Fajilot of Ramadan

by Shariful Islam | August 10, 2010 9:38 pm

রমজানের ফযীলত

সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ তাআলার যিনি রমযান মাসকে মাস বানিয়েছেন এবং সে সময় ভাল কাজের প্রতিদান বাড়িয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পুর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলšবন কর। [সুরা বাকার : ১৮৩ ]

সাহল বিন আদ (রা:) বলেন, নবী করীম (সা:) বলেছেন বেহেশতে রাইয়অন নামক ১টি দরজা আছে কেয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে রোজাদাররা বেহেশতে প্রবেশ করবে। রোজাদার ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
কেয়ামতের দিন ডেকে বলা হবে, রোজাদাররা কোথায় ? তখন তারা উঠে দাঁড়াবে, তারা ছাড়া আর একজন লোকও সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না, তাদের প্রবেশের পরই তা বন্ধ করে দেয়া হবে, যাতে সে দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।
বুখারী-১৭৭৫

আবু বকর ইবনে আবী শায়বাহ যুহাউর ইবনে হরাব এবং আবু সাঈদ আশাজ্জ (রহ:) আবু হুরায়রাহ (রা:) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন হুজুরে পাক (সা:) এর লক্ষে করিয়াছেন। বান্দার প্রত্যেক আমল দশ গুন হইতে সাতগুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করিয়া দেয়া হয়, আল্লাহ পাক বলেন কিন্তু রোযা রাখা হইলে আমার জন্য আমি তাহার বিনিময় দান করিব। কারন সে আমরাই উদ্দেশ্যে তাহার যৌনাচার এবং পানাহার পরিত্যাগ করে।

হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন রাসূল পাক (সা:) ইরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি ঈমানকে সাথে এবং নেকির আশায় রমযান মাসের রোযা রাখল এবং (ইবাদতের জন্য) রাত জাগরন করল তার পূর্ববর্তী গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
তিরমিযী শরীফ-৬৩৫

হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলে পাক (সা:) রোজাদারের জন্য ২টি আনন্দ রয়েছে ১টি হলো যখন সে ইফতার করে এবং অপরটি হলো যখন সে তার প্রতি পালকের সাথে সাক্ষাত করবে।
তিরমিযী শরীফ-৭১৩
এখানে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত বলতে বেহেশতের কথা উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। বেহেশতবাসী ব্যতিত আল্লাহকে আর কেউই দেখতে পাবে না।

হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রমজান মাস এলো, তখন আল্লাহর রাসূল (সা:) বললেন, তোমাদের কাছে এ মাস এসেছে, আর এতে রয়েছে এমন এক রাত যা হাজার মাসের থেকে উত্তম। এ বঞ্চিত ব্যক্তি তো সমস্ত কল্যাণ থেকে মাহরম এর কল্যাণ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত, সে প্রকৃত পক্ষেই বঞ্চিত।
ইবনে মাজহা-১৬৪৪

রমজানে রাসূলুল্লাহ (সা:) ও তাঁর সাহাবারা অধিক পরিমানে শক্তি, সজিবতা এবং ইবাদতের জন্য ধৈর্য্য ধারন করার উদ্যম অনুভব করতেন, তাইতো রমজান মাসকে সৎকাজ, ধৈর্য ও দানের মাস বলা হয়। রমজান মাসের ফজিলত অনেক।

রোজা/সিয়মি আগুন থেকে রক্ষকারী জাল জাবের (রা:) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে নবী (সা:) বলেছেন সিয়াম প্রবৃত্তির তাড়না থেকে বাঁচার জন্য চান এর মাধ্যমে বান্ধা আগুন থেকে মুক্তি পায় (মুসনদে আহমদ)

Source URL: https://priyoaustralia.com.au/articles/islam/ramadan/2010/fajilot-of-ramadan/