ইসলামে যাকাতের বিধান
ইসলামে যাকাতের বিধান
ইসলামে যাকাত ব্যবস্থা এসেছে ভারসাম্য পূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। সমাজে অস্থিতিশীলতা দূর করে ভারসাম্য পূর্ন সমাজ ব্যবস্থার জন্য ইসলামে যাকাতের প্রবর্তন । আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন
“যাকাত ব্যবস্থা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে এ জন্য যে, যাতে করে তোমাদের ধনীদের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভুক্ত না হয় “ সূরা হাশর-৭
পবিত্র কুরআনের ৩২টি জায়গায় যাকাতকে সালাতের সাথে সমান্তরাল ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে । অথচ দুভার্গ্য জনক হলেও সত্য যে, আমরা সালাতকে আবশ্যিক ভাবে মেনে নিলেও যাকাতে সেভাবে ন্ডিি না বা নিতেও দেই না। অথচ বিধানগত দিক থেকে উভয়ই সমান। আমরা ধরানা করি সম্পদ থেকে যাকাতি হিসাবে ব্যয় করলে সম্পদ কমে যাবে । । অথচ এই ধারনা সম্পুর্ন কুরআন বিরোধী। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন। “তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যে যাকাত দান করে থাকো তা অবশ্যই বেড়ে উঠে “
সূরা রুম -৩৯
যে ব্যাক্তি যাকাত আদায় করল সে তার প্রাপ্ত সম্পদের শুকরিয়া আদায় করল। আর আল্লাহ শুকরিয়া আদায় কারী সম্পর্কে কুরআনে অঙ্গীকার করেছেন,
“তোমরা যদি আমার শুকরিয়া প্রকাশ করো তাহলে আমি তোমাদের অবশ্যই বাড়িয়ে দিব “
আর যাহার আল্লাহর নির্ধারিত হতে ব্যয় করবেনা, তাদের জন্য রয়েছে মর্মদন্তু শাস্তি। পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে “যাহারা স্বর্ন চান্দি (তথা ধন-দৌলত) জমা করিয়া রাখে এবং উহাকে আল্লাহর নিদ্ধারিত পথে খরচ করে না তাহাদিগকে ভীষন যাতনা দায়ক আযাবের সংবাদ শুনাইয়া দাও”।
অনেক সময় দেখা অনেক মানুষ সমাজে খ্যাতি লাভের আশায় লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে যাকাত অথবা দান কয়রাত করে থঅকে এর মাধ্যমে ঐ ব্যক্তি সমাজে খ্যাতি অর্জনে সমর্থক হতে পারে কিন্তু আল্লাহর কল্যান লাভে সফল হবে না।
হে ইমানদার গণ । তোমরা স্বীয় দান খয়রাত কে বিন্ষ্ট করিও না ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে রিয়া বা খ্যাতি অর্জন বা লোক খোনোর উদ্দ্যেশ্য দান করিয়া থাকে। তাহার দান খয়রাতের অবস্থা এরূপ যেমন ১টি মসৃন পাথরের উপর কিছু ধুলো বালি জমিয়াছে , অথপর উহার উপর প্রবল বারি পতিত হইয়া ঐ পাথরটিকে পরিস্কার ভাবে ধৌত করিয়া দিয়েছে।
(৩ পারা ৪ রুকু )
এক হাদীসে রয়েছে
“ আল্লাহ পাক এমন কোন আমল কবুল করেন না, যাহাতে বিন্দু পরিমানও রিয়া বা লোক দেখানর জন্য করা হয় রয়েছে “
কাজেই আমাদের প্রত্যেক ঈমানদারে উচিৎ আল্লাহকে ভয় করা এবং আমাদের উপর অর্পিত ফরয বিধান যাকাত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় আদায় করা । বছরের যেকোন সময়েই যাকাত দেয়া যায় । তবে রমজান মাসে আদায় করা ভাল । কারণ এমাসে কোন ইবাদত করলে আল্লাহ তার নেকি ৭০ গুন বা তারও অধিক বাড়িয়ে দেন।