Bangladesh Ambassador in Japan

Bangladesh Ambassador in Japan

জাপানে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার

জাপানে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। জানা যায় ইতিপূর্বে ভুটানে নিযুক্ত এই রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি মনোনয়নে জাপানে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন এক বছর আগে। তার আগে জাপানে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত ছিলেন, বিএনপি ঘরাণার আশরাফ উদ দৌলা যিনি সীমাহীন দুর্নীতি করে গেছেন। রাষ্ট্রদূতের চেয়ারে বসে আশরাফ উদ দৌলার কাজ ছিল ব্যক্তিগত এনজিওর নামে চাঁদাবাজি করা।জাপানে থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে বিদায় নেন তিনি। যাবার আগে তার ছেলেকে অবশ্য জাপানে বিয়ে দিয়ে গেছেন। তার ছেলে আগে অষ্ট্রেলিয়াতেএক প্রবাসীর মেয়েকে বিয়ে করেছিল। তবে আশরাফ উদ দৌলা রাষ্ট্রদূতের চেয়ারের ক্ষমতায় অষ্ট্রেলিয়াতে থেকে ছাড়িয়ে এনে, এক বিত্তশালী জাপানী পরিবারে ছেলেকে আবারও বিয়ে দিয়ে যান। এ ছাড়া উইকএন্ডে তিনি চলে যেতেন হাকোনে নামক এক বিনোদন কেন্দ্রে নারী বিলাসে। সে সময় তার এই কাজে সহায়তা করতো, তার জাপানী প্রাইভেট সেক্রেটারি ইয়োশিদা ও দূতাবাসের হিসাব রক্ষক হাসান। এ সব খবর অনেকে জানলেও বিএনপি পন্থী একটি বিশেষ সাংবাদিক মহল সব সময় তার ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতেন ও অন্ধকার দিকগুলি সযত্নে গোপন রেখে দিতেন।

রাষ্ট্রদূতের জাপানী প্রাইভেট সেক্রেটারি ইয়োশিদার চাকুরীর বয়স সীমা পার হয়ে গেছে অনেক আগেই। এই জাপানী মহিলা প্রবাসীদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন, তবে তা আগের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হলেও তিনি কখনো কোন ব্যবস্থা নেন নি। হিসাব রক্ষক হাসানের কাজ ছিল বিগত রাষ্ট্রদূত আশরাফ উদ দৌলার সব হিসাবের গোজামিল কাগজে কলমে ঠিক রাখা। জানা যায়, এ সব করে তিনি একটি বিশাল অঙ্কের অর্থ নিজেও পকেটে পুরেছেন। এভাবে দূতাবাসে সামান্য হিসাব রক্ষকের কাজ করেও হাসান বর্তমানে ঢাকা শহরে স্বনামে-বেনামে ছয়টি বাড়ীর মালিক।

বর্তমান রাষ্ট্রদূত মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া নিযুক্ত হবার পরপরই, দূতাবাসের অনিয়ম দূর করার জন্য সচেষ্ট হয়ে ওঠেন। তিনি ইয়োশিদাকে চাকুরীর বয়স সীমা পেরিয়ে যাবার জন্য বাদ দিয়ে নতুন সেক্রেটারি হিসাবে নিয়োগ দেন তাকাহাসিকে। অপর দিকে হাসানকেও বিগত দিনের সব হিসাবের গরমিলের জন্য জবাব দিহি করেন। বিগত রাষ্ট্রদূত আশরাফ উদ দৌলা স্থানীয় বিশেষ সাংবাদিক মহলকে বাসায় ডেকে এনে ভুরিভোজ করাতেন। মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া সেই প্রথা বাদ দিয়ে দেন।

এতে অসন্তুষ্ট হয় হয় বিএনপি পন্থী সেই বিশেষ সাংবাদিক মহল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি মনোনয়নে জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের নামে কুৎসা রটাতে শুরু করে তারা। ফুসলিয়ে দেয় ইয়োশিদা ও হাসানকে। সাথে যুক্ত হয় নবনিযুক্ত প্রাইভেট সেক্রেটারি তাকাহাসি। দূতাবাস ভবন থেকেই রাষ্ট্রদূতের নামে কুৎসা রটিয়ে চিঠি ও ফ্যাক্স পাঠায় প্রবাসীদের কাছে। এখন বিভিন্ন মিডিয়াতে চলছে অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার। জাপান প্রবাসী আওয়ামী পন্থীরা দুর্বল বিধায় তারা কিছু করতে পারছে না। এ ভাবেই জাপানে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতের ইসুটি নিয়ে বর্তমান আওয়ামী সরকারকে বিব্রত করার এক নীল নক্সা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

News provided by S M Amzad

2011/pdf/95823_bangladesh__522143390.pdf ( B) 


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment