by Priyo Australia | June 4, 2009 12:39 am
হ্যাঁ, চিকিৎসার ব্যবস্থাটা হলে ভালো হয়।’ কথাটা মুখে আনতে নাহিদার আত্মসম্মানবোধ খুব আহত হয়েছে বুঝা যায়।
কণ্ঠে লজ্জার সুর মেশানো । নিজে বেঁচে থাকার জন্য অন্যের সহানুভুতি কামনা করতে হবে এটা এই অবস্থায়ও মানতে পারছে না তা খুব স্পষ্ট তার মুখের রেখায়, জ্বলজ্বলে চোখের ঝিলিকে।
মেয়েটার বয়স কত হবে অনুমান করার চেষ্টা করি। ২০?২১?২২? ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪৩ নাম্বার ওয়ার্ডে শুয়ে চোখ মুছছে বারবার।
বন্ধুরা জানায় ২৫ হাজার ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষায় ও
৮৯ তম হয়েছিল । ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার ব্রত ছিল রাজশাহীর মেয়ে নাহিদার। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে এ প্লাস পেয়ে রাজশাহীর মেয়ে নাহিদা ভর্তি হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাকে আজ লড়তে হচ্ছে দূরারোগ্য ক্যান্সারের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের কেবিনে শুয়ে শুয়ে দিন কাটে তাঁর। দ্বিতীয় বর্ষে শেষ দিকে এসে নাহিদা জানতে পারে তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্রনিক মাইলোয়েড লিওকোমিয়া নামের ক্যান্সার।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ৬ মাসের মধ্যে বোনম্যারো ট্রান্সফার করতে জরুরী। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন দেশ ভেদে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পড়ায় মৃত্যু আরো দ্রুত তুলে নিতে আসছে। নাহিদার স্বপ্নভরা চোখ ঝাপসা করে ফেলছে ঘিরে আসা অশ্রু। কি সে কিভাবে ভাবছে কে জানে!
কেবিনে তার সঙ্গে থাকে ওর মা। প্রিয় সন্তানের জীবনাবসান হবে অর্থের অভাবে,এতে যুক্তি থাকলেও মন মানে না। উপায়ও জানে না।
নাহিদার সহপাঠীরা ব্যস্ত পরীক্ষা নিয়ে। ব্যস্ততার মাঝেও তারা নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। শিক্ষকরাও।
ওরা ২ ভাই। বাবা স্বল্প বেতনের সরকারী চাকরী করেন। এতো টাকা যোগাড় তার জন্য দুঃস্বপ্ন। নাহিদের ভাই ও তার বন্ধুরা প্রয়োজনীয় টাকা যোগাড় করা যায় কিনা চিকিৎসার জন্য তার উপায় খুঁজছে । অন্ততঃ ইন্ডিয়ায় নিয়ে হলেও বাঁচানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
মৃত্যুর পথযাত্রী নাহিদের পাশে এখনো কেউ দাঁড়ায়নি। সে বিছানায় শুয়ে শুয়ে মানসিক শক্তির পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু মৃত্যুভয় তাকে বোধ হয় ধ্বসিয়ে দিতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে। না হয় সারাক্ষণ কাঁদবে কেন?
লেখাটা এখানে এই কারণে দিলাম যে, ব্লগ থেকে জেনে ব্লগারসহ অনেক ভালোমনের মানুষ ইতোপূর্বে অনেককে মৃত্যুর হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছেন। এবারও যদি এমনটা ঘটে! মেয়েটা মরে যাবে ভাবতে ভালো লাগে না। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখুন!
নাম্বারদুটো নাহিদের ভাই আর মায়ের। কেউ হেল্প করতে চাইলে ওদের ফোন করতে পারেন। ০১৯১১-৫২৩৮৯২ ও ০১৬৭৪-১৭৫০৪৫ । আরেকটা কথা প্রতিদিন ওর চিকিৎসায়ও অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
ডাক্তাররা আকারে ইঙ্গিতে নাহিদের বাবা মাকে তাগাদা দেন, কিছু করার থাকলে তাড়াতাড়ি করেন। সময় কমে আসছে দ্রুত!
ওর অসুখ নিয়ে চিকিৎসকের একটা বক্তব্য এই কাগজ থেকে পাওয়া যাবে। অপ্রীতিকর প্রশ্ন এড়ানোর জন্য এখানে তুলে দিলোম।
আজ কয়েক জন সাংবাদিক চেষ্টা করবেন জানিয়ে অনুরোধ করার পর নাহিদের মায়ের নামে একটা হিসাব খোলা হয়েছে।
এটার নাম্বার: নুর জাহান বেগম।
সঞ্চয়ী হিসাব নং: ১২১০০৪০৭০০৬ ।
সোনালী ব্যাংক ,ঢাবি শাখা।
original source[1]
Source URL: https://priyoaustralia.com.au/save-life/2009/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a1-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d/
Copyright ©2024 PriyoAustralia.com.au unless otherwise noted.