Article on Naimul Islam Khan
নাঈমুল ইসলাম খান : যিনি নিজ পেশায় স্বকীয়
চলামান জীবনে সংবাদপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। সংবাদপ্ত্র পৃথিবীকে মানুষের মুঠোর মধ্যে নিয়ে এসেছে। যদিও এখন রেডিও টেলিভিশন,ইন্টারনেট মিডিয়া পৃথিবীকে নিয়ে গিয়েছে আরো কাছে। তারপরও সংবাদপ্ত্র এমন একটি দলিল যা যুগ যুগ ধরে সংরক্ষন করে রাখা যায়। বাংলাদেশের সংবাদপ্ত্রের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা ছিল। তার মধ্যে ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, দৈনিক খবর, দৈনিক অব জারভার উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের মতো ঘন বসতিপূর্ন দেশে হাতে গোনা কয়েকটি সংবাদপ্ত্র কখনোই যথেষ্ট ছিলো না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার ছিল ; তা হলো নির্ভরযোগ্য সংবাদ পরিবেশনার অভাব। সঠিক সংবাদের জন্য আমাদেরকে বেশীরভাগ সময় বিদেশী মিডিয়ার উপর নির্ভর করতে হতো। তখন বিদেশী মিডিয়া বলতে আমি বিবিসি, ভয়েজ অফ আমেরিকাকে বুঝাতে চাচ্ছি।
আজ স্বাধীনতার ৪০বছরেও আমাদের সংবাদপ্ত্র মিডিয়া বেশীদূর এগুতে পারেনি। দেশের জনসংখ্যা যে হারে বেড়েছে, সে হারে হয়নি সংবাদপত্রের প্রসার। এসময়টাতে দেশে টেলে জারনালিজমের উত্থান হয়েছে। দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি বেসরকারি টিভি চ্যানেল। কিন্তু সংবাদপ্ত্র মিডিয়া এগুতে পারেনি তেমন ভাবে। এর অন্যতম কারন, এ মাধ্যমে প্রতিভাবান কেউ এগিয়া আসেনি, পাওয়া যায়নি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা।
সংবাদপ্ত্র জগতের সেই ক্লান্তি লগ্নে, এক প্রতিভাবানের আবির্ভাব ঘটেছিলো সংবাদপ্ত্র জগতে। তিনি হলেন নাঈমুল ইসলাম খান। জনাব নাঈমুল ইসলাম খান বাংলাদেশে আধুনিক জ্যারনালিজমের কর্নধার। তিনি বহুল প্রচারিত দৈনিক আমাদের সময় এর প্রকাশক ও সম্পাদক। দৈনিক আমাদের সময়ের প্রকাশকাল ২০০৭। তিনিই এদেশের একমাত্র প্রকাশক যিনি সর্বস্ত্ররের পাঠকদের ক্রয় ক্ষমতার কথা বিবেচনায় রেখে সংবাদপত্রের মুল্য নির্ধারন করেছেন। তার প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সময়ের ক্রয়মুল্য মাত্র তিন টাকা। যেখানে প্রতিটি জিনিষের মতো সংবাদপ্ত্র সংশ্লিষ্ঠ দ্রব্যের দাম কয়েকগুন বেড়ে গেছে। সেই সাথে অন্যান্য প্রতিটি দৈনিকের ক্রয়মুল্যো বেড়ে গেছে কয়েকগুন। সে অবস্থায় এত অল্প মুল্যে পাঠকদের হাতে পত্রিকা পৌছে দেয়া তার দুসাহসিক এক সিদ্ধান্ত।
জনাব নাঈমূল ইসলাম খান সংবাদপ্ত্র জগতে একজন সার্থক ব্যক্তি। সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে সাপ্তাহিক খবরের কাগজ পত্রিকার মাধ্যমে এজগতে আত্বপ্রকাশ ঘটে। ম্যাগাজিনটি সে সময়ে বেশ পাঠক প্রিয়তা লাভ করে। ১৯৮২ সালে কিছু সময়ের জন্য মাসিক সময় ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন। ২০০২ সালে তিনি আজকের কাগজের এ্যাডভাইজারি সম্পাদক হিসাবে যোগদান করেন। সর্বশেষ ২০০৭ সালে দৈনিক আমাদের সময় সম্পাদনা করেন। দৈনিকটির প্রকাশনার দায়িত্বে তিনি নিজেই। নিরপেক্ষ, সঠিক ও দ্রুত সংবাদ পরিবেশনার জন্য খুব অল্প সময়ে পত্রিকাটি ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা লাভ করে। পাঠক জ়নপ্রিয়তার দিক দিয়ে আমাদের সময় দ্বিতীয় স্থানে।
একজ়ন দক্ষ ও বিচক্ষন সাংবাদিক তার দেশ ও জাতিকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারেন।দেশ ও জাতিরও উচিত এদের সঠিক মূল্যায়ন করা । নাঈমুল ঈসলাম খান আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি প্রতীক।
0701 /2011
ওয়াসিম খান পলাশ প্যারিস থেকে
Editor.aktibangladesh@yahoo.com