ব্যাবহার করছে সাধারনের উদ্ভাবনি উদ্যোগি শক্তিকে অশৃঙ্খলিত করে তাদের ভাগ্য ফেরাতে – মিলয়ন মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্রমুক্ত করতে।
আর আপনারা সেই বস্তাপচা মন্ত্র জপেই যাচ্ছেন – আপনার প্রবন্ধের শেষ অর্ধেকই সেই অর্থহিন মন্ত্রের ফুলঝুড়ি। ফলাফল শুন্য – আদ্যাবধি এই স্বাধীন বাংলাদেশের নিজেদের জোরে একটা সন্সদ আসনো জিততে পারেন নি – তবুও নির্লজ্জের মত সেই বস্তাপচা মন্ত্র জপেই যাচ্ছেন কি আশায়, কি দুরাশায়।
নির্বোধ, ২৩ এপ্রিল ২০১২