Hajj, Umrah and Gomrah
হজ্ব, ওমরাহ এবং গোমরাহ অধ্যাপক নজরুল হাবিবী (লন্ডন থেকে)
(এই লেখাটি কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। যদি কারো সাথে কোন কথা মিলে যায়, মনে করতে হবে তা কাকতালীয়)
ইসলামের পঞ্চবেনা-পাঁচটি অবশ্যই করনীয় কাজের মধ্যে হজ্ব একটি। ওমরাহ ফরজ নয়। সুন্নত। ওমরাতে যাওয়া ভাল, তখন হজ্বেও সময় আর গোমরাহ হতে হয় না।
ওমরাহ হজ্বের জন্য ট্রেনিং কোর্সের মত। দোয়া দরুদ, সায়ী তাওয়াফ, ইহরাম বাধার নিয়ম পদ্ধদি ওমরাহ থেকে শিখে নেয়া যায়। হোটেলের সু-কুব্যবস্থার সাথে পরিচয়, ময়লাযুক্ত রুম হলে কি ভাবে পরিস্কার করতে হয়, মশা-মাছি কি করে তাড়ানো যায়, মুয়াল্লিমের দুর্ব্যবহার হজম করার শক্তি কিসে নিহিত, তাদের মিথ্যা বলার টেকনিকগুলি কি ও কেন, সবরের হাদিসকে কেন নতুনভাবে পড়তে হবে , ট্রাভেল এজেন্টদের কালারফুল বিজ্ঞাপনটির লাইনগুলিও কেন মুখস্থ রাখা প্রয়োজন এ সব বিষয়ের একটি চমৎকার ধারণা ওমরাহ থেকে লাভ করা সহজ হয়।
আজকের এই আলোচনা ওমরাহ এবং হজ্বের ফজিলত বর্ণনার জন্য নয়। সেই শক্তি-সুযোগ আমার নেই। বিদ্যার স্বল্পতা, শরিয়তের ডর, সমাজের শরম আমাকে বেশী কিছু লেখার জন্য উৎসাহিত করছে না।
আমার লেখার ধরণের জন্য আমি যেমন সমাদ্রিত। তার চেয়ে বেশী নিন্দিত, অনেক সময় ঘৃণিতও। সেদিন আলিফ উদ্দিন বল্লেন, ‘আলোর পথ ধরেই আপনাকে চিনি, মারহাবা’। ব্যারিস্টার নাজির ভাই বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের জন্য চ্যালেঞ্জ’। মাওলানা আবুল হোসাইন সাহেব বলেন, ‘উল্টাপাল্টা কথা’। আমি লন্ডনের বাংলা টিভিতে ’সাহিত্য কথা’ নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করি। নির্দেশনায় আছেন লায়লা বানু আপা। আমার কথা বলার গতি, প্রগতি ও প্রকৃতিতে আপা মোটেই খুশি নন। আমার শিক্ষক অক্সফোর্ড ইউনিভার্সির অধ্যাপক ড. আতিকী বলেন, ‘তুমি কথা বল অসময়ে’। জাসদের রব সম্পর্কে একটি রটনা ছিল, ‘সময়ে নীরব, অসময়ে রব’। ড. স্যার আমাকে সে রকম মনে করেন সম্ভবত:। তিন বছর আগে চ্যানেল ‘এস’ এর ‘সাপ্তাহিক’ নামক একটি অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে গিয়েছিলাম। উপস্থাপক ছিলেন, ড. নেয়ামত ইমাম। তিনি অনেক চেষ্টা করেও আমাকে দিয়ে মনের মত কথা আদায় করতে পারেন নি। সম্ভবত: রনী ভাই ছিলেন ক্যামরায়। মনে আছে, কমপক্ষে চারবার ক্যামরা বন্ধ করতে হয়েছিল আমাকে ঘর্মাক্ত দেখে। টিভি কর্তৃপক্ষ আমাকে তাদের প্রাইভেট ‘কার’ এ করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছিল সে দিন। সাথে উপস্থাপকও ছিলেন। তিনি সারা পথ ধরে আমাকে নরম সুরে বকাঝকা করেছেন। উপদেশের ছলে কষ্ট প্রকাশ করেছেন। নেয়ামত ভাই চট্টগ্রাম ভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। শুনেছি নাগরিকত্ব নিয়ে তিনি এখন কানাডায়। আমার মনে হয়, তিনি লন্ডন ত্যাগ করেছেন আমার প্রতি অভিমান করে। তবে, আমার ভাবতে ভাল লাগছে যে, জর্জ গ্যালওয়ে রচিত, নেয়ামত ভাই কর্তৃক অনুদিত ’রাজনীতির বিষিত পরিবৃত্ত’ বইটির পান্ডুলিপি দেখে দেবার সুযোগ আমার হয়েছিল। তাই আমি তাঁর রাগ-বিরাগ হাসি মুখে হজম করতে পারি। কথায় আছে, ‘সবরে মেওয়া ফলে’। সত্যিই সেই পাকা মেওয়াটি পেয়েছিলাম ২০০৮ সালে।
ওয়ান ইলাভেন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের (?) প্রথমবর্ষ এবং তাদের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তিকে নিয়ে চ্যানেল ‘এস’ এর ‘রিয়ালিটি উইথ মাহী’ অনুষ্ঠানে একজন আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য আমি আমন্ত্রিত হয়েছিলাম। । চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন সাহেবের ছেলে সহ প্যানেলে আমরা ছিলাম চারজন। তাঁরা তিন জনই ব্যারিস্টার। আমি র্বাড। মানে চারণ কবি। মাহী ভাই যখন আলোচকদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন তখন আমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা! কোথায় এসে পড়লাম? এত উচ্চের সাথে তুচ্চের অবস্থান! আমি পুচ্চ গুটিয়ে নিলাম। আমার জিহ্বা শুকিয়ে আসে! কাঁপতে থাকে কলিজা! দোয়া ইউনুছ এবং বিদ্যার দোয়া-‘রাব্বে জিদনী ইল্মা’ পড়ে নিলাম। মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনকে নিয়ে জমে উঠছে আলোচনা। মাহী ভাই জানতে চাইলেন আমার মতামত। আমি বিএনপি সমর্থিত আলোচককে বলার জন্য আহবান করি। আমার টাকু শ্যালক, বিবাহের পর যার মাথায় চুল গজিয়েছিল, সে বলল, আমার জন্য নির্ধারিত সময়গুলি উনাকে অফার করে ভাল করি নি। আমার ইস্ত্রির মত স্ত্রী বলল, যত মর্দামী বাসায়! বাইরে গেলে ভেজা বেড়াল! সে দিন তারা অনর্গল বলে গেলেন। আমি অনেকটা চুপ। আজ তিন বছর পর দেখলাম চুপ থেকে ভাল করেছি। আমি আমার প্যানেলের কাউকে এবং দুই উদ্দিনকে মারহাবা বলি নি। বললে ভুল হত। যারা বলেছে এখন পস্তাচ্ছেন। সবর করেও সারছেনা। সে দিন আমি নগদ যেটি পেয়েছিলাম, তা হল, ‘অভিমত’ এর উপস্থাপক ফারহান ভায়ের আন্তরিক আপ্যায়ন। তিনি আমাকে গরম গরম ভাত আর নরম নরম গোসত খেতে দিয়েছিলেন।
বলেছিলাম, যে লোকটি আমাকে ‘মারহাবা’ বল্লো, সে না হয় আমার চামচা, অন্ধবিশ্বাসী, মতলবালী। মেণন-ঈনুর মত ইদুঁর। ইতর। মৌলোভী। কিন্তু যে ‘সব বাজে কথা’ বলে উড়িয়ে দিল, তাকে আমি বেদরদ ভাবতে পারি। এর নাম মত ও পথের স্বাধীনতা। যেমন ধরুন, গণতন্ত্র রক্ষার নামে আমি শ্লোগান দিচ্ছি, আবার সেই একই গণতন্ত্র রক্ষার জন্য জন্য পুলিশ আমাকে অর্ধচন্দ্র এবং পুরোচন্দ্র উপহার দিচ্ছে। ‘হেফাজতে’ নিয়ে মেরে ফেলছে। চিরতরে গুম করে দিচ্ছে। লাপাত্তা। সবই ঠিক আছে। কারো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশের পবিত্র লাথি মোবারক হজম করতে পারা না পারাকে নিয়ে। একদল বলল, ও আমাকে মারছে। পুলিশ আমার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে। অন্যদল বলল, না, শব্দ করবেন না। মার হজম করুন। যতই হোক করুণ। চড়-চাপ্পড়, লাথি-গুতো মালিশের মত। এতে বেদনা সারে। পুলিশ এই কাজটি করছে সম্পূর্ণ ফ্রী। রাগ করবেন কেন? পুলিশ সমাজের বন্ধু। জিনিষ-পত্রের যে বেহাল অবস্থা! এতগুলি মানুষ খাবে কোথা থেকে? তাই দুই একজন লোক মারা-টারা গেলে সমাজের কি-ই-বা আসে যায়? আমাদের এক অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে গেছে’..। পুলিশেরা গরীব দরদী। যেমন ধরুন, একজন গার্মেন্ট শ্রমিক ছেঁড়া কাপড় পরে সকালে কাজে যাচ্ছে। কোন কারণে পুলিশ সন্দেহ করল। ধরল হালুম করে। টেনে হেঁচড়ে রাস্তায় ফেলে ছেঁড়া কাপড়টি আরো ছিঁড়ে দিল। তখন সে কোন রকমে প্রাণ-পাখি হাতে নিয়ে দৌঁড়ে রক্ষা পেল। আপনি দেখবেন, তার পরের দিন সকালে সে আত্মহত্যা করে ‘আল্লার মাল’ হিসেবে আল্লার সমীপে চলে গিয়ে, ‘আসিবে নতুন শিশু, স্থান করে দিব তাকে’ নামক কবিতা পড়ছে, নতুবা পেটের জ্বালায় নতুন কাপড় পরে বের হয়েছে। এই নতুন কাপড়টি কেনার জন্য পুলিশ তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। সে না কেঁদে, কোন আপত্তি না করে, হজম করে ভাল করেছে। যেমন ষাট বছর ধরে হজম করছে প্যালেস্টাইনবাসী। ওদের কান্নাও ইসরাইলের কাছে শ্লোগানের মত! মন ভরে, বুক খুলে ওরা আজ কাঁদতেও পারছে না! আমার অবস্থাও সে রকম। মক্কা-মদীনায় আমি অনেক হজম করেছি। বদহজমীর ঢেকুর তোলারও সুযোগ ছিল না। স্থানে স্থানে এজেন্টদের সাব এজেন্ট আছে। ওদের সাফ জবাব, ‘কষ্ট পেলে ধরে নিতে পারেন হজ্ব কবুল হয়েছে’। তাই অনুরোধ, আমার লেখাটি একটু মন দিয়ে পড়বেন। কারণ, ঈমান পাক্কা করার নিয়তে মক্কা গিয়ে ধাক্কা খাবার কথাগুলি একসময় আপনাদের কাজে আসতে পারে।
“আমি বড় গুনাগান/ গুনা মেরা বেশুমার/মাফ করে দাও পাপ পরওয়ার দেগার”। এই কসিদার আমল বুকে নিয়ে ২০০৮ সালে স্বপরিবারে আমি ওমরাহ করতে যাই। যদিও আমি গুনাগার, কিন্তু আমার তিন বছরের ছেলে হামীমের তো কোন গুনা-কসুর আছে বলে কোন পাঠক বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু তাকেও পথে পথে ঈমানী পরীক্ষা দিতে হয়েছে, তা কোন হাদিসের বরকতে আমার জানা নেই। মুরুব্বী এবং ট্রাভেল এজেন্টরা বলেন, হজ্ব এবং ওমরায় কোন ধরণের কষ্ট পেলে তাতে আমি যেন সবর ইক্তিয়ার করি। হাদিসে আছে, ‘আসসাবরু সিফতাহুল জান্নাহ’। মানে ধৈর্য স্বর্গের চাবি। অর্থাৎ, বিপদের সময় সবর করতে পারলে টুশ করে বেহেস্তে প্রবেশ করা যায়। হাদিসে বেহেস্তের নাম, গোমরাহরা কোন তলায় থাকবে, সাথে আর কে কি থাকবে তার কোন উল্লেখ নেই। সাফা- মারওয়ার কষ্ট, তাওয়াফের কষ্ট, নাকি যথা সময়ে প্লেন না ছাড়ার কষ্ট, নাকি জেদ্দায় মুতায়াল্লির জন্য দশ ঘন্টা বসে থাকার কষ্ট, সেই দশ ঘন্টায় তিন বছরের ছেলের নির্ঘুম, ক্ষুধা, পিপাসা, ক্লান্তি-শ্রান্তির কষ্ট, অগ্রিম টাকা দিয়েও মক্কায় এসে রুম না পাবার কষ্ট, আরো পাঁচ ঘন্টা (মোট পনর ঘন্টা) পর মুয়াল্লিমকে বুকে টেনে চেপে ধরার কষ্ট, আরো তিন ঘন্টা পর রুম পাবার কষ্ট, এই তিন ঘন্টা ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বসে ল্যাগেজের উপর মাথা রেখে ঘুমাবার কষ্ট, রুমে গিয়ে টিকটিকি, তেলাপোকার স্বাধীন চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করেছেন বলে কষ্ট, নাকি ময়লাযুক্ত ভাঙ্গা টয়লেট এবং ছাদ বেয়ে পানি পড়ার মনোরম দৃশ্য দেখে অতি আনন্দের কষ্ট, তার কিছুই সবরের হাদিসে উল্লেখ নেই। প্রিয় পাঠক, তা হলে আপনি লক্ষ্য করেছেন আমি সবর করতে পারি নি। আজিজ চৌধুরী পেরেছেন। তিনি ষাট বছর বয়স্ক ডাইবেটিস রোগী হলেও দশ ঘন্টা জেদ্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে পেরেছেন, মক্কা থেকে মিনায় যাবার জন্য সন্ধ্যা সাতটা থেকে তার পরের দিন সকাল এগারটা পর্যন্ত নির্ঘুম থাকতে পেরেছেন। শুধু আমি পারি নি। আমার গুনাহ মাফ হয় নি। হয় নি আমার ওমরাহ। তাই আমি গোমরাহ।
সেই গোমরাহিত্বকে দূর করার জন্য ২০০৯ সালে হজ্বে যাই। কাগজে, কলমে, সাইনবোর্ডে, ব্যানারে অনেক কথা দেখে মনে শান্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু আবারও আমাকে সবরের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। যে সব হজ্ব কাফেলার জন্য আমাদেরকে বারে বারে, সবর করতে হয়েছিল, তারা যখন আরো মানুষকে সবরের সবক শেখান, টিভি-পেপারে বিজ্ঞাপন দেন, বিরাট টুপি মাথায় দিয়ে টিভির টক শোতে মানবতার মহান সেবক এর মত সন্তুষ্টির ছলে মিটিমিটি হাসেন, আনুষ্ঠানিক শোকরিয়া সভা করেন, মিষ্টি খান, তখন আমার কি মনে হয় জানেন? আমার মনে হয়, সবরকে কবর দিয়ে খবর হয়ে যাই।
পাঠক, আমি নজরুল হাবিবীর কথা বলছি মাত্র। আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি না। আপনারা যান। যেমন ভোটের আগে যায় নেতারা। এবং মতবালীরা। অতি সম্প্রতি এক ‘সাংঘাতিক ব্যক্তিত্ব’ ঘোষনা দিয়েছেন, ওমরাহ পালন শেষে তিনি গবেষনাকর্ম(?) শুরু করবেন। এবং মক্কা থেকে মানুষের পকেট কাটার বৈধতার সনদ নিয়ে আসবেন। বলুন, মারহাবা। এখন কবিতা দুটি পড়ুন।
ট্রাভেল ও ট্রাবল
১
ট্রাভেল তোমায় ট্রাবল দেবেই
লেভেল যতই থাকনা,
দোষ-ত্র“টি মনের মুখোশ
পড়ে থাকে ঢাকনা।
তারা লোকের সেবা করে
উপোস রাখে মক্কায়,
বল্লে কিছু, বলে রেগে,
‘‘মারবো পিষে চাক্কায়’’।
পঞ্চ তারার হোটেল দেবে
মোটেল দেবে সুন্দর,
দেখবে তুমি ইঁদুর, পোকা,
সর্প, ইটের কন্দর।
২
যাও মদীনায় সিনায় সিনায়
নবীর সাথে মিলতে,
পারবে তুমি হোষ্টেলেতে
পঁচা পানি গিলতে।
দিতেই হবে যত চাহে
মোটা টাকার অংক,
তাওয়াফ ভুলে যাও বাজিয়ে
কষ্ট-দুখের শংক।
ওমরাহ এবং গোমরাহ
(ভুল পথে) যদি যান ওমরাহ
হতে হবে গোমরাহ,
লেপ-বালিশ জুটিবে না কপালে,
ভুলে যান দোয়া পড়া
তাওয়াফ আর সায়ী করা
আঁখিজল কল কল কপোলে।
হোস্টেলে মশা মাছি
আসে যায় নাচি নাচি
সাথে আনে গন্ধ ও ময়লা,
তেলাপোকার দৌঁড়-ঝাপ
ছেলে কাঁদে বাপ বাপ
আধ-ভাঙ্গা বেডে ধুল কয়লা।
টিকটিকি, পোকা, বিছা
‘সারে গামা পাদা নিসা’
রাতদিন গেয়ে যায় গান,
প্রাণ খানা যায় যায়
গরমেতে হায় হায়!
দেখা যায় কিয়ামত শান।
পঁচা জল চুক্ চুক্
গিলে কাশ হুক্ হুক্,-
প্যান নাই, ভাঙ্গা চোরা কামরা,
কোন কথা বললেই
কভু মুখ খুললেই
মুয়াল্লিম কিলে ছিঁড়ে চামড়া।
০৮.০৭.’১০ লন্ডন।