যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ মাশরেকীর সতর্ক বার্তা বাঁচিয়ে দেয় লাখো মানুষের জীবï

by Priyo Australia | November 19, 2007 7:11 pm

লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশের হাসান মাশরেকী। ফ্লোরিডা হোটেলে একটি ল্যাপটপে হিসাব-নিকাশ করে তিনি ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’র গতিপ্রকৃতি এবং সম্ভাব্য ক্ষমতা বের করে ফেলেন। সেই হিসাব এবং সতর্ক বার্তা তিনি বাংলাদেশে পাঠান। যা থেকেই সম্ভব হয়েছে ‘সিডর’ মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া। ঠেকানো গেছে আরও ভয়াবহ কোনো বিপর্যয়। অথচ বার বার প্রাকৃতিক এই ভয়াবহ রূপ প্রত্যক্ষ করলেও বিশ্ব ভৌগোলিক সংস্থায় বাংলাদেশ উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। নেয়া হচ্ছে না কোনো আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা কিংবা তা মোকাবিলায় কোনো দিকনির্দেশনায় পাওয়া যাচ্ছে না তাদের কাছ থেকে। খবর ইন্টারন্যাশনাল হেরাল ট্রিবিউনের।

US cyclone expert: Bangladesh neglected by world meteorologists[1]

Hassan Mashriquiনভেম্বরের ১৪ তারিখের ঘটনা। মাশরেকী ‘সিডর’র মডেলিং ই-মেইলের মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের জানান। তিনি পরামর্শ দেন সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হোক, অর্থাৎ লাল পতাকা ঘোষণা করা হোক। বাংলাদেশ সরকার নিয়ন্ত্রিত হাইড্রোলিক এজেন্সি ওয়াটার মডেলিং ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এমাদউদ্দিন আহমেদও ই-মেইলে হাসান মাশরেকীর আগাম সতর্ক বার্তার প্রশংসা করেন।

এ সপ্তায় এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে মাশরেকী বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট সচিবকে এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে জানাই। পরবর্তী সময়ে তিনি জানিয়েছেন, আমার এই সতর্ক বার্তা তাদের সম্ভাব্য উপদ্রুত অঞ্চল থেকে দ্রুত মানুষজনকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছিল।

এর ঠিক ১৫ ঘণ্টা পরেই ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ বাংলাদেশে আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১৫০ জন নিহতের সংবাদ জানা গেলেও এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে।

মাশরেকী জানান, আমি যখন বিমানে ছিলাম, তখন থেকেই ‘সিডর’কে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। বিমান থেকে নেমে সোজা হোটেলরুমে à¦

šà¦²à§‡ আসি। হোটেলের রুমে আমার ল্যাপটপে সংযোগ নেয়া ছিল। আমি পুনরায় ১২টায় ‘সিডর’ এর গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে ৪টার মধ্যে তার মডেলিং শেষ করি। তিনি জানান যে, এর মাঝেই রাজধানী ঢাকাতে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তাদের খোঁজখবর নেন। তিনি জানার চেষ্টা করেন, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো ‘সিডর’কে কীভাবে নিয়েছে।

‘সিডর’র মডেলিং বাংলাদেশে জন্ম নেয়া একজন গবেষক তার মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। অথচ যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ধনী রাষ্ট্রগুলো প্রায়শই উন্নয়নশীল রাষ্ট্র কীভাবে দুর্যোগ সতর্ক বার্তা পাঠাবেন এবং সে সময় কী করবেন এ ব্যাপারে ছবি ও তথ্য সহযোগে বিভিন্ন কিছু উপস্থাপন করে থাকেন।

হাসান মাশরেকী অভিযোগ তুলেছেন, বিশ্ব ভৌগোলিক সংস্থা বঙ্গোপসাগরের খুব বেশি মডেলিং সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করেনি। যদিও গত কয়েক দশকে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বাংলাদেশে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় নিয়মিত বিরতিতে আঘাত হানছে। ১৯৭০ সালে ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ে ৩ লাখ মানুষ এবং ১৯৯১ সালে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

ডেসটিনি ডেস্ক Source[2] | Hassan Mashriqui[3] | link and news posted by Shahadat Manik

Endnotes:
  1. US cyclone expert: Bangladesh neglected by world meteorologists: http://www.iht.com/articles/ap/2007/11/21/america/NA-GEN-US-Sidr-Forecasting.php
  2. Source: http://www.dainikdestiny.com/ND.aspx?SID=1001&NID=0
  3. Hassan Mashriqui: http://stormsurge.lsu.edu/Hassanbio.htm

Source URL: https://priyoaustralia.com.au/readers-link/2007/a%c2%a6%c2%afa%c2%a7%c2%81a%c2%a6%e2%80%a2a%c2%a7%c2%8da%c2%a6%c2%a4a%c2%a6a%c2%a6%c2%bea%c2%a6%c2%b7a%c2%a7%c2%8da%c2%a6ya%c2%a7%c2%8da%c2%a6a%c2%a7%e2%80%a1-a%c2%a6%c2%aca%c2%a6%c2%bea/