by Dilruba Shahana | March 29, 2010 5:16 pm
নতুন বছর ২০১০ সবে শুরু হয়েছে। জানুয়ারীর ২ তারিখ। ছেলেটি হাংরি জ্যাকস্এ কাজে যাচ্ছে। সময়টা রাত। সদ্য গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী পাওয়া ২১বছরের ছেলেটি কি স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে সেই রাতে পথ চলছিল? ছেলেটি বোধহয় ভাবছিল হাংরি জ্যাকস্ এর চাকরি ছেড়ে আরও বড় সংস্থাতে কাজ করার কথা। ডিগ্রী পাওয়াতে ভাল কাজ জুটবেও হয়তো। তবে অনেক দায়িত্ব তার। মাত্র ক’দিন আগে বাবা মারা গেছেন লাং ক্যান্সারে। শোকাহত মাকে ভারতে রেখে সে ফিরেছে ১৬ই ডিসেম্বর। ভাল চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত হাংরি জ্যাকস্ এ কাজ চালিয়ে যাওয়াই তার জন্য এখন জরুরী। তখনি ঘটলো বিপত্তি। আμান্ত হল সে। ছুরির আঘাত আঘাতে রক্তাক্ত ছেলেটি। রক্ত ঝরা শরীরে ছুট্তে ছুট্তে এসে হাংরি জ্যাকস্ এর দরজায় লুটিয়ে পড়লো সে। সেই লুটিয়ে পড়া থেকে সে আর উঠলো না। জাগবেনা কোনদিন সে আর, বিধবা মায়ের কথা ভাবার জন্য সে আর রইলো না।
নীতিন গর্গ নামের ছেলেটি ভায়োলেন্সের শিকার। এ রকম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে নীতিনের নিহত হওয়ার ঘটনা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে। এই হত্যার পিছনে জাতি বিদ্বেষ একটি কারন বলে আশংকা করা হচ্ছে। ভারত ও অষ্ট্রেলিয়া রাষ্ট্র দুটির সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছে। নীতিন ভারতীয় নাগরিক, পড়াশুনা করছিল অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে। ছাত্রজীবনের সমাপ্তির পর পরই তাকে নিহত হতে হল। ভারত সরকার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। এরই মাঝে অনেক শক্ত পদক্ষেপ নাকি ভারত নিয়েছে। খুনীদের খুঁজে বের না করা পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকরা অষ্ট্রেলিয়া গমন করবে না, সমˉ— দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাময়িক ভাবে ˉ’গিত থাকবে ইত্যাদি। ভারত সরকার যে তার নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে যথার্থই উদ্বিগ্ন এই পদক্ষেপগুলো তারই প্রমাণ। বেশ দীর্ঘ সময় যাবত ভিক্টোরিয়ার রাজধানী মেলবোর্নে ভারতীয়রা নানা ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। শুধু ভারতীয়রা নাজেহাল হচ্ছেন তা নিশ্চিত বলা যাবেনা অথবা ভারতের ‘দেশ’ পত্রিকায় যেমন লিখিত হয়েছিল যে ছোটখাটো কর্মে রত ভারতীয়রাই আক্রান্ত হচ্ছেন তাও পুরোপুরি ঠিক বলা যাবে না। ‘দেশ’ পত্রিকার যুক্তি ছিল যে নিম্ম আয়ের কাজগুলো ভারতীয়রা দখল করে নিচ্ছে ফলে ঐ কাজ হারানো স্থানীয় বেকার লোকেরা ভারতীয়দের উপর ক্ষিপ্ত বলেই ভারতীয়রা নাস্তানাবুদ হচ্ছেন। তবে বিপরীত চিত্রও দেখা যায়।
অষ্ট্রেলিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশনের ভূতপূর্ব সভাপতি ভারতীয় বংশ উদ্ভুত ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ডাঃ মুকেশ হেইখেরওয়াল নিম্ন আয়ের লোক নন। মেলবোর্নে ২০০৭এ ক’জন ষন্ডা লোক ব্যাট দিয়ে প্রচন্ড মারধোর করে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। অবশ্য আদালতের বিচারে ২০০৯এ গুন্ডাদের দীর্ঘ মেয়াদী সাজা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মুকেশের বক্তব্য “I don’t run away from the fact that I am of Indian origin, but I was one of seven people attacked that night, and I was the only person with any kind of colour,”
বছরখানেক আগে মেলবোর্নে বাংলাদেশের এক ছাত্রও ছুরিকাহত হয়ে ডান্ডেনং হাসপাতালে ভর্তি হয়। পত্রিকাতে হাসপাতালের শয্যায় শায়িত ব্যান্ডেজ আবৃত ছাত্রটির ছবিও ছাপা হয়। এই ঘটনাতে বাংলাদেশ সরকার তার এদেশে পড়তে আসা ছাত্রদের বা এখানে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছিল কিনা জানা যায় নি। জানা যায় নি পুলিশ ছাত্রটির আক্রমনকারীকে খুঁজে বের করেছিল কিনা।
নিজ নাগরিকদের ব্যাপারে ভারত সরকার যে যথেষ্ঠ ওয়াকিবহাল ও সহানুভূতিশীল এটা স্বীকার করতেই হবে। ভারত ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা ছাত্রদের উপর অষ্ট্রেলিয়ান এডুকেশন-ইন্ডাস্ট্রী অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই ছাত্ররা স্কলারশীপ হোল্ডার নন, তাদেরকে ফি দিয়ে পড়তে হয়। ছাত্রদের দেওয়া ফি আসে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। এই ফি এর পুরো টাকা ছাত্ররা দেশ থেকে নিয়ে আসেন না।
ভারত, বাংলাদেশ, চীন, মালয়েশিয়ার ছাত্রও আছে প্রচুর। ভারত ও বাংলাদেশী ছাত্রদের অনেকেই অমানুষিক শ্রম করে জীবনযাপন ও শিক্ষার খরচ জোগার করেন। রোজগার করে শিক্ষার খরচ তোলার জন্য তারা কাজ খুঁজেন হন্যে হয়ে। কাজ পাওয়ার জন্য ছাত্রদের মাঝে থাকে প্রতিযোগীতা। সেই প্রতিযোগীতা রেশারেশিতে পরিণত হয় কিনা তাও অনুসন্ধান করে জানা দরকার। কাজ পাওয়া ছাত্রদের জন্য খুবই জরুরী। কাজ থাকলেই টাকা আসবে। টাকা আসলে ইউনিভার্সিটির ফি দেয়া যাবে। ফিস পরিশোধ করা থাকলেই স্টুডেণ্ট ভিসা হাতে থাকবে। পড়াশুনাটা শেষ করতে পারলে অনেক কাম্য রেসিডেন্সি ভিসা পাওয়া যেতে পারে। রেসিডেন্সি পাওয়ার আশায় অনেকেই অন্যান্য বিষয়ের মতই যতè করে রন্ধনবিদ্যা, চুলছাটা ও কেশবিন্যাসেও ডিগ্রী নিতে প্রাণান্ত হয়ে খাটেন।
একদিকে এই ছাত্রদের ফিসের বদৌলতে ইউনিভার্সিটির চাকচিক্য যেমন বাড়ে, আর অন্যদিকে সস্তা শ্রমের বিরাট জোগানদার এই ছাত্ররা নিয়োগকর্তার (এই নিয়োগকর্তারা সব জাতের মানুষ গ্রীক, ইতালীয়, লেবানীজ, ভারতীয়) মুনাফাও বাড়িয়ে চলেন দ্রুত। প্রতিষ্ঠিত সুপরিচিত ইউনিভার্সিটিগুলোর ভাষ্যমতে তাদের খরচের শতকরা পনেরো ভাগ অর্থ আসে বিদেশী ছাত্রদের কাছ থেকে। বলার অপেক্ষা রাখেনা ব্যক্তি উদ্যোগে গজিয়ে উঠা বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একশতভাগ আয়ের উৎস বিদেশী ছাত্রদের শোষণ করে। এই সব ছাত্রদের অসহায় অবস্হার সুযোগ নিয়ে কে এফ সি, সাব ওয়ের মতো কর্পোরেট থেকে শুরু করে স্বজাতির ভারতীয় ক্লিনিং ঠিকাদার, কার ওয়াশ সংস্থার মালিক, রেস্তোরা মালিকও ঠকায় তাদের। কর্পোরেটদের ঠকানোর ঘটনা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হয়, পত্রিকাতে খবর আসে তাই মানুষ জানে। আর যখন জাতিভাই ক্লিনিং ঠিকাদার ছাত্রদের পারিশ্রমিকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় তার খবর মিডিয়াতে আসে না। অসহায় ছাত্ররা ভিসা বাতিলের আশংকায় অভিযোগ করতেও ভয় পায়। হয়তো ক্লিনিং ঠিকাদার বা কার ওয়াশ সংস্থার মালিক বলবে এরা স্টুডেণ্ট ভিসা নিয়ে পড়াশুনার বদলে কাজই করে যাচ্ছে শুধু। এ ধরনের কারনে নিজ জাতি ভাইয়ের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ জমা হচ্ছে। যার ফলশ্র“তিতেই হয় তো বা তিনজন ভারতীয় ফ্রুট পিকার রনযোধ সিং নামে অন্য একজন ভারতীয়কে হত্যা কান্ডের জন্য অভিযুক্ত হয়েছে।
পত্রিকার খবরেই জানা যায় যে বছর দুই ধরে চোরাগুপ্তা আক্রমণের শিকার ভারতীয়রা যে হচ্ছেন তা ভিক্টোরিয়ার পুলিশ কর্তৃপক্ষেরও জ্ঞাত বিষয়। অষ্ট্রেলীয় ৩৯টি ইউনিভার্সিটির সংঘ ইউনিভার্সিটিস অষ্ট্রেলিয়া অনেকদিন ধরেই অষ্ট্রেলীয় সরকারকে ছাত্রদের নিরাপত্তাহীনতা, কলেজগুলোর নিমèমান, যানবাহনে কনসেসনের অভাব ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক করে যাচ্ছেন।
এদিকে পুলিশের ভাষ্য হাস্যকর। পুলিশ নাকি অনেকদিন আগে থেকেই জানে ভারতীয়রা আক্রান্ত হচ্ছে। মনে হয় এতে পুলিশ বেশ গর্বিত। গর্বিত কেন? কারন সে জানে কে আক্রান্ত হচ্ছে। যেন বিষয়টি জানতে হিমালয়ের চূ ড়ায় উঠতে হয়েছিল। এটা জানার জন্য কোন কাঠখড় পুলিশকে তো পুড়াতে হয়নি। বেচারা পুলিশ বলতেই ভুলে গেছে যে আক্রান্ত নিজেই আসে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে। অবস্থা দেখে মনে হয় নালিশ শুনেই যেন পুলিশের কর্তব্য শেষ। আক্রমণকারীদের খুঁজে বের করাও পুলিশের কাজ নয় কি?
নীতিনের মৃত্যু ও অপর একজন ভারতীয়কে গাড়ীতে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা অতি অবশ্যই ভয়ংকর অমানবিক। যদিও মেলবোর্নের এ্যাসেন্ডন এলাকার বাসিন্দা জস্প্রীত সিং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী থেকে অর্থ আদায়ের অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেই নিজের গাড়ীতে আগুণ ধরিয়েছিল বলে গতকাল(৪-০২-২০১০) আদালতে অভিযুক্ত হয়েছে। এরমাঝে তলিয়ে দেখার আগেই বীভৎস্য ঘটনার জবাব উগ্রচন্ডীরা বীভৎস্য ভাবেই দিতে চান বলে মনে হচ্ছে।
নাহলে শিবসেনা নামধারী ভারতীয় সংগঠন অষ্ট্রেলীয় ক্রিকেট টিমের সদস্যদের(আই পি এল খেলায়) তাদের অঞ্চলে খেলতে যেতে নিষেধ করেছে। অষ্ট্রেলীয় ক্রিকেট টিমএর কোন সদস্য তো কোন ভারতীয়কে আঘাত করে রক্তাক্ত করেনি তবে অষ্ট্রেলীয় ক্রিকেট টিমকে এই হুমকি কেন? শিবসেনার দেয়া হুমকির খবরটি অষ্ট্রেলিয়ার ঝইঝ রেডিওর বাংলা অনুষ্ঠানে প্রচারিত হয়। কবি খলিল জিবরান যে লিখেছিলেন “চোখের বদলে চোখ তুলে নিলে পৃথিবী অন্ধ হয়ে যাবে”। তো অন্ধতে¦র পথেই যাত্রা শুরুর উসকানি নাকি আলোর নিশানা হদিস করা জরুরী?
তবে শারিরীক ভাবে আহত ও হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটলে তা সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে আসে বলেই সবাই জানে। এছাড়াও ছাত্ররা নানা প্রাতিষ্ঠানিক প্রতারনার শিকারও হয়েছেন সে প্রতারকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি? গত বছরে অষ্ট্রেলীয় পত্রিকায় দেখা যায় বিদেশী ছাত্র(মূলতঃ ভারতীয় ছাত্র) নির্ভর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানএর হঠাৎ করেই অস্তিত¦ লুপ্ত হয়েছে বা প্রতিষ্ঠানটি হাওয়া হয়ে গেছে। শিক্ষা সমাপ্তির পর ছাত্ররা সার্টিফিকেট পাওয়ার যখন অপেক্ষায় তখনি তথাকথিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেমালুম হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। অষ্ট্রেলীয় সরকারী কর্তৃúক্ষ ঐ ছাত্রদের বিষয়টি দেখছেন বলে পত্রিকায় প্রকাশ।
টিভির চ্যানেল ঝইঝ এ দেখানো হয় একজন ভারতীয় বিমান চালনা প্রশিক্ষণে এসে কি ভাবে প্রতারিত হয়েছে। টিভিতে ছেলেটির ও তার মায়ের সাক্ষাতকার দেখানো হয়। পরিবারটি শিক্ষিত ও সচেতন। ছেলের মায়ের কথা থেকে জানা যায় স্বামীর রিটায়ারমেণ্টের সব অর্থসহ তারা মোট ৪০হাজার ডলার বিমান প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দিয়েছেন উনèততর প্রশিক্ষণের জন্য। ছেলে এসে দেখে ঐ প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত মানের ও যথেষ্ঠ সংখ্যায় প্রশিক্ষণ বিমান নেই। টাকা নেওয়া হয়েছে ঠিকই সে অনুপাতে তাদের যে কয় ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা তা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা শুরু করাতে ছাত্ররা নানা রকম হেনস্তার শিকার হন। ছেলের প্রশিক্ষণ তো হচ্ছেই না তার বদলে জুটছে দূর্ব্যবহার ও দূর্গতি শুনে অবসর প্রাপ্ত বাবা হার্টফেল করে মারা যান। যে বাবা তার রিটায়ারমেণ্টের সমস্ত অর্থ ব্যয় করে ছেলেকে একটি উনèত দেশে উনèততর প্রশিক্ষণে পাঠিয়েছিলেন যিনি এই প্রতারনা সহ্য করতে পারেন নি তাই মৃত্যুর মাঝে আশ্রয় খুঁজে নেন।
বছর দেড় আগে মেলবোর্নের মুরাবিন এয়ারপোর্টে ২১বছর বয়সী এক ভারতীয় ছাত্র প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে উড়তে গিয়ে দূর্ঘটনায় মারা যান। যখন প্রশিক্ষণ বিমানের ত্রুটি ছিল কি না এ বিষয়ে প্রশè উঠলো। তখন ঝট্পট্ বলা হল যে ছেলেটির ইংরেজীতে ইন্সট্রাকশন বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল। কথাটা বিশ^াস করার মতো নয়। পাল্টা প্রশè উঠতে পারে ছেলেটির ইংরেজী জ্ঞানের অভাব থাকলে তাকে ছাত্র হিসাবে বিমান চালনা শেখানোর জন্য নেয়া উচিত হয়েছে কি? নাকি ছেলেটির টাকা হাতানোই ছিল একমাত্র বিবেচ্য বিষয়। ইংরেজী বুঝেনা অথচ তাকে বিমানে তুলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হল! কেউ কেউ হয়তো বলবেন যে দূর্ঘটনায় বিমানটাওতো ভেঙ্গেচুড়ে ছারখার। বিমান আর একজন মানুষের প্রাণ! দু’টোর কি তুলনা চলে? তবে বিমানের জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী এটা নিশ্চিত। এই ছাত্রের প্রাণের ক্ষতিপূরণের জন্য, ঐ ছাত্রকে প্রতারনার বিচার চেয়ে কোন সরকার (সে ভারতীয় হউক বা অষ্ট্রেলীয়) সংশি−ষ্ট সংস্থা গুলোর সাথে কি কোন দেনদরবার করেছে?
রাস্তায় ষন্ডাগুন্ডার হাতে আক্রান্তদের নিরাপত্তার পাশপাশি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে উপযুক্ত শিক্ষকহীন, যথোপযুক্ত উপকরণবিহীন অব্যবস্থায় ছাত্র এনে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর কিছু মানুষকে যে ভাবে প্রতারনা ও শোষণ করা হয় সে বিষয়ে কথা বলা জরুরী নয় কি?
Source URL: https://priyoaustralia.com.au/articles/2010/%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81-%e0%a6%93-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%a8/
Copyright ©2024 PriyoAustralia.com.au unless otherwise noted.