জীবনের রঙ বদল

by Md Yaqub Ali | November 19, 2019 7:23 am

সময়কাল ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল। জীবনে প্রথমবারের মতো ঢাকা এসেছি নেহায়েৎ বাধ্য হয়েই। উচ্চশিক্ষা শেষ করতে হবে। ভালো রোজগার করতে হবে। পরিবারের অভাব দূর করতে হবে কিন্তু শুরুর দিনগুলোতে সেই অভাবই আমার পিছু ছাড়ছিলো না। এলাকার বড় ভাইয়েরা এক একটা টিউশনি ঠিক করে দেয় কিন্তু কোন টিউশনিই সপ্তাহখানেকের বেশি টিকে না কারণ ঢাকার বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে বড্ড বেশি যান্ত্রিক। তাদের একমাত্র লক্ষ বুঝে হোক বা না বুঝে হোক ভালো ফলাফল করতে হবে। আবার ততদিনে উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের বইগুলো খোলনলচে বদলে ফেলা হয়েছে তাই চাইলেও আমি উচ্চমাধ্যমিকের ছেলেমেয়েদের পড়াতে পারি না। এমন বেশ কয়েকটা টিউশনিতে রিজেক্ট হওয়ার পর মোটামুটি মনমরা হয়ে গেলাম। আর ততদিনে জমানো টাকাগুলোও শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। বন্ধুদের কাছেই বা আর কত ধার নেয়া যায় কারণ প্রত্যেকেই তখন বাড়ি থেকে সীমিত টাকা পায়।  

এভাবে চলতে চলতে সামনের দিনগুলোতে মোটামুটি অন্ধকার দেখতে শুরু করলাম। ততদিনে সকালের নাস্তা করা বাদ দিয়ে দিয়েছি। হলের ডাইনিংয়ে মাসের শুরুতে ছয়শ টাকা জমা দিতে পারলে দুপুর আর রাতের খাবারের ব্যবস্থাটা হয়ে যায় কিন্তু সকালে নাস্তা করতে গেলে আরো প্রায় দশটা টাকার দরকার তাই নাস্তা করা বাদ দিতে হলো বাধ্য হয়েই। সকাল থেকে অপেক্ষা করি কখন দুপুরের খাবারের জন্য ডাইনিংয়ের দরজা খুলবে। ডাইনিংয়ে যেয়ে এমনভাবে খেতাম যেন রাত্রে খাওয়ার আগে আর ক্ষিধা না লাগে। আর আমার খাওয়া নিয়ে বন্ধু মহলে অনেক গল্পই প্রচলিত ছিলো। এক বসায় তিনজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের খাবার নিমেষেই শেষ করে দিতে পারতাম। এরপর রাতের খাবারের বেলায়ও একই নিয়ম পালন করতাম। আর সকালে উঠে পেটভরে পানি খেয়ে নিতাম এসিডিটি থেকে বাঁচার জন্য। বুয়েটের পাঁচ বছরের সেই অভ্যাস থেকে এখনও বের হতে পারিনি। বুয়েট পাশ করে টেলিকমের চাকুরীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরের সবচেয়ে নামী দামী হোটেলগুলোতে থাকতে হতো কিন্তু কোথাওই সকালের নাস্তা খাওয়া হতো না। অনেক হোটেলে বাহারি কমপ্লিমেন্টারি নাস্তা দেয়া হতো। সেগুলো হোটেলের বয়দের দিয়ে দিতাম তাই সেই হোটেলের বয়রা অপেক্ষা করতো কখন আবার আমি আসবো তাদের হোটেলে থাকতে।

যাইহোক একদিন বন্ধু সানজাদ এসে বললোঃ ইয়াকুব আমার খালাতো ভাই রানা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তুমি চাইলে ওকে পোড়ানো শুরু করতে পারো। অকুল দরিয়ায় আমি যেন কুলের দেখা পেলাম। কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ থেকে সানজাদ, সুদীপ্ত, আমি, হাবিব, মাহফুজ, জাকির বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম বিভিন্ন সাবজেক্টে। মফস্বলের একটা কলেজে থেকে বুয়েটে এক ব্যাচে এতগুলো ছেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়াটা তখনকার দিনে মোটামুটি অসম্ভবই ছিলো। আমাদের ব্যাচে বুয়েটে ভর্তির আসন সংখ্যা ছিলো সর্বসাকুল্যে সাতশ একাশিটা। আমরা একই কলেজের হওয়াতে আমাদের মধ্যে যোগাযোগটা ছিলো দারুণ। তখনও মোবাইল ফোনের কালো থাবা মানব জীবনকে দূষিত করতে শুরু করেনি। সপ্তাহান্তের রাতে আমরা দলবেঁধে এক হল থেকে অন্য হলে যেয়ে সবাইকে একসাথে করে বেরিয়ে পড়তাম ঢাকা শহরে হাটতে। সানজাদের প্রস্তাবে সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম। তারপর একদিন সানজাদের সাথে যেয়ে রানার সাথে পরিচিত হয়ে আসলাম।  

রানা তখন নেহায়েতই বাচ্চা একটা ছেলে। যতদূর মনেপড়ে ও ষষ্ঠ অথবা সপ্তম শ্রেণীতে পড়তো। খালা খালু দুজনেই পেশায় ডাক্তার। তাঁদের দু ছেলেমেয়ের মধ্যে রানা বড়ো আর নীলপলা ছোট। আমার নিজের কোন বোন ছিলো না তাই নীলপলাকে নিজের বোনের জায়গায় বসিয়েছিলাম। আর রানার সাথে আমার সম্পর্কটা ছিলো ভারি অদ্ভুত। সেটাকে আসলে ঠিক স্যার ছাত্রের সম্পর্কের ক্যাটেগরিতে ফেলা যায় না। আবার সেটাকে ঠিক বন্ধুত্বের ক্যাটেগরিতে ফেলা যায় না। রানার সাথে পরিচয়ের পর থেকেই প্রতিদিন চমৎকৃত হতাম ওর জানাশোনার পরিধি দেখে। রানা ততদিনে হুমায়ুন আহমেদের একটা জীবন্ত অমনিবাসে পরিণত হয়েছে। ওর কাছে হুমায়ুন আহমেদের সব বই আলদাভাবে এবং সমগ্র আকারেও ছিলো। আমারও আউট বই পড়ার নেশা ছোটবেলা থেকেই। পাঠ্যবইয়ের বাইরের বই সবসময়ই বেশি টানে আমাকে তাই পড়া শেষ করে প্রতিদিনই রানার কাছ থেকে বই নিয়ে যেতাম পড়ার জন্য। 

ওকে পড়ানো শুরু করার পর ঢাকা শহরের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমার ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হলো। রানার আগ্রহও সিলেবাসের বাইরের বইয়ের প্রতি বেশি। ও শুধু অতটুকুই পড়ে যতটুকু পাশ করার জন্য পড়া দরকার। খালা এসে মাঝেমধ্যে আমাদের তাগাদা দিয়ে যান কিন্তু তাতে আমাদের তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। আমরা পড়ার টেবিলে বসে সাহিত্য থেকে শুরু করে বিশ্বব্রম্মান্ড ঘুরে বেড়াই। তখনই প্রথম বুঝলাম রানা আসলে ওর বয়সের তুলনায় অনেক বেশি পরিপক্ক মানসিকতার অধিকারী। এমনকি আমি কোনও সমস্যায় পড়লে ওর কাছ থেকে বুদ্ধি নিতাম মাঝেমধ্যে। রানাও আমার মতো প্রকৃতি প্রেমিক। প্রকৃতির সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলোও ওর চোখ এড়িয়ে যায় না। আর মানুষের জীবনের দৈন্দন্দিন সমস্যাগুলোও ওকে ভাবিত করে তাই হুমায়ুন আহমেদের সহজ সরল গল্প বলা ওর ভালো লাগে। আমি বলতাম সেটা ঠিক আছে কিন্তু উনার তো সব বই ভালো না। রানা বলতো, সব ভালো হবার দরকার নেই অন্ততপক্ষে গোটা পঞ্চাশেক ভালো বই থাকলেই হলো। রানা আরও বলতো, উনার বড় বইগুলো কিন্তু সুন্দর। এরপর আমি খেয়াল করলাম আসলেই তাই। হুমায়ুন আহমেদের বর্ধিত কলেবরের বইগুলো আসলেই দুর্দান্ত।

রানাকে পোড়ানোর সময়টা রেখেছিলাম রাত্রে। সারাদিনের সব টিউশনি শেষ করে ওকে পড়াতে যেতাম। প্রায় প্রত্যেকদিনই ওকে পোড়ানো শেষ করে ওদের বাসা থেকে খেয়ে আসতাম। রাত্রের এই খাওয়াটাও একটা কারণ ছিলো ওকে রাত্রে পোড়ানোর। খালার হাতের রান্না খেয়ে নিতাম বেশি করে যাতে সকালের নাস্তার খরচ বেঁচে যায়। দিনে দিনে আমি খালার আরো একজন ছেলের জায়গা নিয়ে নিলাম যে তার ছোট ভাইটার দেখাশোনা করে। খালা মাঝেমধ্যে আমাকে বুদ্ধি দিতো রানার সাথে যেনো বেশি ফ্রি না হই তাহলে ও আর আমার কথা শুনবে না কিন্তু আমার পক্ষে সেটা সম্ভব ছিলো না। আর আমি দেখতে পারছিলাম রানা যা করে বুঝে শুনেই করে তাই ওকে বুঝানোর কিছু নেই। ও ঠিক সময়মতোই জ্বলে উঠবে। বাস্তবেও তাই হয়েছিলো। পরবর্তীতে রানা চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিয়ারিং শেষ করে একটা সফটওয়ার ফার্মে চাকুরী শুরু করে। আমি বরাবরই খালাকে এই কথা বলতাম যে রানার চরিত্রের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে বাস্তববাদিতা। ও পরিস্থিতি বুঝে সেই মোতাবেক মোকাবেলা করে। একটুও বাড়তি কোন কিছু ওকে দিয়ে করানো যায় না। আমি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করছিলাম ওকে দিয়ে কিছু বাড়ির কাজ আগেভাগেই করিয়ে নেয়ার কিন্তু তার ফল হয়েছিলো উল্টো তাই আর পরে সেই চেষ্টা করিনি।

রানাকে দিনশেষে পোড়ানোর আরো একটা উপকারিতা ছিল। সেটা হলো সারাদিন পরিশ্রম করে যেটুকু ক্লান্ত হতাম রানার সাথে আড্ডা দিলে সেই ক্লান্তিও দূর হয়ে যেতো। এভাবে আমাদের মধ্যে একটা বিনে সুতার বন্ধন তৈরি হয়ে গেলো। এখনও আমি ওর লেখার বিশাল ফ্যান। ওর লেখার মধ্যে জীবনের বোধগুলো খুবই স্পষ্ট। মানুষে মানুষে যে অদৃশ্য বন্ধন এটা ওর লেখার মূল উপজীব্য। এছাড়াও জীবনের কিছু খুবই কঠিন কথা ও মজার ছলে এতো সহজ করে বলে যে সেগুলো থেকে শিক্ষা নেয়াটা সহজ হয়ে যায়। জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হচ্ছে বেঁচে থাকার যুদ্ধ। আমি একসময় ঢাকা শহরের কিছু মানুষের আচরণ দেখে বিরক্ত হতাম। অপটিক্যাল ফাইবারের কাজের সময় আমাদেরকে অহোরাত্রি রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ সুপারভাইজ করতে হতো। তখন দেখতাম কিছু মানুষ অকারণে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই খননকার্য দেখছে। তখন বুঝিনি এখন বুঝি এটাও এক ধরণের জীবনযাপন। এছাড়াও রাস্তার পাশের ফুটপাথের উপরে পলিথিনের ঘরে মানুষ বসবাস করছে দিনের পর দিন। রাত্রে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সস্তায় নিজের শরীর ফেরি করে বেঁচে বেড়ানো মেয়েটা। সবার সাথেই পরিচয় হয় সে সময়। দিনে দিনে স্পষ্ট হতে শুরু করে জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হচ্ছে বেঁচে থাকা আর সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে একদিন সবাইকেই মরতে হবে কিন্তু আবার মৃত্যুর চিন্তায় জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনন্দগুলোকে নষ্ট করা যাবে না।

রানার বর্তমান বয়স সবেমাত্র আটাশ বছর। ২০১৭ সালে ওর বিয়ে হয়েছে। আর রানার ২০১৮ সালে ক্যান্সার ধরা পরে। রানা টি টাইপ অ্যাকিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকিমিয়ায় (T – ALL) আক্রান্ত। এরপর শুরু হয় রানার চিকিৎসা। কাকতালীয়ভাবে রানার সাথে নীলপলার বোন ম্যারো ম্যাচ হয়ে যায় এবং অবশেষে নীলপলার শরীর থেকে রানার শরীরে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় সফলভাবে। এ পর্যন্ত সবকিছু মোটামুটি ঠিকভাবেই চলছিলো। রানাকে গত মাসে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ার কথা। সেটা নিশ্চিৎ করার জন্য আবারো রানার শরীর পরীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায় রানার শরীরের কোষগুলো নীলপলার কোষগুলোকে রিজেক্ট করা শুরু করেছে তাই তাঁকে আবার চিকিৎসার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করতে হবে। আগেরবারের মতোই কেমোথেরাপি চলবে নিয়ম করে তার পাশাপাশি চলবে বোনম্যারো খোঁজার কাজ। গতবারের চিকিৎসা ব্যায় বহন করতে যেয়ে খালা খালু একেবারে কপর্দকহীন হয়ে পড়েছেন। অবশ্য সারা বিশ্বের মানুষও সেবারই উদারভাবে রানার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো। একবছর পর যখন ডাক্তারেরা এই দুঃসংবাদটা দেন তখন স্বভাবতই রানার বাবা-মা-বোন-স্ত্রী সবাই ভেঙে পড়েছে। আর তাঁদেরকে গ্রাস করেছে একটা রূঢ় অসহায়ত্ব। এমন খরচান্ত চিকিৎসা ব্যায় বহন করার ক্ষমতা উনাদের নেই। ইতোমধ্যেই রানার বাবা মা উনাদের একমাত্র ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সেটা গতবারই বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিলো কিন্ত উপযুক্ত ক্রেতা না পাওয়ায় আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। এইবার খালা খালু আর দ্বিতীয়বার ভাবেননি ভালোবাসার ফ্ল্যাটটা বিক্রি করার সময়। 

রানার স্বাস্থ্যের নিয়মিত আপডেট রাখছিলাম কখনো ফোনে অথবা কখনও ফেসবুকে রানার পোস্ট থেকে। অক্টবরের নয় তারিখে এই খবরটা পাওয়ার পর থেকেই এক ধরণের শূন্যতা কাজ করছে মনের মধ্যে। আমি ডাক্তার ভীতু মানুষ। জীবনে হাতেগোনা কয়েকবার ডাক্তারের কাছে গিয়েছি। এখন পর্যন্ত ব্লাড প্রেশার মাপাইনি একবারও। আমি তাই জানিনা মনের এই শুন্যতাটাকে ডাক্তারি ভাষায় কি বলে। এরপর থেকে আমার জীবনযাপনে বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে। দুনিয়াবী কোনকিছুর প্রতিই আমার আর তেমন আগ্রহবোধ হয় না। শুধু বারবার মনেহয় আমরা কত অসহায় কত অসহায়। সামান্য অর্থের অভাবে আমার ছোট ভাইটার চিকিৎসা হবে না এই ভাবনা আমাকে প্রতিনিয়ত কুড়েকুড়ে খাচ্ছে। আমি আমার সাধ্যের বাইরে যেয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি রানার পাশে দাঁড়ানোর। আমার পরিচিতজনদের মধ্যেও অনেকেই রানার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন যাদের সাথে রানার বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই। শুধুমাত্র একজন মানুষ বিপদে পড়েছেন বলে পৃথিবীর সব মানুষ তাকে সাহায্য করার জন্য পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন দেখে আবারও মানবজাতির প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাসটা ফিরে ফিরে পাই। 

রানাকে আমি কল্পণা করলেই রানার প্রানোচ্ছল মুখটা ভেসে উঠে। কিশোরের শরীরে আটকে পড়া একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কথা মনেপড়ে যার মনের প্রতিটি কোণা মানুষ এবং মানবতার কথা বলে। অন্যের বিপদে নিজের সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে সেটা হচ্ছে আমাদের রানা। অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়ার ব্যাপারটা আমি যতদূর বুঝি সেটা হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম কঠিন একটা কাজ হচ্ছে অন্যের কাছে হাত পাতা কারণ এতে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া গেলেও নিজের আত্মাভিমান নষ্ট হয়। আমি জানি রানার বাবা-মাও সেই পরিস্থিতিতে আছেন। উনারা কখনওই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে একটাবারের জন্য বলেননি রানার জন্য সাহায্য চাইতে কিন্তু আমি জানি এটা এখন অনেক জরুরি। নীলপলা এবং রানার কিশোরী স্ত্রীও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দু একবার সাহায্য চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন যেটাকে আসলে সাহায্য চাওয়ার পোস্ট বলা চলে না কারণ এই মানুষগুলো কোনভাবেই এই আচরণে অভ্যস্ত না। এর বাইরে রানার পরিচিত বন্ধু বান্ধব সহকর্মী যারা রানাকে চিনে সবাই এগিয়ে এসেছে রানার বিপদের দিনে তাঁর পাশে দাঁড়াতে কিন্তু গতবারের মতো এইবার তেমন একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না তাই আমি বাধ্য হয়েই পত্রিকার মাধ্যমে সাহায্য চাইতে আসলাম আপনাদের কাছে। আপনারা নিচের যেকোন একটি লিংকে যেয়ে ওকে সাহায্য করতে পারেন আপনার সাধ্যমতো।

জীবন কখন কিভাবে তার রং বদলাবে এটা কেউ বলতে পারে না কিন্তু আমরা সবাই একটু স্বদিচ্ছা প্রকাশ করলেই একটা প্রাণ অকালে ঝরে পরা থেকে রক্ষা পাবে। পৃথিবীর সকল মানুষের মঙ্গল হোক। মানবতার জয় হোক।

https://www.facebook.com/donate/2526084920767942/[1]

https://www.gofundme.com/f/savetasneem?fbclid=IwAR3K7NjPUo4HmtR2T-mrh2CdFhhL3ewcU8EsI2wzRhw6RWA6EDRNUnFok3s[2]

https://www.launchgood.com/campaign/save_tasneem_from_leukemia_2#!/[3]

https://gogetfunding.com/save-tasneem-from-leukemia/?fbclid=IwAR3PSLwNlG7SeoZPNY1AZqKpPepMbpUropOlTYQ1Krt-rK8WN8QgUiC2qG8[4]

Endnotes:
  1. https://www.facebook.com/donate/2526084920767942/: https://www.facebook.com/donate/2526084920767942/
  2. https://www.gofundme.com/f/savetasneem?fbclid=IwAR3K7NjPUo4HmtR2T-mrh2CdFhhL3ewcU8EsI2wzRhw6RWA6EDRNUnFok3s: https://www.gofundme.com/f/savetasneem?fbclid=IwAR3K7NjPUo4HmtR2T-mrh2CdFhhL3ewcU8EsI2wzRhw6RWA6EDRNUnFok3s
  3. https://www.launchgood.com/campaign/save_tasneem_from_leukemia_2#!/: https://www.launchgood.com/campaign/save_tasneem_from_leukemia_2#!/
  4. https://gogetfunding.com/save-tasneem-from-leukemia/?fbclid=IwAR3PSLwNlG7SeoZPNY1AZqKpPepMbpUropOlTYQ1Krt-rK8WN8QgUiC2qG8: https://gogetfunding.com/save-tasneem-from-leukemia/?fbclid=IwAR3PSLwNlG7SeoZPNY1AZqKpPepMbpUropOlTYQ1Krt-rK8WN8QgUiC2qG8

Source URL: https://priyoaustralia.com.au/articles/2019/%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%99-%e0%a6%ac%e0%a6%a6%e0%a6%b2/