by Priyo Australia | November 23, 2015 11:02 pm
জেবুননেছা খান : এত দম্ভ, প্রভাব, প্রতিপত্তি কোনো কাজেই আসলো না! পিতার মৃত্যু হয় কারাগারেই, ছেলেরও তাই, আরো উপযুক্ত ফল হাতে নিয়ে, ফাঁসিতে ঝুলে। এত দাম্ভিক, ক্ষমতাবান লোকগুলোর কি অসম্মানজনক পরিণতি! যেতে যেতে মানুষের তীব্র ঘৃণাটুকুই শুধু সঙ্গী করে নিয়ে যেতে পেরেছে। এতো সম্পদ ও ক্ষমতাও দাম্ভিক লোকগুলোর প্রাপ্য করুণ পরিণতি রুখতে পারলো না। এতো উঁচুতে ছিলো যাদের নাক, তাদের বিদায় নিতে হলো নাকে খত দিতে দিতে! জীবনটার জন্য ভিক্ষা পর্যন্ত করেছে। একেই বলে কর্মফল। এর থেকে রেহাই নেই।
মৃত্যুর পরের খবর জানি না, তবে এটা নিশ্চিত দেখলাম যে এই দুনিয়াতেই কর্মফল ভোগ করে যেতে হয়, হবেই। আবারো চোখের জলে ভাসলেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা, সাথে ভাসলাম আমরাও, ভাসলো পুরো দেশ। তবে এই অশ্র“ কষ্টের নয়, আনন্দের ও দায়মুক্তির।
যুদ্ধাপরাধীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলো, যে চক্রান্তের শিকার হয়েছিলো ৩০ লাখ শহীদসহ লাখো পরিবার। এদের একবার ফাঁসি যথেষ্ট নয়, ৩০ লক্ষ বার ফাঁসি হওয়া উচিত।
এই যুদ্ধাপরাধীরা যেমন অপরাধী, তেমনি তাদের সন্তানরা তাদের পিতার পক্ষে সাফাই গেয়ে, সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে পরোক্ষভাবে পিতার অপরাধকেই সমর্থন করছে। এরাও সমান অপরাধী। দেশের আইন-কানুনের উপর শ্রদ্ধাশীল না হওয়া, সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠানো রাষ্ট্রদ্রোহিতারই শামিল। এদের বিরুদ্ধেও অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত। আইন সবার জন্য সমান হবে।
এই দেশটাকেই যারা চায়নি, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, দেশের মানুষের প্রতি চরম অত্যাচার করেছে– তারা এই দেশের নাগরিক হয় কী করে ভেবে অবাক হই! স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারসহ প্রত্যেকের নাগরিকত্ব বাতিল করা উচিত। এদের এই দেশে থাকার কোনো অধিকারই নেই। এদের কোন লজ্জাও নেই। এই দেশের বিরুদ্ধে এতো কিছু করেও এরা এদেশের রক্ত চুষেই এক একটা দানব হয়েছে।
স্বার্থান্বেষী গ্র“প প্রয়োজনে অন্যের পা চাটে, আবার সুযোগমতো প্রবল আক্রোশে পেছন থেকে বিষাক্ত ছোবল দেয়। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বক্তব্য শুনলেই বোঝা যায় যে এরা এক একটা বিষবৃক্ষের বীজ। যেকোনো সময় ডালপালা ছড়িয়ে বিষবাষ্প ছড়াবে। মহীরুহ আকার ধারণ করার আগেই গোড়াসহ উপড়ে ফেলা উচিত।
শুনেছি সাপও বিনা কারণে ছোবল দেয় না। কিন্তু সুযোগ পেলে এরা ছোবল দিতে দ্বিতীয়বার ভাববে না। ক্ষমা, সহনশীলতা পাওয়ার যোগ্যই এরা নয়। অসৎ উপায়ে অর্জিত যে বিপুল সম্পদ এদের পিতারা রেখে গেছেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তার অপব্যবহার এই রাষ্ট্রে থেকেই এরা করবেই করবে। সেটা তারা এখুনি জানান দিচ্ছে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে। সাবধান হওয়া দরকার, এক্ষুনি এদের কঠিন জবাব দেয়া দরকার। আর কোন ক্ষতি দেশের বা জনগণের হোক সে পর্যন্ত অপেক্ষা করা কিছুতেই উচিত হবে না।
সাপকেও বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু এই ভয়ঙ্কর কীটদের বংশধরদের নয়। এদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা হুলের মত বুকে বিঁধে। এই ঔদ্ধত্যের জবাব নেই? থাকলে কেন দেয়া হচ্ছে না? উচ্চ আদালতের রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করা আইনগতভাবে কি সিদ্ধ?
চ্যানেল আই অনলাইন
Source URL: https://priyoaustralia.com.au/articles/2015/%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%82%e0%a6%b6%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%a8/
Copyright ©2024 PriyoAustralia.com.au unless otherwise noted.