নিউজিল্যান্ডে ৪০ শতাংশ মানুষ ধর্মহীনঃ বিশ্ববিদ্যালয় জরীপে প্রকাশ
কোনো ধর্ম-মতের সাথে যুক্ত না থাকা মানুষের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে নিউজিল্যান্ডে। সদ্য-প্রকাশিত এক জরীপ-মতে, বর্তমানে দেশটির ৪০ শতাংশ মানুষ কোনো ধরণের ধর্ম-মতের সাথে সংশ্রব রাখেন না। সতেরো বছর আগে পরিচালিত এক জরীপে এ-ধরণের মানুষের হার ছিলো ২৯ শতাংশ।
ম্যাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ কমিউনিকেশন, জার্নালিজম এন্ড মার্কেটিংয়ের জরীপ-মতে, বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের ৫৩ শতাংশ মানুষ ‘গড‘-এ বিশ্বাস করেন। তবে, উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই জানিয়েছেন ‘গড‘-এর অস্তিত্ব নিয়ে তাদের মনে সন্দেহ আছে। ২০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা ‘উর্ধ্বতন শক্তির‘ অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন। এদিকে এক-তৃতীয়াংশ উত্তর-দাতা জানিয়েছেন তারা ‘গড‘-এর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না বা এমন কোনো কিছু আছে বলে জানেন না। ৫৭ শতাংশ উত্তর-দাতা জানান তারা ‘মৃত্যু পরবর্তী জীবনে‘ বিশ্বাস করেন। এছাড়াও ৫১ শতাংশ ‘স্বর্গ
ে‘ এবং ৩৬ শতাংশ ‘নরকে‘ বিশ্বাস করার কথা জানিয়েছেন। এক-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন ‘স্টার সাইন‘ দ্বারা মানুষের জীবন প্রভাবিত হবার ব্যাপারটি তারা বিশ্বাস করেন। ৩৯ শতাংশ মনে করেন ‘ফরচুন টেলাররা‘ মানুষের ভবিষ্যত বলে দিতে পারেন।
জরীপে উত্তর-দাতাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ জানান স্টেইট প্রাইমারী স্কুলগুলোতে শিশুদেরকে ধর্ম-শিক্ষা প্রদানের ব্যাপারটিতে তাদের ইতিবাচক মনোভাব আছে। তবে এ-ক্ষেত্রে সকল ধর্ম-বিষয়ে শিক্ষাদানের প্রতি অত্যন্ত জোরালো মত প্রদান করেছেন অধিকাংশ উত্তরদাতা। জরীপ পরিচালনাকারী দলের প্রধান অধ্যাপক ফিলিপ জেনড্যাল জানান, ধর্মের সাথে সক্রিয় অংশ-গ্রহণের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম যুক্ততার ব্যাপারটি থেকে নিউজিল্যান্ড-যে একটি সেকুল্যার দেশ, তা-ই প্রমাণিত হয়। তিনি নিউজিল্যান্ডের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘জরীপে দেখা যায়, গড মৃত নয় কিন্তু ধর্ম সম্ভবতঃ মৃত্যু পথযাত্রী।‘
ম্যাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের জরীপটিতে বিশেষভাবে বাছাই করা এক হাজার প্রাপ্র-বয়ষ্ক ব্যক্তির কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।