Ebarer Shongram… Kintu Mukti Kothy?
এবারের সংগ্রাম… কিন্তু মুক্তি কোথায়?
জাতির জনক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনের। বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। কিন্তু মুক্তি কোথায়? কারণ আবারও হরতালের সঙ্গে কোলাকুলি করতে হয়েছে জাতিকে। বিষয় এবার বাড়ি। কথিত আছে এই বাড়ি থেকেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরিকল্পনা চুড়ান্ত করে ফরুক রশিদ গং। এখান থেকে শক্তি যোগানো হয় চার জাতীয় নেতার হত্যা, খালেদ মোশাররফ হত্যা ও কর্ণেল তাহের হত্যার রসদ। পরবর্তীতে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ও আরোও অনেক হত্যা, সন্ত্রাস ও চক্রান্তের তীর্থস্থান এই বাড়িটি। সেখানে বাড়ি বানালে বিডিআর হত্যাকান্ডের অফিসারদের পরিবাররা থাকবে না বলে আভাস পাওয়া গেছে।
আমরা কতকগুলি ঘটনা জানি, তবে সত্যি কোনটি সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারিনা। তবে সর্বশেষ চক্রান্ত- [সেনাবাহিনী] “আমাকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছে” উক্তিটি তিনি রচনা করেছেন ঐ বাড়িতে বসে। মহান নেত্রী হওয়ার স্বপ্ন অথচ এতটা আত্মকেন্দ্রিক, ভাবতেই শিঊরে ঊঠতে পারেন। দু:খ হতেই পারে। কিন্তু তাকে শক্তিতে রুপান্তর করে মানুষের মন জয় করতে হয়। বেগম জিয়া অসম্ভব ক্ষমতা লোভী, যেমনটি ছিলেন মেজর জিয়া, শুনেছি। কিন্তু এবার তিনি পরীক্ষায় হেরে গেলেন। প্রমাণ করলেন তাঁর পরিবার কতটা জনদরদী আর কতটা আত্মকেন্দ্রিক।
শোনা যাচ্ছে তিনি নাজমুল হুদাকে বহিষ্কার করতে যাচ্ছেন! তিনি কিন্তু বারবার প্রমাণ করছেন, জনগণ নয় পরিবারই তাঁর রাজনীতির মূল। তিনি যে বাড়ি ছাড়ার বিষয়টিতে ইস্যু বানিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে চেয়েছেন তা আর গোপন রইল না। জনগণই জবাব দেবে তার এই হীন রাজনীতির।
হরতাল থেকে যেমন মুক্তি নেই তেমনি মুক্তি নেই অভাব থেকে। আর তাই সরকার নির্বিকার। যদি আইন মানতে হয় তাহলে হাইওয়েতে নছিমন, মোটর বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করতে হয়। কিন্তু ওরা যাবে কোথায়? রাস্তায় নতুন কোন গাড়ি নামতে পারেনা পুরোনগাড়ির মালিকদের চাপে। জনগণ কোথায় যাবে? কোথায় তাদের মুক্তি? অসংখ্য গাড়ি কেবল একজনকে নিয়ে চলে যায়। আর যানযট সৃষ্টি করে। রাস্তার হাজার হাজার বাসযাত্রি নিষ্পেষিত হয়। কেঊ দেখবার নেই। দেশ চলছে এক অজানা গন্তব্যে।
রাস্তায় একটি গাড়ি নামলেই কমপক্ষে একজন ড্রাইভারের চাকরী হয় এবং নগদ ৭-৮ লাখ টাকা কর পাওয়া যায়, আমরা তাতেই খুশি। গাড়িরতো এসি আছে। পকেটে টাকা আছে। তাই নাই কোন ভাবনা। সমাজের উপরের শ্রেনী মানে যারা গাড়ি সরকারীভাবে পান তারাতো আর বাসে চড়েন না। তাই জনতার জন্য তাদের কোন মমতা নেই। আজকাল সহকারী সচিবরা বড় সাহেবদের সঙ্গে চলেন। ফলে কেউ নেই জনগণের কষ্ট বোঝার জন্য।
বিগত ৫ বছর রাস্তায় একটুও উন্নতি হয়নি বরং নতুন নতুন খাদ। জনৈক এমপির মৃত বাবার নামে সড়ক। বাপকে তুলে সবাই এখন গালি দেয়। ১১ মাস পেরিয়ে গেছে, চট্রগ্রাম হাইওয়ে ৪ লেন হওয়ার কাজ শুরু হয়নি। নতুন কোন রাস্তা হয়নি। বাড়ছে নির্মাণ খরচ। কোথা থেকে আসবে টাকা? প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি টাকা আয় শুধু নতুন গাড়ি রাস্তায় নামলে। এই টাকা কোথায় যায় জানিনা। সরকার এখনও বিদেশেী কোন সাহায্য চুড়ান্ত করতে পারেনি। সুতরাং, বেগম জিয়া হুঙ্কার দিচ্ছেন সরকার পতনের। নতুন পে-স্কেল ছাড়া নতুন কি পেলাম? সরকার নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে ঝুঁকেছে। কিন্তু সেখানে কি সফলতা আছে? নতুন খদ্দেরও বেড়েছে। সুতরাং, অবস্থা একই রয়েছে। অনেক নতুন চাকরী হয়েছে। তবুও মনে হয় কিছুই হয়নি।
কেবল নেতিবাচক কথাই বললাম। ইতিবাচক কিছু আজ আর লিখতে পারলাম না। যদি কেঊ পারেন তবে সুস্বাগতম।