বৈশাখী উৎসব ১৪২৫ গোল্ড কোস্ট
শুভ নববর্ষ ১৪২৫
বাঙালি উৎসবমুখর জাতি। আর বাঙালি সংস্কৃতির সম্পদ এর উৎসব। তাইতো বৈশাখকে কেবল সাদরে গ্রহণ করেই আমরা ক্ষান্ত নই। ১৪২৫ বৈশাখ আমাদের জীবনে বহমান।সেই আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ সোসাইটি গোল্ডকোস্ট (BSGC) আগামি ২১শে এপ্রিল ২০১৮ এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ যেন ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’।
আর এই শেষ কখনও ‘হইবার নহে’।
অতীতের গ্লানি ভুলিয়ে দিতে আবারও নতুন বছরের সূর্য উদিত হল। এই নবকিরণে কেবল বাংলাদেশই নয়, আলোকিত পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা বাঙালি জাতি। তাই অনেক উচ্ছাস-উল্লাস আর আয়োজনের মাঝে সমগ্র বিশ্ব জুরে পালিত হল পহেলা বৈশাখ। সংস্কৃতি প্রবাহমান,কালের স্রোতে চলে তার যোগ আর বিয়োগ। বিশ্বায়নের এই যুগে বহু বছরের পালিত বৈশাখী উৎসবেও এসেছে নানা রঙ আর নতুন মাত্রা। কিন্তু এই উৎসবকে কেন্দ্র করে যে ভাব-ভাবনা আর আয়োজন চলে তাতে বাঙালি জাতিস্বত্তার একাত্ততা এবং সর্বপরি বাংলা সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়া প্রকাশ পায়। আর তাইতো যুগ যুগ ধরে আয়োজিত এই বৈশাখ বাঙালি জাতির প্রানের মেলা।
এবারের এপ্রিল মাসটা অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্টের ব্যাঙালিদের কাছে বেশ আনন্দময়। কমনওয়েলথ গেমসের সাজসাজ রব, স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের ছুটি সাথে বাঙালির প্রাণের মেলা বৈশাখের আয়োজনে প্রাক আনুষ্ঠানিক মহড়া, আড্ডা আর মজাদার দেশীয় খাবার।
এই দূরদেশে একটু খানি দেশের আমেজ। বাঙালি নারীরা এই সংস্কৃতির এক অন্যতম ধারক ও বাহক। তাদের পোশাক ও সাজে যে সুনিপুণ ছোঁয়া থাকে তাতে বাঙালি স্বত্তা এক অনবদ্য রূপ পায়। শাড়ীর ভাঁজ থেকে খোঁপার ফুল যেন এক একটি নকশীকাঁথা, এক একটি গল্পগাথা। আর রসনা বিলাসে তাদের তো জুরি মেলা ভার। তাইতো ভিন দেশে শত বৈরিতার মাঝে ও বাঙালি নারীরা এই সংস্কৃতিকে নিভৃতে আলোকিত করে যাচ্ছে। গোল্ডকোস্টে বৈশাখী উৎসব আয়োজনের প্রতিটি রিহার্সাল মুহূর্তে বাঙালি ভাবিদের রসনা বিলাসে বরাবরের মত এবারও তা ষোলোআনা প্রকাশ পেয়েছে। লোকচক্ষুর আড়ালে এভাবেই আমাদের ভাবিরা তাদের কাজ করে যান।
১৪২৫ বৈশাখী আনন্দ আর সেই সাথে গোল্ডকোস্টের আদ্র গরম হাওয়া যেন অস্ট্রেলিয়ার বুকে লাল সবুজের পালে দোলা দিয়ে যাচ্ছে। শুভ হক এই যাত্রা।
“ তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক “।।
Dr. Rakia Hossain
I migrated to Australia in 2007. Currently living in Gold Coast. I am a doctor but like to express myself as a mother of 3 beautiful girls. Husband is Engineer but prefer to identify himself as a cultural personality and social worker. Please pray for us.
Related Articles
এক ধুনক যুবকের কিছু স্মৃতি
বাংলাদেশে এই কিছুদিন আগেও ধুনকেরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে লেপ-তোষক বানাত। হেমন্ততের শেষে কিংবা শীতের শুরুতে গ্রামে গ্রামে ফেরী করে বেড়াত
মগজে কারফিউ
ফজলুল বারী: সেই পাকিস্তান আমল থেকে আজকের বাংলাদেশ অঞ্চলের ইতিহাসটা হচ্ছে নেতৃস্থানীয় অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবীরা সব সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে
প্রিয় লেখকের পক্ষপাতিত্ব! – জন মার্টিন
এক: ইন্টারনেট আমাদের অনেক কিছু বদলিয়ে দিয়েছে। সারা পৃথিবী হাতের মুঠোয় এনে দিলেও মানুষের সাথে মানুষের দূরত্বটি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।