by Ajoy Kar | May 15, 2016 1:54 am
‘পজেটিভ থিঙ্কিং-এর কারনে মস্তিস্কের হাইপোথালমাস অরিজিন থেকে যেসব কেমিক্যাল নি:সরন হয় সেইসব কেমিক্যাল মানুষকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আর নেগেটিভ থিঙ্কিং-এর কারনে নি:সরিত কেমিক্যাল মানুষকে অসুস্থ করে তোলে’, বলছিলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: সতিশ গুপ্ত। ভারতের গ্লোবাল হাসপাতালে ১৯৯৫ সাল থেকে হৃদরোগ নিয়ে কাজ করছেন ডা: গুপ্ত।
ডা: গুপ্ত তার রিসার্চ টিমের বৈজ্ঞানিক গবেষনায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কেনবেরাতে দেওয়া ‘Soul-Mind-Body-Medicine’ সেমিনারে বলেন, ‘অস্ত্রপচার আর ঔষুধ দিয়ে দুরারোগ্য ব্যধি, যেমন হৃদ রোগ সাময়িক ভাবে নিরাময় করা সম্ভব; তবে দীর্ঘ মেয়াদী ভাবে এসব রোগ নিরাময় সম্ভব পজেটিভ থিঙ্কিং -এর মাধ্যমে।‘
তিনি বলেন, ‘পজেটিভ থিঙ্কিং মানুষকে আনন্দ দেয়; মানুষ খুশী হয়। পজেটিভ থিঙ্কিং মানবদেহে অস্বাভাবিক স্নায়ু চাপের সৃষ্টি করে না। মানুষ যখন আনন্দে থাকে, হাসিখুশিতে থাকে তখন মানুষ রোগ যন্ত্রনা ভুলে যায় । মানুষ কাজে কর্মে উত্সাহ পায়। মানুষ শারীরিক ও মানষিক ভাবে সুস্থ সবল থাকে।‘
অপরদিকে নেগেটিভ থিঙ্কিং-এ মানুষ যেভাবে রিয়াক্ট করে সেই রিয়াকশনের কারনে আমাদের দেহের রক্ত চাপ বেড়ে যায়, বেড়ে যায় হৃদপিন্ডের উঠা নামা, যেটাকে আমরা সহজ বাংলায় বুকের ধর-ফরানি বলি। নেগেটিভ থিঙ্কিং জনিত কেমিক্যাল শরীর আর মন দুটোকেই দুর্বল করে রাখে; মানুষ কাজে কর্মে উত্সাহ হাড়িয়ে ফেলে; মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
[1]
একুশে রেডিওর পক্ষে আমি তার কাছে এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে তিনি বলেন, পজেটিভ থিঙ্কিং -এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, আর্থায়টিস্ ও কিডনি রোগ সহ অনেক কঠিন রোগ নিরাময় সম্ভব ।
তিনি বলেন, অতীত আর ভবিস্যত ভাবনা থেকে অনেক দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়, আর দুশ্চিন্তা থেকে নেগেটিভ চিন্তা হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে বর্তমানকে নিয়েই ভাবা ভালো ।
সেমিনারে উপস্থিত অনেকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়মিত মেডিটেশন্, ব্যয়াম আর পরিমিত ডায়েট মানুষকে পজেটিভ থিঙ্কিং -এ সাহায্য করে।
[2]
Source URL: https://priyoaustralia.com.au/articles/2016/%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ad-%e0%a6%a5/
Copyright ©2024 PriyoAustralia.com.au unless otherwise noted.