নেলসনে জিততে এসেছে বাংলাদেশ

by Fazlul Bari | December 27, 2016 10:33 am

ফজলুল বারী, নেলসন থেকে: নেলসনে জিততে এসেছে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবালের কন্ঠে যেন ফুটে এসেছে সে আত্মপ্রত্যয়। কোন ভনিতা ছাড়াই তামিম বললেন, নেলসনের ম্যাচটি কি তা আমরা জানি। এর মাধ্যমেই সিরিজ নির্ধারন হবে। সে জন্যে এ ম্যাচ জেতার জন্য যা যা করতে হয় সবই আমি করবো। আমাদের যা সামর্থ্য তাতে এখানকার ম্যাচ জেতা সম্ভব। তাছাড়া এখানকার মাঠটি আমাদের পরিচিত। দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় এ মাঠে খেলেছেন এবং ভালো খেলেছেন। কাজেই ভালো খেলাটা খেলেই এখানে জেতা সম্ভব। তামিমের কথায় যেমন আত্মবিশ্বাস, দলের অন্য খেলোয়াড়দের বডি ল্যাংগুয়েজেও তাই মনে হয়েছে। মঙ্গলবার টিম হোটেলে গিয়ে পাওয়া গেছে এর প্রমান। খেলোয়াড়রা সবাই চনমনেই আছেন। ক্রাইস্টচার্চের ঠান্ডা আবহাওয়াও নেলসনে নেই। মঙ্গলবার নেলসন পৌঁছে টিম বাংলাদেশ উঠেছে স্থানীয় ট্রেইলওয়েজ হোটেলে। এটি নিউজিল্যান্ডের দক্ষিন দ্বীপ শহর নেলসনের পাঁচতারকা হোটেলগুলোর একটি।

তামিম বললেন এখানে আমরা এর আগে একটিমাত্র খেলা খেলেছিলাম। এবং সেটিতেই জিতেছি। গত বিশ্বকাপের সময় স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা জিতেছি বড় রান তাড়া করে। তখন এখানে যে উইকেট পেয়েছিলাম তা এবার নাও পেতে পারি। কিন্তু মাঠটির ব্যাপারে আমাদের যে ধারনা আছে তা এ যাত্রায় বেশ কাজে দেবে। ক্রাইস্টচার্চের ম্যাচের অভিজ্ঞতায় আমাদের ধারনা হয়েছে প্রতিপক্ষকে ২৮০-৩০০ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলতে পারলে জয় সম্ভব। এমন স্কোর তাড়া করে জয়ের লক্ষ্য আমাদের থাকবে।

নেলসনের খেলায় ক্রাইস্টচার্চের খেলার প্রভাব থাকবে কিনা জানতে চাইলে তামিম বলেন মোটেই না। সেখানে আমরা ভালো খেলিনি ঠিক, কিন্তু সেখানকার ভুলগুলো থেকে শুধরে শিখে ভালো খেলে জয় বের করে আনা সম্ভব। ব্যক্তিগতভাবে সবাই যার যার ভুলগুলো শনাক্ত-শুধরানোর কাজ করছে। এখন টিম মিটিং’এ বসে কোথায় কী উন্নতি করতে পারি তা আমরা ঠিক করবো। তামিম বলেন, ৩৪০ রান তাড়া করা যায়। বিশ্ব ক্রিকেটে এটা হচ্ছে। আমাদের ব্যাপারটা হলো তিনশ’র বেশি রান তাড়া করে আমাদের জয়ের অভ্যাসটি সে রকম নেই। সে রকম রান তাড়া করে জয়ের অভ্যাস করাটা এখন আমাদের টার্গেট। বাংলাদেশে আমরা যে কন্ডিশনে খেলি সেখানে তিনশ রান তাড়া করে জেতা খুব একটা হয়না। ২৬০-২৮০’র বেশি রান হয় খুব কম। কিন্তু এখানকার উইকেটে ৩২০-৩৩০ এমন রান প্রায় হয়। এখান থেকে আমাদের সে অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে।

ক্রাইস্টচার্চের ঠান্ডার প্রভাব ম্যাচে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে তামিম বলেন, এসব অজুহাতের কথা বলে লাভ নেই। আমরা অনেক আগে অস্ট্রেলিয়ায় এসে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছি। নিউজিল্যান্ড এসে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেবার সময় পেয়েছি। আসলে আমাদের দিনটি ভালো ছিলোনা। সামনের ম্যাচগুলোয় ভুল যত কম করবো তাতেই আমাদের লাভ। তামিম বলেন ৬ বছর আমরা নিউজিল্যান্ডে সিরিজ খেলতে এসেছি। নেলসনে আসার ৭ দিন আগে হয়তো নিউজিল্যান্ডে এসেছি। কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগতেই পারে। মানিয়ে আমাদের নিতেই হবে। এ পরিবেশটা বাংলাদেশের পরিবেশের উল্টো। বিশ্বের বড় দলগুলো এখানে প্রায় প্রতিবছর আসে। তারা এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেবার সংগ্রাম করে। আর আমরাতো এখানে সিরিজ খেলতে এসেছি ৬ বছর পর। আমরা এই পরিবেশটা যত তাড়াতাড়ি ধাতস্থ করতে পারবো তত আমাদের মঙ্গল। তামিম বলেন আমাদের চান্স আছে জেতার। সিরিজ নয় আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। এই ম্যাচ পরে আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে ভাববো।

পরিকল্পনামাফিক কাজগুলো করতে পারলে না জেতার কোন কারন নেই। এ দলটির প্রতি দারুন বিশ্বাস আছে আমার। আমরা সব করতে পারি। বললেন বাংলাদেশের মারকুটে ওপেনার। তামিম বলেন, আমরা যখন থেকে সাফল্য পেতে শুরু করেছি তখন থেকে প্রতিটি ম্যাচকেই আমরা আলাদা করে দেখি। প্রতিটি ম্যাচ আমরা জিততে চাই। প্রতিটি ম্যাচ জেতা আমাদের সম্ভব নয় কিন্তু চেষ্টাতো করি। বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। কারন এ ম্যাচ সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচ। নেলসনের মাঠে গত বিশ্বকাপে ৯৫ রান করেছিলেন তামিম। সে প্রসঙ্গ তুলতেই মজা করে বলেন, এই চাপটা দিলেন! যে কোন মাঠে ভালো করাটা অনুপ্রেরনার। এর মানে এই নয় যে আবার নেমেই ৯৫ রান করে ফেলবো। শুন্য রানেওতো আউট হতে পারি। শূন্য থেকে শিখতে হবে।

[1]

Endnotes:
  1. [Image]: http://priyoaustralia.com.au/wp-content/uploads/2016/12/ARZU-3.jpg

Source URL: https://priyoaustralia.com.au/articles/2016/%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be/