by Tarik Zaman | August 17, 2017 9:02 am
গায়ক আপেল মাহমুদকে নিয়ে লেখা প্রকাশের পর অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর ভোরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে বেতার ভবনে তার স্বেচ্ছা সহযোগিতার কথা এতদিন প্রকাশিত হয়নি কেন। আমি বলেছি যে এতদিন এইসব খবর আমাদের কাছে ছিল না, অন্যান্য বিষয়ের মতোই এখন ধীরে ধীরে অনেকের অনেক কিছুই প্রকাশিত হচ্ছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ বাহাত্তর বছর আগে শেষ হলেও এখন অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসছে। কিছুদিন আগে আর্জেন্টিনাতে আবিষ্কৃত হয়েছে জার্মান জেনেরালদের ব্যবরিত জিনিস পত্র। অস্ট্রিয়ার নাগরিক কুর্ট ওয়াল্ডহেইম নামে একজন জাতিসংঘের মহাসচিব ছিল, পরে অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হয়েছিল। তারও অনেকদিন পর জানা গেলো যে কুর্ট ওয়াল্ডহেইম নাত্সি দলের সদস্য ছিল। আমেরিকা তার উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পুরো পৃথিবী তার বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠে এবং তার বিচার দাবি করে। কি করে এতদিন এই পরিচয় গোপন করে পৃথিবীর সবচাইতে বড় আমলার পদে চাকুরিও করে গেলো- ভাবনার কথা। তারপর মনে হয় বিচার প্রক্রিয়ার আগেই সে মরে যায়। এই কথা বলার অর্থ হলো যে এমন কিছু অপরাধ আছে যা অনেকদিন গোপন থাকেলই তা তামাদি হয় না, যখনি প্রমাণিত হবে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আপেল মাহমুদ নিজে কখনো তার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে প্রতিবাদ করেছিল কিনা জানি না। বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে অনেকেই জড়িত, অনেকেই বেনিফিশিয়ারি- তাদের অনেককেই আমরা চিনি, আমাদের আশে পাশেই থাকে কিন্তু রাষ্ট্র আমাদেরকে তার বিচার করার দায়িত্ব দেয় নাই, আমরা ঘৃণা করতে পারি, বিচার চাইতে পারি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার পরিবার নিজ হাতে করে নাই, রাষ্ট্র করেছে।
আমাদের দায়িত্ব হলো আপেল মাহমুদের মতো মানুষদের পরিচয় তুলে ধরা যাতে করে আমরা এদের সংস্পর্শ এড়িয়ে এদের ঘৃণা করতে পারি। এদের কণ্ঠে গান শোনা তো দূরের কথা, এদের মুখ দেখলেও ….. ইয়ে করতে ইচ্ছে করে।
আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে: কিছু কিছু অপরাধ তামাদি হয় না।
Source URL: https://priyoaustralia.com.au/articles/2017/%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%9b%e0%a7%81-%e0%a6%85%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a7-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf-%e0%a6%b9%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%be/
Copyright ©2024 PriyoAustralia.com.au unless otherwise noted.