মুসলিম ডেমোগ্রাফি/ অভিবাসন
জনসংখ্যা গবেষণায় দেখা যায় ১টা সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে এই জাতির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.১১%ধরে রাখতে হবে। এর কম হলে এই সভ্যতা বিলুপ্ত হয়। ইতিহাস বলে ১.৯% হারে কখনও উল্টাদিকে হয়নি। কারণ এটি ঠিক করতে ৮০-১০০ বছর সময় লাগবে।
২০০৭ এর কিছু দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
ফ্রান্স – ১.৮
ইংল্যান্ড – ১.৬
গ্রিস – ১.৩
জার্মানি – ১.৩
ইটালি – ১.৩
স্পেন – ১.১
সমস্ত ইউরোপ জুড়ে ৩১ দেশের গড়ে জনস্ংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৮% ইতিহাস বলে এই সংখ্যা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। কিন্তু ইউরোপ এর সভ্যতা কিন্তু পরিবর্তন হয় না। এর কারণ কি ?
গবেষণায় দেখা যায় এর কারণ অভিবাসন, ইসলামিক অভিবাসন। ১৯৯০ হতে ইউরোপ এর সমস্ত অভিবাসন এর ৯০% হয়েছে ইসলামিক অভিবাসন।গবেষণায় আরও দেখা যায় ফ্রান্স এর নিজস্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৮% এবং ইসলামিক পারিবারিক অভিবাসন ৮.১% পূর্বে যেখানে ফ্রান্স এর ইউরোপের সর্বাধিক চার্চ ছিলো বর্তমানে পরিবর্তিত হয়ে মসজিদ হয়েছে। ফ্রান্স এর অনূর্ধ্ব ২০ বয়সের যুবসমাজের ৩০%মুসলিম এই হিসেবে ২০২৭ ফ্রান্স এ প্রতি ৫ জনে ১ জন মুসলিম এবং আগামী ৩৯ বছরের মধ্যে ফ্রান্স হবে ইসলামিক রিপাবলিক। গত ৩০ বছরে ইংল্যান্ড এ মুসলিম জনসংখ্যা হয়েছে ৮২,০০০ হতে বেড়ে ২.৫ মিলিয়ন। নেদারল্যান্ডে সদ্য প্রসুতবাচ্চার ৫০% মুসলমান, সে হিসেবে আগামী ১৫ বছরে সমস্ত জনসংখ্যার ৫০% হবে মুসলমান। রাশিয়ার মুসলিম জনসংখ্যা ২৩ মিলিয়ন যা কিনা প্রতি ৫ জনে ১ জন মুসলিম। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ার ৪০% আর্মি হব্ মুসলিম। বেলজিয়ামে সমস্ত জনসংখ্যার ২৫% এবং সদ্য জন্ম নেয়া বাচ্চার ৫০% মুসলিম। গবেষণায় দেখা যায় যে, ২০২৫ এর মধ্যে সমস্ত ইউরোপিয়ান প্রদেশে ১/৩ ভাগ সদ্য জন্ম নেয়া বাচ্চা হবে মুসলিম। জার্মানির সমীক্ষা বলে ২০৫০ এর মধ্যে জার্মানির হবে ১টা মুসলিম স্টেট।
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম নেতা গাদ্দাফী বলেন, মহান আল্লাহ মুসলিমদের ইউরোপে জয়যুক্ত করবেন, কোন তলোয়ার, অস্ত্র বা লড়াই ছাড়াই। তিনি আরো বলেন আমাদের কোন সন্ত্রাসী এর প্রয়োজন নেই।
বর্তমানে ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা ৫২ মিলিয়ন তা আগামী ২০ বছরে বেড়ে দাড়াবে ১০৪ মিলিয়ন বা তারও অধিক। কানাডার বর্তমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৫। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত কানাডার জনসংখ্যা বর্ধিত হয়েছে ১.৬ মিলিয়নের মধ্যে ১.২ মিলিয়ন অভিবাসীদের মাধ্যমে। ইউ.এস.এ এর বর্তমান জনসংখ্যা ছিল ১,০০,০০০। ২০০৮ এ এই সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯০,০০,০০০।
আমরা আজ যে খৃষ্টান শাষিত সমাজে বাস করছি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সেই সমাজে বাস করবে না। কেথোলিকদের বর্তমান অফিসিয়াল রিপোর্ট এ দেখা যায় বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যা ঠিক তাদের সংখ্যাকে অতিক্রম করেছে। বেশ কিছু বিশ্ব জনসংখ্যা গব্ষেনা রিপোর্ট বলে ৫ বা ৭ বছরের মধ্যে ইসলাম হবে পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রধান ধর্ম।
এই ছবিটি রানেস ২ এর, মুসা (আ:) এর সময়কার, এর বয়স বর্তমানে ৩০০০ বছরেরও বেশি। এটি পাওয়া গেছে জাবালাইন, রেডসী নামক স্থানে যা বর্তমানে নীলহৃদ নামে খ্যাত। এর সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এটি কোন মমি নয়। বিজ্ঞানীরা বলেছেন এর দেহটি আশ্চর্যভাবে সংরক্ষিত। এমনকি এর ভেতরর দেহযন্ত্র গুলোও সরানো হয়নি। তাহলে এর রহস্য কোথায় ? আসুন আমরা পবিত্র কোরানের দিকে নজর দেই। মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন :
“আজ আমরা তোমার দেহ সংরক্ষণ করবো, যেন
তুমি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নির্দেশনা হয়ে
থাকো। বাস্তবিক পক্ষে অধিকাংশ লোক আমার
আয়াত হতে গাফেল”- (সূরা ইউনূস,আয়াত-৯২)
পৃথিবী ৭স্তরে সন্নিবেশিত। প্রথম স্তর হলো হাইড্রোস্ফিয়ার যা উপরিভাগ এবং এটি মাটি ও পানি ধারন করে। দ্বিতীয় স্তর লিথোষ্ফিয়ার যা অন্যান্য স্তরের চাইতে শুক্ত এবং এটি উপরিভার কে ধারন করে আছে। এর গভীরতা / ঘনত্ব ৮০ কিলোমিটার। এটি অন্য স্তরের চাইতে অধিক ঠান্ডা ও শক্ত। তাই এটিকে পৃথিবীর বর্ম বলা হয়ে থাকে। তৃতীয় স্তরটি হচ্ছে অ্যাসথেরোস্ফিয়ার এটি উত্তপ্ত ও আংশিক তরল এবং এটি নানা উপাদানে গঠিত। চতুর্থ ও পঞ্চম স্তর পর্যায়ক্রমে অধিক উত্তপ্ত স্তর যার ঘনত্ব ২৯০০ কিলোমিটার এবং গলিত পাথর দ্বারা সংগঠিত। পৃথিবীর মূল কেন্দ্র দুটি ভাগে বিভক্ত। বহিরভাগ যার গভীরতা ২২০০ কিলোমিটার এবং নিুভাগ যার গভীরতা ১২৫০ কিলোমিটার। পৃথিবীর এই সাতটি স্তরের কথা মানুষ জানতে পেরেছে ব্যাপক গবেষনার মাধ্যমে বিংশ শতাব্দীতে এসে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা এটি ১৪০০ বছর পূর্বে তার মহান গ্রন্থ আল-কোরান-এ উল্লেখ করেছেন।
“আল্লাহ এমন যে, তিনি ৭ আসমান ও অনুরূপ ৭ জমিন সৃষ্টি করলেন, এ সবের মধ্যে অবতীর্ন হতে থাকে তার বিধান, যেন তোমরা বোঝ, আল্লাহ সর্ব শক্তিমান, আল্লাহ প্রত্যেক বস্তকে স্বীয় জ্ঞান দ্বারা পরিবেষ্টন করে রেখেছেন। (সূরা তালাক । আয়াত – ১২)