আবেদ চৌধুরীর দুটি কবিতা: 'মৃত্যু ও জন্মান্তর' এবং 'অন্য কারো মন'
১
মৃত্যু ও জন্মান্তর
আবেদ চৌধুরী
শরীর বিদেহী হয়
অতিকায় আত্মার দেহ
প্রান্তরের দীর্ঘ ছায়া এক গাঙচিল
যে জীবন দেখে নাই, সেই সব ছায়ার মিছিল
পাপ পূণ্য আদিগন্ত বিস্তির্ণ অপার
সাঙ্গ হল জীবনের, এই পরপার।
এদিকে ঈশ্বর বসে।
অতিকায় মেঘে যেন এক আলোর ঝলক।
বাষ্পিভূত জলে তৈরী তার সংহাসন
দৈবদূত সারি সারি বজ্রের আসন।
ওই দূরে যমদূত অন্ধকারে
জ্বেলেছে অঙ্গার
হাতবাঁধা পাপীজন
ধিকি ধিকি হবে ছারখার।
এর মাঝে আমি কেন?
অনাহুত
এই পরকালে/
তার চেয়ে ভাল ছিনু
ফেলে আসা জীবন জঞ্জালে।
আত্মা ফের দেহ খুজে নড়ে উঠে মাটির কবর
আবার শরীর চাই। খুজে ফিরি এক জন্মান্তর।
২
অন্য কারো মন
আবেদ চৌধুরী
কবিতা লিখতে হয়না
কবিতা তো লেখা হয়ে থাকে।
যে রকম পদ্মফোটা পাঁকে,
গভীরে নিমগড়ব থাকে প্রাচীন এক ক্ষুদ্র পদ্ম
নিশিদিন কর্দম বিনাশে।
যেমন আমার মনে অজান্তেই শালিকেরা আসে
ফেলে যায় খড়কুটা, শরতের ফুল
হৃদয়ে জানিনা কেনো জ্বলে উঠে চৈত্র শিমুল
সেইসব চিহ্নগুলো তারাতো আমার নয়
অন্যকারো ভাষা।
হৃদয়টা জমি হয় ফুল ফুটে
মেঘ জমে যেমন আকাশে।
হিয়ার ভেতর আছে আনাগোনা প্রকৃতির হরিৎ বসন।
আমার কবিতা নয়, এই কাব্য অন্য কারো মন।