Dr Yunus, Gramin Bank other issues

Dr Yunus, Gramin Bank  other issues

নোবেল লরিয়েট অধ্যাপক ইউনুস,

গ্রামীন ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ

ভূমিকাঃ

নোবেল লরিয়েট অধ্যাপক ইউনুসকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই । যে মানুষটিকে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের গর্ব করার কথা, যে সব আলোচনা চলছে তাতে গর্ব শেষ পর্য্যন্ত কি সে পরিনত হবে বোঝা যাচ্ছে না । অধ্যাপক ইউনুসকে নিয়ে দেশে বিদেশে বিজ্ঞ ব্যক্তিদের যে সব প্রবন্ধাদি প্রকাশিত হয় তাতে তত্ব কথা এতো বেশী থাকে যে অনেক সাধারন মানুষ মূল বিষয়টি ধরতে পারে না । আজও অনেক সাধারন মানুষ এ নিয়ে দ্বিধায় আছেন । এই লেখাটি মুলতঃ তাদের বুঝার জন্য সহজ করে লেখা।

বিনা বন্ধকীতে ঋন দেয়াঃ

ব্যাঙ্কের কাজ সুদের বিনিময়ে মানুষের সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখা । এই টাকা উচ্চতর হারে ব্যবসায়ীদের ঋন দিয়ে ব্যাংক লাভ করে থাকে । এই হচ্ছে ব্যাঙ্কের অর্থনৈতিক কাজের মূল কথা। নিরাপত্তার খাতিরে ব্যাঙ্ক বিনা বন্ধকীতে ঋন দেয় না, আর যুক্তিসঙ্গত কারনে গরীব এবং অসৎ ব্যাক্তিকে ঋন দেয়ার কথা চিন্তায়ও আনে না। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশের অধ্যাপক ইউনুস দাবী করলেন, তিনি একেবারে গরীব, এমন কি ভুমিহীনদের বিনা বন্ধকীতে ঋন দিয়ে শতকরা ১০০% ভাগ টাকা উসুলের এক পন্থা উদ্ভাবন করেছেন । দেশে এ বিষয়ে তেমন প্রচারনা না চালিয়ে তিনি বিদেশীদের দেখালেন, এই ঋন পেয়ে কিভাবে বাংলাদেশের গরীব মানুষ উপকৃত হয়েছে । গরীবকে দয়া দেখানো কিছু কিছু ধনীদের চমৎকার বিনোদন । অতএব, অধ্যাপক ইউনুস বিদেশী সাহায্য পেলেন এবং কাজ চালিয়ে যেতে থাকলেন। বাংলা দেশের মানুষকে সাধারন ভাবে অসৎ বলা যায়, যদিও ১০০০ মানুষের একটি গ্রামে ৫০ জন সৎ মানুষ সব সময়েই পাওয়া যাবে । প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের ব্যাপারে ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার উদাহরন সবারই জানা । এমন দেশে অধ্যাপক ইউনুস কি ভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন ? এটা সাধারন লোকের ভাবনা হলেও বিজ্ঞজনেরা তখনই বুঝতে পেরেছিলেন, ঘাপলা কোথাও একটা আছেই । অনেকে আবার একজন বাংলাদেশীর সন্মানের স্বার্থে সব বুঝেও চুপ করে ছিলেন । আজ এতদিন পরে মূল বিষয়টি পরিষ্কার হচ্ছে । তবে, আমরা এই ভেবে শান্ত্বনা পেতে পারি যে বাংলাদেশীরা নানা কথা বললেও এই গুমর ফাঁকের কাজটি তারা করে নি । বরং করেছে সে সব বিদেশীরা যারা অধ্যাপক ইউনুসের অদ্ভুত তত্ব-কথা বিশ্বাস করেছিল । সঙ্গে ইন্ধনের কাজ করেছে কিছু সাংবাদিকের অনুসন্ধান প্রবনতা, যা এখন পুরোদমে চলছে বলেই মনে হচ্ছে।

অধ্যাপক ইউনুসের অদ্ভুত তত্ব-কথা

অধ্যাপক ইউনুসের অদ্ভুত তত্ব-কথাটি হচ্ছে, আমাদের দেশের বিদ্যমান স্তরের সততার গরীব মানুষকে বিনা বন্ধকীতে ঋন দেয়ার পরও ১০০% ঋন ফেরত পাওয়া যায় । আসলে অধ্যাপক ইউনুস এটি করেছেন বলে বিদেশীদের কাছে প্রমান পত্র দেখিয়েছেন । অবশ্যই তিনি তা করেছেন, তবে যে পদ্ধতিতে তা করেছেন তা ছিল ধোঁকাবাজী, আজকের যুগে যাকে ডিপ্লোমেটিক ভাষায় বলা হয় স্টেজ ম্যানেজড । অধ্যাপক ইউনুসের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ হচ্ছে, (ক) ঋন পরিশোধের এমন চমৎকার উদাহরন থাকা সত্বেও তিনি এই কার্য্যক্রম দেশে কেন আরও বাড়াচ্ছেন না, যেখানে বাংলা দেশে গরীবের কোন অভাব নেই, এবং (খ) ঋন পরিশোধের জন্য কেন মাঝে মাঝে ঋন গ্রহিতার উপর অত্যাচার করা হয় ।

যে পদ্ধতিতে অধ্যাপক ইউনুস তার কার্য্যক্রম চালান, তাতে আসলে সুদ-আসলের টাকার তার কোন প্রয়োজন নেই, বরং তিনি ঋন গ্রহিতাদেরকে তার কয়েক গুন টাকা দেবার ক্ষমতা রাখেন । তবুও তাকে এসব করতে হয় তার ব্যবসার মূল পূঁজি ধরে রাখার জন্য। যাদু দেখাবার অভ্যাস যাদের আছে তারা জানেন, ম্যাজিক ওয়ান্ডএর আসলে কোন ক্ষমতা থাকে না । কিন্তু এটি না রাখা হলে অনেক দর্শক যাদুকরের কেরামতি ধরে ফেলত । আসলে ঋন গ্রহিতার সংখ্যা না বাড়ানো এবং মাঝে মাঝে ঋন পরিশোধের জন্য অত্যাচারও হচ্ছে অধ্যাপক ইউনুসের কার্য্যক্রমের পক্ষে ম্যাজিক ওয়ান্ড

শতকরা ১০০ ভাগ ঋন পরিশোধ নিশ্চিত করার প্রয়োজনে অধ্যাপক ইউনুস যে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন তা হলো ঃ (০১) প্রচুর অর্থব্যয়ে অতি স্বল্প সংখ্যক সৎ লোক খুজে বের করা এবং (০২) ঋন শোধ করার জন্য গোষ্ঠির সমষ্টিগত চাপ প্রয়োগ করা । (০১) তার প্রতিষ্ঠানের উচ্চ বেতনভূক লোক দীর্ঘকাল ধরে গ্রামে পর্য্যবেক্ষন করে বের করে, কারা সৎ, কাদের মুরুব্বির জোর নেই, কারা দেশ ত্যাগ করে চলে যেতে পারবে না ইত্যাদি । বাংলাদেশে এ ধরনের লোকের সংখ্যা কম, এটিই হচ্ছে তার ঋন গ্রহিতার সংখ্যা না বাড়ানোর কারন । (০২) ঋন গ্রহনের জন্য বেশ কয়েকজন মিলে গোষ্ঠী তৈরী করতে হয় এবং কিছুদিন নির্দিষ্ট হারে টাকা জমাতে হয় । তার পর সবার পছন্দনীয় একজনকে ঋন দেয়া হয় । ইনি ভাল কাজ দেখালে তবে পরের জন ঋন পাবে । আসলে ঠিক এই কারনে, প্রথম লোকটির ঋন সময়মত পরিশোধের উপর গোষ্ঠীর সবাই কঠোর দৃষ্টি রাখে। আর সে সক্ষম না হলে দলের অন্য লোক সময়মতো তার ঋনের টাকা পরিশোধ করে । এই দুটিই হচ্ছে অধ্যাপক ইউনুসের ১০০% ঋন পরিশোধের মূল কথা ।

এবারে আমরা এই ব্যাবসায়ের লাভ লোকসানটা একটু দেখতে চাই । সাধারন দেয়া ও নেয়া সুদের হারের ব্যবধানের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক যে লাভ করে তা দিয়ে তারা সকল ব্যয় নির্বাহ করে । অথচ গ্রামীন ব্যাঙ্ক সুদের মাধ্যমে যা পায়, তা দিয়ে তার কোন খরচই নির্বাহ হয় না । খরচটা আসে, এই নাটকটি দেখিয়ে বিদেশ থাকে পাওয়া টাকার সুদ থেকে।

দেখা যাচ্ছে, অফিস, কর্মচারী ইত্যাদি নিয়ে ঋনদানের কাজটি করে গ্রামীন ব্যাঙ্ক যে টাকা আয় করে তা দিয়ে তার খরচ পোষায় না । কোন কাজে লাভ না হলে তাকে অর্থনৈতিক কাজ বলা হয় না । এইটিই হচ্ছে সেই মহামূল্যবান কারন, যার জন্য অধ্যাপক ইউনুসের নাম বেশ কয়েক বার অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য পাঠালেও তা দেয়া হয় নি।

সাধারন ভাবে এটি অর্থনৈতিক কাজ না হলেও অধ্যাপক ইউনুসের জন্য এটি খুবই লাভজনক একটি কাজ । এখানে নাটক করার জন্য তার বেশ কিছু টাকা খরচ হয়, কিন্তু তার কয়েক হাজার গুন তিনি পেয়ে যান বিদেশীদের প্রশংসা মিশ্রিত করুনার দান থেকে। আর এই আয় থেকেই তিনি গড়ে তুলেছেন অনেক গুলি বড় বড় কোম্পানী । আসলে এই পরিপ্রেক্ষিতে সন্তর্পনে ঋনদান কর্মসূচীটি বন্ধ করে দিলেই হতো তার জন্য মঙ্গল । এক ফান্ড থেকে অন্যত্র টাকা সরানোর কারনে সবার দৃষ্টি সেদিকে পড়েছে, এখন সাংবাদিকের অনুসন্ধানে সবই হয়তো বেড়িয়ে আসবে । ঐ ফান্ড থেকে টাকার খোঁজ পড়ার পরে এখন তিনি টাকা ফেরত দিয়েছেন । এতেই বোঝা যায় কাজটা অন্যায় ছিল । এখন টাকা ফেরত দিলেও তিনি যে অন্যায় বা ভুল করেছিলেন তা নিজেই প্রমান করে দিলেন। মূল টাকা ফেরত দিলেও এই টাকায় ঐ সময় যে কাজ করার কমিটমেন্ট ছিল তা কি আর করা সম্ভব হবে ?

এখন আমরা ক্ষুদ্র ঋনের অবদান সম্বন্ধে কিছু বলতে চাই । সাধারন মানুষ ও সরকারের সহানুভুতি এবং শক্তিশালী বিদেশী লবীর সমর্থন থাকায় অধ্যাপক ইউনুস এদেশে তার কাজে অনেক সহায়তা, এমন কি অনেক সময় অন্যায্য সহায়তাও পেয়েছেন । কিন্তু এদেশে তার এই কাজের অবদানটা কি ? তিনি প্রচুর মানুষকে চাকুরী দিয়েছেন । কিন্তু তাদের এতো পরিশ্রম, কষ্ট এবং বিদেশীদের এতো টাকা কি সম্পদ সৃষ্টি করেছে ? অতি সামান্য সঙ্খ্যক মানুষ ঋন নিয়ে গরু কিনেছে । ধরা যাক, ৫ হাজার টাকার গরু ৩ বছরে ৮ হাজার দামের বা, ১ মন ওজনের গরু ২ মন অজনের হয়েছে, কিছু গাছ, মাছ বেড়েছে । এর পরিমান কত, আর তিনি যে তার প্রকান্ড প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষকে খাটিয়ে লক্ষ কোটি টাকা খরচ করলেন, তার পরিমান কত ?

আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী এমন বহু প্রতিষ্ঠান দেশে আছে । বৃহত্তর স্বার্থে পরিচালিত সরকারী প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয় বিবেচনায় আনা হয় না । বাংলাদেশের এন-জি-ও গুলির আয় ব্যায়ের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য । কিন্তু অধ্যাপক ইউনুসের গ্রামীন ব্যাঙ্ক তো (স্পেসিয়ালিজড) ব্যাঙ্ক হিসেবে রেজিষ্ট্রিকৃত ।

ধরে নেয়া যাক, তিনি বিদেশের দেয়া টাকা খরচ করেছেন, আমাদের লোক চাকরী পাচ্ছে, বেতন পাচ্ছে, তাই আমাদের অসুবিধাটা কি ? মেনে নিলাম, কিন্তু এতো বিপুল টাকা খরচ করে দেশ কি লাভ করছে ? এত টাকা খরচের খেলার মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনুস অনেকগুলি কোম্পানী খোলার সুযোগ পেলেন, কিন্তু এত টাকার বিনিময়ে দেশ কে কি সম্পদ দিল ? গ্রামীন ব্যাঙ্কএর আয় ব্যয়ের হিসাব নিলে এক অদ্ভুত ব্যাপার দেখা যেতে পারে । হয়ত দেখা যাবে, মোট ব্যয়ের ৯০% খরচ হয় কর্মচারীদের বেতন ভাতা, অফিস ইত্যাদি খাতে, আর ১০% ক্ষুদ্র ঋন প্রদানে । আবার আয়ের ক্ষেত্রে দেখা যাবে, ক্ষুদ্র ঋন বাবদ ব্যায়িত টাকার ২৯% আয় (যেহেতু সুদের হার প্রায় ২৯% এবং সবটাই আদায় হয়), যা কিনা মোট ব্যয়ের (দশমিক) ০.০২৯%। এই হিসাবটি কিন্তু শুধুমাত্র গ্রামীন ব্যাঙ্কএর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অধ্যাপক ইউনুসের অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় । আসলে এত বিপুল অর্থ খরচ করে এত কম উৎপাদনের দ্বিতীয় কোন উদাহরন পৃথিবীতে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ । কোন বিবেকবান মানুষ কি কারও ভুল পরিকল্পনায় অথবা অন্য কোন স্বার্থে এমন কাজ সমর্থন করতে পারে ? এতদিন বিষয়টি অনেকের চোখের আড়ালে ছিল, এখন বিদেশীরাই এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়েছে ।

টেলিনর ও নোবেল পুরস্কার ঃ

কয়েকটি আর সি সি খুঁটি, কিছু টিন আর নগদ টাকা দিয়ে তৈরী বাংলাদেশে অসফল গ্রামীন হাউজিং প্রকল্প-এর আগা খান পুরস্কার নিয়ে যেমন কথা আছে, তার চেয়ে অনেক বেশী কথাঈখন হচ্ছে অধ্যাপক ইউনুসের শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে । গ্রামীন হাউজিং এর জন্য জমি মহিলাদের নামে করে দিতে হয় । এই কারনে বাংলাদেশে তালাকের মাত্রা শূন্যতে নেমে এসেছে এই গল্প অধ্যাপক ইউনুসের প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশে বহুবার করা হলেও আসল সত্য এই যে, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক লোক এখন পর্য্যন্ত এই বাড়ীর চেহারাই দেখেনি, তালাক দেয়া তো পরের কথা ।

অন্যান্য নোবেল পুরস্কারগুলি সুইডেন দিলেও শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কারটি দেয়ার ভার প্রথম থেকেই নরওয়ের উপর । আর শুরু থেকেই এই পুরস্কার প্রাপ্তদের নিয়ে আছে নানা বিতর্ক । ব্যবসায়িক কারনে এটি দেয়ার কথা সবার জানা আছে । এমন কি সকলের ঘৃনা পাবার যোগ্য মানুষকেও শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেয়ার উদাহরন আছে । এমন অবস্থায় টেলিনর নামে নরওয়ের একটি বিখ্যাত কোম্পানীর সাথে অধ্যাপক ইউনুসের গ্রামীন ফোন এর ব্যবসায়িক যোগাযোগ থাকার পর যৌক্তিক কারনে কথা তো উঠবেই । প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, তাকে এই পুরস্কার দেবার জন্য সুপারিশ করেছিলেন একজন প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট । প্রমান আছে যে অধ্যাপক ইউনুসের প্রতিষ্ঠান থেকে ঐ প্রেসিডেন্ট-পত্নীর প্রতিষ্ঠানে মোটা অঙ্কের টাকা দেয়া হয়েছিল । এগুলি কোন নতুন কথা নয়, ইন্টারনেট খুললেই সকল ডিটেল তত্ব প্রমান সহ দেখা যাবে ।

১৯৯৬ এ গ্রামীন ফোনে টেলিনরের অংশ ছিল ৬২% আর গ্রামীন ফোনের, বাকী ৩৮% । টেলিনর এই সময় গ্রামীনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা ও শিশু শ্রম ব্যবহারের অভিযোগ আনে । ফলশ্রুতিতে অধ্যাপক ইউনুস চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করার কারনে টেলিনরের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা বলেন । তিনি এই আশা প্রকাশ করেন যে টেলিনর ১৯৯৬এ করা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাদের শেয়ার এমন ভাবে বিন্যস্ত করবে যেন এটি একটি বাংলাদেশী কোম্পানিতে পরিনত হতে পারে । টেলিনর এটি অস্বীকার করে এবং চুক্তির শর্ত দেখতে চায় । অধ্যাপক ইউনুস উত্তরে জানান যে টেলিনরের ঐ সময়ের সিইও-র সঙ্গে তার মৌখিক কথা হয়েছিল । এমনকি তিনি তার নোবেল বক্তৃতায়ও টেলিনরকে চাপ প্রদানের জন্য এই বক্তব্য রাখেন । বলা বাহুল্য টেলিনর এসব কথা অগ্রাহ্য করে এবং নোবেল পুরস্কার আনার কয়েকদিন আগে রাতারাতি গ্রামীনের লোগো বদলে টেলিনরের লোগো ব্যবহার করতে তাকে বাধ্য করে। এই সব ঘটনা তার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সাথে টেলিনরের সংশ্লিষ্টতার ঈঙ্গিত দেয় ।

সাম্প্রতিক কালে নরওয়েজিয়ান ন্যাশনাল টেলিভিশন (এন আর কে) থেকে ক্ষুদ্র ঋনের ফাঁদে প্রকাশের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কোন প্রতিবাদ ছাড়াই টাকা ফেরত দেয়া অধ্যাপক ইউনুসের দূর্বলতা প্রকাশ করে । ডেনমার্কের পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক হেইনম্যান উপরোক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন । তার অনুন্ধান কতদূর যাবে এখনই বলা যাচ্ছে না । অধ্যাপক ইউনুসের নোবেল প্রাপ্তির আগে না পাওয়ার জন্য আমাদের অনেক আফসোস ছিল । বিরাট প্রাপ্তির পর আগামীতে এমন জিনিস পাওয়ার জন্যই আমাদেরকে আফসোস করতে হবে কি না কে জানে ?

অধ্যাপক বিজন বিহারী শর্মা, ডীন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ, আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ।

pdf/2010/RevisedYUNUS.Beng_848637822.pdf ( B) 


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment